ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

যশোর সীমান্তে তিন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:০৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যশোর সীমান্তে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে ইছামতি নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের জামিলুর ঢালীর ছেলে সাকিবুর ঢালী (২২), একই থানার দীঘিরপাড় তালসারি এলাকার আরিফুল ইসলামের ছেলে সাহাবুর হোসেন সাবু এবং কাগজপুকুর গ্রামের মৃত ইউনুস মোড়ের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।

পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় অগ্রভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে সাকিবুর ঢালীর মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে শার্শা থানা পুলিশ বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহটি নদীর তীর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ইছামতি নদী থেকে সাবু ও জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা তদন্ত করছি।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শার্শার সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের সাহাবুর হোসেন সাবু ভারতে যাচ্ছিলেন কাজের সন্ধানে। আর কাগজপুকুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন যাচ্ছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নির্যাতন করে, হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ তাদের।

এর আগে ২২ জানুয়ারি বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হন বিজিবি সদস্য রহিস উদ্দীন। এ নিয়ে বেনপোল সীমান্তে চলতি বছরই চার বাংলাদেশি হত্যার শিকার হলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

যশোর সীমান্তে তিন বাংলাদেশির লাশ উদ্ধার

আপডেট সময় : ১০:০৯:০২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

যশোর সীমান্তে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন বাংলাদেশি নাগরিকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শার্শা উপজেলার ভারতীয় সীমান্তে ইছামতি নদী থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলেন বেনাপোল পোর্ট থানার কাগজপুকুর গ্রামের জামিলুর ঢালীর ছেলে সাকিবুর ঢালী (২২), একই থানার দীঘিরপাড় তালসারি এলাকার আরিফুল ইসলামের ছেলে সাহাবুর হোসেন সাবু এবং কাগজপুকুর গ্রামের মৃত ইউনুস মোড়ের ছেলে জাহাঙ্গীর হোসেন।

পুলিশ জানায়, সন্ধ্যায় অগ্রভুলাট বিওপি দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ইছামতি নদীর পাড়ে সাকিবুর ঢালীর মরদেহ দেখতে পায় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে শার্শা থানা পুলিশ বিজিবির উপস্থিতিতে মরদেহটি নদীর তীর থেকে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠিয়েছে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এর আগে ইছামতি নদী থেকে সাবু ও জাহাঙ্গীরের লাশ উদ্ধার করা হয়।

সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে আমরা তদন্ত করছি।

খুলনা ২১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল খুরশিদ আনোয়ার বলেন, শার্শার সীমান্তের ইছামতি নদীর পাড় থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। এদের পরিচয়ও পাওয়া গেছে। তাদের গায়ে একাধিক ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শার্শা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নিহতদের স্বজনরা জানান, বেনাপোল পোর্ট থানার দিঘীরপাড় গ্রামের সাহাবুর হোসেন সাবু ভারতে যাচ্ছিলেন কাজের সন্ধানে। আর কাগজপুকুর এলাকার জাহাঙ্গীর হোসেন যাচ্ছিলেন স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে। এসময় বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধরে নির্যাতন করে, হত্যার পর লাশ ইছামতি নদীতে ফেলে দেয় বলে অভিযোগ তাদের।

এর আগে ২২ জানুয়ারি বিএসএফ’র গুলিতে নিহত হন বিজিবি সদস্য রহিস উদ্দীন। এ নিয়ে বেনপোল সীমান্তে চলতি বছরই চার বাংলাদেশি হত্যার শিকার হলেন।