ঢাকা ০৪:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ঘরোয়া ক্রিকেটের ধ্বংসে নেমেছিলেন পাপন-মল্লিক!

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আবাহনীকে সুবিধা দিতে দেশের আম্পায়ারদের ব্যবহার করেছেন সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক। নিঃস্ব করেছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের অসংখ্য ক্লাবকে। ক্লাব কর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্যও করা হয়েছে। এখন টেলিভিশনে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ক্রিকেট সংগঠক সাব্বির আহমেদ রুবেল। অভিযোগ স্বীকার করেছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠুও।

দেশ বদলের হাওয়ায় গেল এক যুগে ঢেকে রাখা অসংখ্য অনিয়ম সময়ের পরিক্রমায় বেরিয়ে আসছে একে একে। কোটি বাঙালির আবেগের ক্রিকেটও ছাড় পায়নি দুর্নীতির কালো থাবা থেকে।

সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আর পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক মেতেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ধ্বংসলীলায়। পাপন, সালমান এফ রহমান, কাজী নাবিলসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী সংসদ সদস্যের নিয়ন্ত্রণাধীন আবাহনী ক্লাবকে বিশেষ সুবিধা দিতে নগ্নভাবে ব্যবহার করেছেন দেশি আম্পায়ারদের। ফিরতি বছর ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন করতেই যেন আয়োজন হতো ঘরোয়া আসরের!

বিভিন্ন সময়ে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাতে লাভের আশায় গুঁড়েবালি। উল্টো অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় পাপন গংয়ের আঙ্গুলের ইশারায় মিথ্যা মামলা আর পারিবারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। হয়রানির মাত্রা এতোটাই বেশি ছিল অনেকে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভিন্ন দেশে।

লিজেন্ডস অব রুপগন্জের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রুবেল বলেন, ‘পাপন বলেন, মল্লিক ভাই বলেন আমার ক্লাব প্রেসিডেন্ট একটা বক্তব্য দেয়ায় সেটার রেশ ধরে পরের বছর থেকে আমার ক্লাবকে ক্রিকেট থেকে নিঃশ্বেষ করে দেয়া। প্রতিবাদ করতে গিয়েছি আমাদেরকে মামলা দেয়া হয়েছে। এতে আমরা পারিবারিকভাবে আমার হেয় হই। আমার পরিবার আছে। আমাকে দেশ ছেড়ে থাকতে হয়েছে অনেকদিন।’

পাপন-মল্লিক গংয়ের দাপটের কাছে অসহায় আম্পায়াররাও বাধ্য হয়ে বেছে নিতেন দুর্নীতির পথ। মাঠে চলতো তাদের স্বেচ্ছাচারিতা।

অভিযোগ স্বীকার করছেন বিসিবির পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। তবে জানালেন, দিন বদলে গেছে।

বিসিবির পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘কেউ যদি করে থাকে সেটা আগে করেছে। আমরা সবাই এসব জিনিস থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমার অ্যাম্পায়রা তারা ইম্প্রুভ। আমি বলতে পারি কেউ ইন্টেনশনালি খারাপ করার নেই।’

৫ই আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে হদিস নেই পাপন-মল্লিকদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ঘরোয়া ক্রিকেটের ধ্বংসে নেমেছিলেন পাপন-মল্লিক!

আপডেট সময় : ০১:১৮:৩২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

আবাহনীকে সুবিধা দিতে দেশের আম্পায়ারদের ব্যবহার করেছেন সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও সাবেক পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক। নিঃস্ব করেছেন দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগের অসংখ্য ক্লাবকে। ক্লাব কর্তাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্যও করা হয়েছে। এখন টেলিভিশনে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এমন বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন ক্রিকেট সংগঠক সাব্বির আহমেদ রুবেল। অভিযোগ স্বীকার করেছেন বিসিবি পরিচালক ইফতেখার আহমেদ মিঠুও।

দেশ বদলের হাওয়ায় গেল এক যুগে ঢেকে রাখা অসংখ্য অনিয়ম সময়ের পরিক্রমায় বেরিয়ে আসছে একে একে। কোটি বাঙালির আবেগের ক্রিকেটও ছাড় পায়নি দুর্নীতির কালো থাবা থেকে।

সাবেক বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন আর পরিচালক ইসমাইল হায়দার মল্লিক মেতেছিলেন ঘরোয়া ক্রিকেটের ধ্বংসলীলায়। পাপন, সালমান এফ রহমান, কাজী নাবিলসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী সংসদ সদস্যের নিয়ন্ত্রণাধীন আবাহনী ক্লাবকে বিশেষ সুবিধা দিতে নগ্নভাবে ব্যবহার করেছেন দেশি আম্পায়ারদের। ফিরতি বছর ক্লাবটিকে চ্যাম্পিয়ন করতেই যেন আয়োজন হতো ঘরোয়া আসরের!

বিভিন্ন সময়ে এসব অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন ক্রিকেটারসহ বিভিন্ন ক্লাবের কর্মকর্তারা। তাতে লাভের আশায় গুঁড়েবালি। উল্টো অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলায় পাপন গংয়ের আঙ্গুলের ইশারায় মিথ্যা মামলা আর পারিবারিক হয়রানির শিকার হয়েছেন ক্লাব কর্তারা। হয়রানির মাত্রা এতোটাই বেশি ছিল অনেকে বাধ্য হয়ে দেশ ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন ভিন্ন দেশে।

লিজেন্ডস অব রুপগন্জের যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির আহমেদ রুবেল বলেন, ‘পাপন বলেন, মল্লিক ভাই বলেন আমার ক্লাব প্রেসিডেন্ট একটা বক্তব্য দেয়ায় সেটার রেশ ধরে পরের বছর থেকে আমার ক্লাবকে ক্রিকেট থেকে নিঃশ্বেষ করে দেয়া। প্রতিবাদ করতে গিয়েছি আমাদেরকে মামলা দেয়া হয়েছে। এতে আমরা পারিবারিকভাবে আমার হেয় হই। আমার পরিবার আছে। আমাকে দেশ ছেড়ে থাকতে হয়েছে অনেকদিন।’

পাপন-মল্লিক গংয়ের দাপটের কাছে অসহায় আম্পায়াররাও বাধ্য হয়ে বেছে নিতেন দুর্নীতির পথ। মাঠে চলতো তাদের স্বেচ্ছাচারিতা।

অভিযোগ স্বীকার করছেন বিসিবির পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান। তবে জানালেন, দিন বদলে গেছে।

বিসিবির পরিচালক ও আম্পায়ার্স কমিটির চেয়ারম্যান ইফতেখার আহমেদ মিঠু বলেন, ‘কেউ যদি করে থাকে সেটা আগে করেছে। আমরা সবাই এসব জিনিস থেকে বের হয়ে আসার চেষ্টা করছি। আমার অ্যাম্পায়রা তারা ইম্প্রুভ। আমি বলতে পারি কেউ ইন্টেনশনালি খারাপ করার নেই।’

৫ই আগস্ট দেশে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকে হদিস নেই পাপন-মল্লিকদের।