জরিমানার টাকা বোর্ডের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন, উল্টো দিচ্ছেন গচ্চা
- আপডেট সময় : ০১:১৪:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) পরিচালক। আইপিএলের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব্ও পালন করেছেন। তাঁর আমলেই যাত্রা শুরু হয় ফ্র্যাঞ্চাইজি এ লিগের। তবে এমন সব দায়িত্বে থেকেও বিসিসিআই সহ-সভাপতি ললিত মোদি বিতর্ক থেকে নিজেকে দূরে রাখতে পারেননি। বৈদেশিক মুদ্রা আইন (এফইএমএ) ভঙ্গের অভিযোগে তাঁকে ১০.৬৫ রুপি জরিমানা করে দেশটির এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৫ কোটি টাকা।
কিন্তু এ জরিমানার অঙ্ক নিজে না পরিশোধ করে বিসিসিআইয়ের ঘাড়ে চাপাতে চেয়েছিলেন ললিত। এজন্য একটি পিটিশনও করেছিলেন সাবেক বোর্ড পরিচালক। তবে সেটা কাজে দেয়নি। আদালতের রায়ে ললিতের আবেদন খারিজ হয়েছে। ইডি কর্তৃক ১৫ কোটি জরিমানা তো বহাল থাকছেই, পাশাপাশি ললিতকে আরও আরও ১ লাখ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ কোটি ৪১ লাখ টাকা) জরিমানা করেছে বোম্বে (মুম্বাই) হাইকোর্ট।
বিচারপতি এমএস সোনাক ও জিতেন্দ্র জেইনের ডিভিশন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার এ রায় দেন। ললিতের পিটিশনকে তাঁরা ভিত্তিহীন ও সম্পূর্ণ ভুল ধারণা বলে উল্লেখ করেছেন।
ললিত তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছিলেন, তিনি বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে আইপিএলের গভর্নিং বডি ও বিসিসিআইয়ের একটি উপকমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন। আবেদনে তিনি অভিযোগ করেন, বিসিসিআই তাঁকে আইন অনুযায়ী উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়নি। সেজন্য ইডি কর্তৃক জরিমানা বোর্ডের ওপর চাপাতে আবেদন করেন ললিত।
কিন্তু হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০০৫ সালের একটি ঘটনার রায় উল্লেখ করে ললিতের আবেদন খারিজ করে। ওই রায়ে বলা হয়েছে, ভারতের সংবিধানের ১২ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে, রাষ্ট্রের যে সংজ্ঞা দেওয়া আছে, বিসিসিআই সেটার অধীনে পড়ে না। হাইকোর্ট বেঞ্চ উল্লেখ করে, সুপ্রিম কোর্টের স্পষ্ট নির্দেশনা উপেক্ষা করে ২০১৮ সালে ললিত এ আবেদনটি করেছিলেন।
হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেছেন, ‘ইডি যে জরিমানা করেছিল, আবেদনকারী (ললিত) সেটার কথিত ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিলেন। কোনো পাবলিক ফাংশন ডিসচার্জ করার প্রশ্নই আসে না। এ উদ্দেশ্যে বিসিসিআইকে কোনো রিট জারি করা যাবে না।’