যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে স্পেসওয়াক রেকর্ডে শীর্ষে ওঠে এসেছে চীন। শেনঝু-নাইনটিন মহাকাশ অভিযানের দুই চীনা নভোচারী ২০০১ সালে মার্কিন নভোচারীদের করা রেকর্ড টপকালেন। এদিকে, ৬ মাসের বেশি সময় ধরে মহাকাশে আটকে পড়া দুই নভোচারীকে আগামী ফেব্রুয়ারিতেও ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা- নাসা।
উচ্চাভিলাষী মহাকাশ কর্মসূচির সর্বশেষ মাইলফলক হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের রেকর্ড ভাঙলো চীন। ৯ ঘণ্টারও বেশি স্পেসওয়াক সম্পন্ন করে মহাকাশ জগতে চীনকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেলেন দেশটির দুই নভোচারী কাই জুঝে ও সং লিংডং।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ১০টার কিছু আগে মহাকাশে ৯ ঘণ্টা ৬ মিনিট হেঁটে শেষ করেন শেনঝু-নাইনটিন মহাকাশ অভিযানের দুই সদস্য। এর আগে ২০০১ সালের ১২ মার্চ ৮ ঘণ্টা ৫৬ মিনিটের স্পেসওয়াক রেকর্ড গড়েছিলেন মার্কিন নভোচারী জেমস ভোস ও সুসান হেলমস। যা টপকে এখন শীর্ষ স্পেসওয়াকার চীনা নভোচারী কাই জুঝে ও সং লিংডং। চীনের প্রথম নারী মহাকাশ প্রকৌশলীসহ তিনজন মহাকাশচারী নিয়ে ছয় মাসের শেনঝু-নাইনটিন মহাকাশ অভিযান শুরু হয় গত ৩০ অক্টোবর।
সবশেষ স্পেসওয়াকে মার্কিন রেকর্ডকে পেছনে ফেলা ছাড়াও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে রোবোটিক চন্দ্র মিশন পরিচালনার নজির গেড়েছে চীন। এর মধ্যে চলতি বছরের শুরুতে চাঁদের দূরবর্তী অংশ থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসাটা ছিল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এভাবেই মহাকাশে প্রধান খেলোয়াড় হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠায় প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
এদিকে মহাকাশে আটকে পড়া দুই মার্কিন নভোচারী বুচ উইলমোর এবং সুনীতা উইলিয়ামসকে ফিরিয়ে আনার মিশন পরিকল্পনা আরেকধাপ পিছালো নাসা। অর্থাৎ ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারিতেই তাদের পৃথিবীতে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের কথা থাকলেও মার্চের শেষের দিকের আগে সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা। মহাকাশে চীনের মার্কিন রেকর্ড অতিক্রম করার দিনই এমন খবর দিলো নাসা।
বোয়িংয়ের স্টারলাইনারের মাধ্যমে মাত্র আট দিনের জন্য মহাকাশে যাত্রা করে চলতি বছরের ৫ জুন বিপাকে পড়েন বুচ উইলমোর এবং সুনীতা উইলিয়ামস। মহাকাশ যানটিতে ত্রুটির কারণে তখন তাদের ফেরার পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। ৬ মাস ধরে মহাকাশে আটকে থাকার পরও তাদের ফিরিয়ে আনার নিশ্চিত দিনক্ষণের বার্তা দিতে ব্যর্থ নাসা।