ঢাকা ০৮:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
রাজধানীর কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ ও পশ্চিম এলাকায় সব সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ: ডিএমপি :::: রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষরাজধানীর কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ জামাতের দু'পক্ষের সংঘর্ষ :::: বেনাপোল সীমান্তে ২ জনের মরদেহ উদ্ধার, পরিবারের দাবি বিএসএফের পিটুনিতে মৃত্যু

মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিতে চায় ইসরায়েল, তৈরি করতে চায় বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র। সিরিয়ায় সরকার পতনের পর তেল আবিবের ব্যাপক হামলার ঘটনায় এ বিষয়টি নতুন করে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এ ছাড়া বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিবেশি দেশগুলোতে ইসরায়েলের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের গাজা, ইরান এবং লেবাননের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সবশেষ বাশাল আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ব্যাপক হামলার ঘটনায় বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরির বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে, বর্তমান ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের অঞ্চলসমূহকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মিশরের নীল নদ থেকে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।

এ বিষয়ে বছরের শুরুতে মিডল ইস্ট মনিটরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ আভি লিপকিন বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলের সীমান্ত লেবানন থেকে সৌদি আরবের বিশাল মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। পরে তা ভূমধ্যসাগর থেকে ফোরাত নদী অর্থাৎ ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’

এ ছাড়া গত অক্টোবরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইসরায়েল: মিনিস্টারস অব কেয়াস’ নামের তথ্যচিত্রেও বৃহত্তর ইসরায়েলের কথা উঠে এসেছে। তথ্যচিত্রে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানান, ভবিষ্যৎ ইসরায়েল রাষ্ট্র জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক এমনকি সৌদি আরব পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ লেবাননে বসতি স্থাপনে ওই অঞ্চলের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে ইসরায়েলের একটি কট্টরপন্থী ইহুদিবাদী সংগঠন। মানচিত্রে অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকাকে হিব্রু নামে নামকরণ করা হয়, যার সমালোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।

সবশেষ বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। এ সময়, আইডিএফ একাধিক ফ্রন্টে বিজয় অর্জন করেছে বলেও দাবি করেন নেতানিয়াহু।

বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা নতুন নয়। প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৮৯৭ সালে। সে বছর সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে আধুনিক ইহুদিবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডর হার্জেলের নেতৃত্বে ইহুদিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন হার্জেল।

নিউজটি শেয়ার করুন

মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে ইসরায়েল: নেতানিয়াহু

আপডেট সময় : ০১:০৮:৪২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিতে চায় ইসরায়েল, তৈরি করতে চায় বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র। সিরিয়ায় সরকার পতনের পর তেল আবিবের ব্যাপক হামলার ঘটনায় এ বিষয়টি নতুন করে উঠে এসেছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে। এ ছাড়া বাশার আল-আসাদের পতনের পর ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে বলে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।

মধ্যপ্রাচ্যে প্রতিবেশি দেশগুলোতে ইসরায়েলের আগ্রাসন বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে ফিলিস্তিনের গাজা, ইরান এবং লেবাননের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। সবশেষ বাশাল আল-আসাদ সরকারের পতনের পর সিরিয়ায় ব্যাপক হামলার ঘটনায় বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র তৈরির বিষয়টি আবারও আলোচনায় এসেছে।

বৃহত্তর ইসরায়েল বলতে, বর্তমান ইসরায়েল এবং ফিলিস্তিনের অঞ্চলসমূহকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যা মিশরের নীল নদ থেকে ইরাকের ফোরাত নদী পর্যন্ত বিস্তৃত।

এ বিষয়ে বছরের শুরুতে মিডল ইস্ট মনিটরকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইসরায়েলি রাজনীতিবিদ আভি লিপকিন বলেন, ‘পর্যায়ক্রমে ইসরায়েলের সীমান্ত লেবানন থেকে সৌদি আরবের বিশাল মরুভূমি পর্যন্ত বিস্তৃত হবে। পরে তা ভূমধ্যসাগর থেকে ফোরাত নদী অর্থাৎ ইরাক পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।’

এ ছাড়া গত অক্টোবরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘ইসরায়েল: মিনিস্টারস অব কেয়াস’ নামের তথ্যচিত্রেও বৃহত্তর ইসরায়েলের কথা উঠে এসেছে। তথ্যচিত্রে অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানান, ভবিষ্যৎ ইসরায়েল রাষ্ট্র জর্ডান, লেবানন, মিশর, সিরিয়া, ইরাক এমনকি সৌদি আরব পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।

এর আগে, গত ২৫ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ লেবাননে বসতি স্থাপনে ওই অঞ্চলের নতুন মানচিত্র প্রকাশ করে ইসরায়েলের একটি কট্টরপন্থী ইহুদিবাদী সংগঠন। মানচিত্রে অঞ্চলটির বিভিন্ন এলাকাকে হিব্রু নামে নামকরণ করা হয়, যার সমালোচনা করেন বিশেষজ্ঞরা।

সবশেষ বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র নিয়ে কথা বলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর, ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের মানচিত্র বদলে দিচ্ছে বলে জানান তিনি। এ সময়, আইডিএফ একাধিক ফ্রন্টে বিজয় অর্জন করেছে বলেও দাবি করেন নেতানিয়াহু।

বৃহত্তর ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার ধারণা নতুন নয়। প্রথম পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয় ১৮৯৭ সালে। সে বছর সুইজারল্যান্ডের বাসেল শহরে আধুনিক ইহুদিবাদের প্রতিষ্ঠাতা থিওডর হার্জেলের নেতৃত্বে ইহুদিদের একটি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ইহুদিদের জন্য একটি আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা তুলে ধরেন হার্জেল।