ঢাকা ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

শীতের সময়ে বয়স্কদের কীভাবে যত্ন নেবেন?

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্করা। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বাতের ব্যথা বাড়ে। যাদের হাঁপানি বা সিওপিডি‘র সমস্যা রয়েছে, তারা এই শীতে খুবই কষ্ট পান। খুব ঠান্ডার কারণে অনেকের রক্তচাপ তারতম্যও হয়। আবার হার্টের সমস্যা থাকলেও খুব সাবধানে থাকতে হয়। শীতকালে বয়স্কদের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি। সেজন্য কিছু নিয়ম জেনে রাখা প্রয়োজন।

ভোরে হাঁটা নয়
খুব সকালে হাঁটতে না বেরনোই ভাল। তাহলে হাঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে। তবে সাতটার পর থেকে হাঁটতে গেলে ভাল হয়। আবার বিকেল ৩টার পরে হাঁটতে নিয়ে যান বয়স্কদের। সন্ধ্যার সময়ে আবার বাইরে বেশি না থাকাই ভাল। যখনই বাইরে বের হবেন বয়স্করা মাস্ক যেন সব সময়ে সঙ্গে রাখে। শীতের সময়ে দূষণের মাত্রা বাড়ে। তাই মাস্ক পরে থাকা খুব জরুরি।

সকালের রোদ খুব জরুরি
শীতে সকালে কিংবা বিকেলে যখনই বাইরে বের হবেন বয়স্করা, খেয়াল রাখবেন গায়ে যেন গরম জামাকাপড় থাকে। বিশেষ করে টুপি ও মাফলার খুবই জরুরি। পায়ে মোজা থাকলে ভাল হয়। শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে লাগানো খুবই ভাল। এতে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। শীতের দুপুরে রোদে বেশ কিছুক্ষণ থাকতে পারলে গায়ে হাত-পায়ের ব্যথা-বেদনাও অনেক কমবে।

শীতের ডায়েট
প্রথমত, মনে রাখতে হবে একবারে বেশি ভারী খাবার না খেয়ে, ধীরে স্বস্তিতে অল্প অল্প করে খেতে হবে। শীতে বাজারে নানা রকম সবজি পাওয়া যায়। এই সময়টাতে সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। এক থেকে দুই কাপ ভাত, এক বাটি ডাল, এক বাটি সবজি অল্প তেলে রান্না করা, মাছ, মাংস অথবা ডিম প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে ভাল হয়। মাংস খেলে সবজি দিয়ে উপাদান বানিয়ে খাওয়াই ভাল। তেল যতটা সম্ভব কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কাঁচা লবণ একবারে খাওয়া চলবে না। রান্নায় চিনির মাত্রা কমাতে হবে। খাওয়ার পরে টক দই খেতে পারেন। দুপুরের খাবারের এক ঘণ্টা পরে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভাল হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ড্রাই ফ্রুটস রাখা যেতে পারে, একটা খেজুর, দু’টি করে আখরোট, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে।

রক্তচাপ মাপুন
ঋতু পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে যেমন রক্তচাপের মাত্রা উপরের দিকে থাকে, শীতে আবার তা কম থাকে। শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, ফলে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাই সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে শীতকালে বয়স্কদের রক্তচাপ নিয়মিত মাপা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম বয়স্ক মানুষদের শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে। কার জন্য কোন ব্যায়াম উপযুক্ত জেনে নিন। বয়স্কদের যদি একাধিক ওষুধ খেতে হয়, তবে তাদের ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেগুলো সঠিকভাবে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসের সমস্যা থাকলে, শীতে তা বাড়তে পারে। তাই হাতের কাছে ইনহেলার অবশ্যই রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

শীতের সময়ে বয়স্কদের কীভাবে যত্ন নেবেন?

আপডেট সময় : ০১:৩৪:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

শীতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন বয়স্করা। ঋতু পরিবর্তনের সময়টাতে বয়স্ক মানুষদের বিভিন্ন শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। বাতের ব্যথা বাড়ে। যাদের হাঁপানি বা সিওপিডি‘র সমস্যা রয়েছে, তারা এই শীতে খুবই কষ্ট পান। খুব ঠান্ডার কারণে অনেকের রক্তচাপ তারতম্যও হয়। আবার হার্টের সমস্যা থাকলেও খুব সাবধানে থাকতে হয়। শীতকালে বয়স্কদের সুস্থ থাকা ভীষণ জরুরি। সেজন্য কিছু নিয়ম জেনে রাখা প্রয়োজন।

ভোরে হাঁটা নয়
খুব সকালে হাঁটতে না বেরনোই ভাল। তাহলে হাঠাৎ ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ভয় থাকবে। তবে সাতটার পর থেকে হাঁটতে গেলে ভাল হয়। আবার বিকেল ৩টার পরে হাঁটতে নিয়ে যান বয়স্কদের। সন্ধ্যার সময়ে আবার বাইরে বেশি না থাকাই ভাল। যখনই বাইরে বের হবেন বয়স্করা মাস্ক যেন সব সময়ে সঙ্গে রাখে। শীতের সময়ে দূষণের মাত্রা বাড়ে। তাই মাস্ক পরে থাকা খুব জরুরি।

সকালের রোদ খুব জরুরি
শীতে সকালে কিংবা বিকেলে যখনই বাইরে বের হবেন বয়স্করা, খেয়াল রাখবেন গায়ে যেন গরম জামাকাপড় থাকে। বিশেষ করে টুপি ও মাফলার খুবই জরুরি। পায়ে মোজা থাকলে ভাল হয়। শীতের মিষ্টি রোদ গায়ে লাগানো খুবই ভাল। এতে ভিটামিন ডি পাওয়া যাবে। শীতের দুপুরে রোদে বেশ কিছুক্ষণ থাকতে পারলে গায়ে হাত-পায়ের ব্যথা-বেদনাও অনেক কমবে।

শীতের ডায়েট
প্রথমত, মনে রাখতে হবে একবারে বেশি ভারী খাবার না খেয়ে, ধীরে স্বস্তিতে অল্প অল্প করে খেতে হবে। শীতে বাজারে নানা রকম সবজি পাওয়া যায়। এই সময়টাতে সবুজ শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। এক থেকে দুই কাপ ভাত, এক বাটি ডাল, এক বাটি সবজি অল্প তেলে রান্না করা, মাছ, মাংস অথবা ডিম প্রতিদিনের ডায়েটে রাখলে ভাল হয়। মাংস খেলে সবজি দিয়ে উপাদান বানিয়ে খাওয়াই ভাল। তেল যতটা সম্ভব কম খাওয়া যায়, ততই ভাল। কাঁচা লবণ একবারে খাওয়া চলবে না। রান্নায় চিনির মাত্রা কমাতে হবে। খাওয়ার পরে টক দই খেতে পারেন। দুপুরের খাবারের এক ঘণ্টা পরে লেবু জাতীয় ফল খেলে ভাল হয়। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় ড্রাই ফ্রুটস রাখা যেতে পারে, একটা খেজুর, দু’টি করে আখরোট, কাঠবাদাম, চিনাবাদাম, কিশমিশ খাওয়া যেতে পারে।

রক্তচাপ মাপুন
ঋতু পরিবর্তনের কারণে রক্তচাপের মাত্রাও পরিবর্তিত হয়। গ্রীষ্মে যেমন রক্তচাপের মাত্রা উপরের দিকে থাকে, শীতে আবার তা কম থাকে। শীতকালে যেহেতু তাপমাত্রা স্বাভাবিকভাবেই কম থাকে, ফলে রক্তনালি সংকুচিত হয়ে পড়ে। তাই সারা বছর তো বটেই, বিশেষ করে শীতকালে বয়স্কদের রক্তচাপ নিয়মিত মাপা উচিত।

নিয়মিত ব্যায়াম
নিয়মিত ব্যায়াম বয়স্ক মানুষদের শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল থাকতে সাহায্য করে। কার জন্য কোন ব্যায়াম উপযুক্ত জেনে নিন। বয়স্কদের যদি একাধিক ওষুধ খেতে হয়, তবে তাদের ওষুধ সম্পর্কে সচেতন থাকা এবং সেগুলো সঠিকভাবে খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। শ্বাসের সমস্যা থাকলে, শীতে তা বাড়তে পারে। তাই হাতের কাছে ইনহেলার অবশ্যই রাখতে হবে।