ঢাকা ০৫:৫৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আমিরাতে শ্রমিক ভিসা বন্ধে বাংলাদেশিদের দায়ী মনে করছেন প্রবাসীরা

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তর শ্রমবাজার আরব আমিরাত। নানা কারণে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমিক ভিসা বন্ধ রেখেছে দেশটি। এর জন্য খোদ বাংলাদেশিরাই দায়ী বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। তবে সাধারণ ক্ষমার আওতায় সম্প্রতি দেশে ফেরার পাশাপাশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই।

তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন দশ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি। যাদের, বেশিরভাগই পেশায় শ্রমিক। গেল কয়েক বছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিক থেকেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তর শ্রমবাজারও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে নানা অভিযোগে গেল কয়েক মাস ধরে নতুন শ্রম ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে দেশটি।

শ্রমিক ভিসা বন্ধের জন্য ওভারস্টেসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রবাসীদের জড়িয়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন কর্মরত অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

তবে নতুন করে ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও, এরই মধ্যে ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধতা পেয়েছেন বহু বাংলাদেশি।

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া প্রবাসীরা জেল-জরিমানা ছাড়াই সুযোগ পেয়েছেন দেশে ফেরার। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৭৫ হাজারের বেশি প্রবাসী পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আবুধাবি ও দুবাইয়ে থাকা দুটি বাংলাদেশ মিশন। আর দেশে ফিরতে ভ্রমণ অনুমতি নিয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি।

দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে ভিসা জটিলতা নিরসনে প্রবাসীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান আমিরাতে থাকা বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাদের।

আমিরাতের বৃহত্তর এই শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান প্রবাসীদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আমিরাতে শ্রমিক ভিসা বন্ধে বাংলাদেশিদের দায়ী মনে করছেন প্রবাসীরা

আপডেট সময় : ০১:০৮:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তর শ্রমবাজার আরব আমিরাত। নানা কারণে বাংলাদেশিদের জন্য শ্রমিক ভিসা বন্ধ রেখেছে দেশটি। এর জন্য খোদ বাংলাদেশিরাই দায়ী বলে মনে করছেন প্রবাসীরা। তবে সাধারণ ক্ষমার আওতায় সম্প্রতি দেশে ফেরার পাশাপাশি বৈধ হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন অনেকেই।

তেল সমৃদ্ধ দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে আছেন দশ লাখেরও বেশি বাংলাদেশি। যাদের, বেশিরভাগই পেশায় শ্রমিক। গেল কয়েক বছর ধরে রেমিট্যান্স প্রবাহের দিক থেকেও দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

এমনকি মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশের জন্য দ্বিতীয় বৃহত্তর শ্রমবাজারও সংযুক্ত আরব আমিরাত। তবে নানা অভিযোগে গেল কয়েক মাস ধরে নতুন শ্রম ভিসা দেয়া বন্ধ রেখেছে দেশটি।

শ্রমিক ভিসা বন্ধের জন্য ওভারস্টেসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে প্রবাসীদের জড়িয়ে যাওয়াকে দায়ী করছেন কর্মরত অনেক রেমিট্যান্স যোদ্ধা।

তবে নতুন করে ভিসা প্রক্রিয়া বন্ধ থাকলেও, এরই মধ্যে ঘোষিত সাধারণ ক্ষমার আওতায় বৈধতা পেয়েছেন বহু বাংলাদেশি।

ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়া প্রবাসীরা জেল-জরিমানা ছাড়াই সুযোগ পেয়েছেন দেশে ফেরার। সাধারণ ক্ষমার সুযোগ কাজে লাগাতে আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৭৫ হাজারের বেশি প্রবাসী পাসপোর্টের আবেদন জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছে আবুধাবি ও দুবাইয়ে থাকা দুটি বাংলাদেশ মিশন। আর দেশে ফিরতে ভ্রমণ অনুমতি নিয়েছেন প্রায় পাঁচ হাজার বাংলাদেশি।

দেশের ভাবমূর্তি ফিরিয়ে ভিসা জটিলতা নিরসনে প্রবাসীদের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান আমিরাতে থাকা বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতাদের।

আমিরাতের বৃহত্তর এই শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপের আহ্বান প্রবাসীদের।