হত্যা মামলায় রিমান্ডে ৪ আওয়ামী লীগ নেতা
- আপডেট সময় : ০১:৩৬:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
সাবেক মন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম, ঢাকা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মো. সোলাইমান সেলিম ও এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমানের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এর মধ্যে যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় কামরুল ও সোলাইমান সেলিমের চার দিন এবং বিএনপি কর্মী মকবুল হত্যা মামলায় নজিবুর রহমানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ বুধবার সকালে তাদের কারাগার থেকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এই সময় মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপর দিকে তাদের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শরীফুর রহমান তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, গত ১৮ নভেম্বর রাতে রাজধানীর উত্তরা-১২ নম্বর সেক্টর থেকে কামরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। গত ১৩ নভেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকা থেকে সোলাইমান সেলিমকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-২। গত ৬ অক্টোবর রাজধানীর রমনা এলাকা থেকে নজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুুলিশ।
বিএনপি কর্মী মকবুলকে হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২২ সালের ১০ ডিসেম্বর তৎকালীন সরকারের পতনে এক দফা দাবি আদায়ের কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। এর আগে ৭ ডিসেম্বর তৎকালীন ডিবি প্রধান হারুন অর রশীদ, মেহেদী হাসান ও বিপ্লব কুমার বিএনপি’র নয়াপল্টন কার্যালয়ে অভিযান ও ভাঙচুর চালান। কার্যালয়ের পাশে থাকা হাজার হাজার নেতাকর্মীর ওপর হামলা চালান। এতে মকবুল হোসেন নামে এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এই ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে শেখ হাসিনাসহ ২৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতা-কর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এই ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।