আসছে শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল ‘জনশক্তি’
- আপডেট সময় : ০১:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
আগামী দুই মাসের মধ্যে আত্মপ্রকাশ করছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া শিক্ষার্থীদের রাজনৈতিক দল। বিদ্যমান দলগুলোর তুলনায় বৈশিষ্ট্যে এই সংগঠন পৃথক হবে। দলের সম্ভাব্য নাম হতে পারে ‘জনশক্তি’।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ধীরে ধীরে নির্বাচনের দিকে অগ্রসর হবে এবং জনগণের প্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়ার পর তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে। এ অবস্থায়, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা এবার নিজেদের অবস্থান ভোটের ময়দানে দেখতে চান। তারা নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নতুন এই দল হবে নতুন আঙ্গিকে। এখানে সাংবিধানিক ফ্যাসিবাদী কাঠামো থাকবে না। পুরনো যেসব সমস্যা-টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, জনআকাঙ্ক্ষার বিপরীতে গিয়ে কিংবা কোনো রাষ্ট্রের এজেন্ডা নিয়ে যেসব দল পরিচালিত হয়ে আসছে, আমরা সেসবের মধ্যে যাবো না।
জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সারজিস আলম বলেন, নতুন যে রাজনৈতিক দল আসবে আমরা আশা করছি তারা কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। কাজের মাধ্যমে প্রমাণ দেবে। এই দলকে জনগণের প্রত্যাশা বুঝতে হবে। বিগত সময়ে ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য দলগুলো জনগণের প্রত্যাশা বুঝতো না। আশা করি, এই দল তেমন হবে না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, দেশের মানুষ যদি চায় আমাদের রাজনৈতিক দল তৈরি করা উচিত তাহলে অবশ্যই আমরা এটি ভাববো। বিষয়টি নিয়ে নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আগামীতে যে রাজনৈতিক প্রক্রিয়াগুলো আসছে সেখানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রতিনিধিরা যুক্ত হবে। সেখানে তারা সর্বোচ্চ পর্যায়ে আসীন হবে। বলেন, আগামী নির্বাচনে আমরা প্রতিযোগিতা করবো। আমাদের উদ্দেশ্য ক্ষমতা নয়। দেশের কল্যাণসাধন করা। যদি গণহত্যার বিচারের আগেই নির্বাচন হয়, তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে যেকোনোভাবে খুনিদের বিচার করা।
নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, আমরা আন্দোলনগুলোতে জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিয়েছি। তাদের কাছে নাম প্রস্তাব করবো। এরপর সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তিনি জানান, জনশক্তি নামে তাদের একটি নামের চিন্তাভাবনা রয়েছে।