ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ জন নিহত হয়েছে, যার মধ্যে একই পরিবারের ৭ শিশু রয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় জাবালিয়ায় এ হামলা হয়েছে বলে জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
টেলিগ্রাম চ্যানেলে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, জাবালিয়ায় খাল্লাহ পরিবারের একটি বাড়ির ধ্বংসস্তুপ থেকে হতাহতদের টেনে বের করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘নিহতরা সবাই একই পরিবারের। তাদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। সবচেয়ে ছোট শিশুটির বয়স ছয় বছর।’
এ হামলায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন বলেও জানান মাহমুদ বাসাল।
এ দিকে ইসরায়েরি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা হামাসের একটি সামরিক অবকাঠামোতে হামলা চালিয়েছে। কারণ সেখানে থাকা হামাসের সন্ত্রাসীরা ইসরায়েলি সেনাদের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছিল।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ) আরও বলেছে, হামলার পর হতাহতের যে সংখ্যা প্রকাশিত হয়েছে, তার সঙ্গে আইডিএফের কাছে থাকা তথ্য সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
এ দিকে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে গাজা যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য আলোচনা ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। তবে কিছু বিষয়ে আলোচনা এখনও বাকি আছে। আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট একজন জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
ওই কর্মকর্তা জানান, মিশরের সীমান্ত বরাবর দক্ষিণ গাজার কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূখণ্ড ফিলাডেলফি করিডোরে ইসরায়েলি সামরিক উপস্থিতি অব্যাহত রাখা অন্যতম প্রধান সমস্যা। যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে গাজার সঙ্গে ইসরায়েলের সীমান্তে কয়েক কিলোমিটার এলাকায় একটি বাফার জোন তৈরির সম্ভাবনা রয়েছে। ইসরায়েল এই অঞ্চলে সামরিক উপস্থিতি বজায় রাখবে। এসব বিষয় সমাধান হলেই তিন ধাপের যুদ্ধবিরতি চুক্তি কয়েকদিনের মধ্যে হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালায় হামাস। এতে ১২০০ জনের মতো নিহত হন। জিম্মি করা হয় ২৫৩ জনকে। এ পর্যন্ত শতাধিক জিম্মিকে মুক্ত করা হয়েছে। ইসরায়েলে হামলার দিনই গাজায় ব্যাপক হামলা শুরু করে ইসরায়েল। এতে ৪৫ হাজারেরও বেশি মানুষ এ পর্যন্ত নিহত হয়েছেন। প্রতিদিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা।