আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারতে মাছ রপ্তানি
- আপডেট সময় : ০৩:৪৫:১৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বেড়েছে ভারতে মাছ রপ্তানি। তবে কমেছে অন্যান্য পণ্যের পরিমাণ। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে পণ্য আমদানি। ফলে চলতি অর্থবছরে বন্দরে রাজস্ব আয়ে ভাটা পড়েছে। দ্রুত আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের সমন্বিত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
ভারতে রপ্তানির জন্য বন্দরে অপেক্ষমাণ থাকে পণ্যবোঝাই ট্রাক। বেশিরভাগই হিমায়িত মাছ। মূলত ত্রিপুরায় মাছের যোগান দিয়ে থাকে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। যা ত্রিপুরা থেকে সরবরাহ হয় আসাম, মেঘালয়, শিলচর ও মনিপুর রাজ্যে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর ভারতের সঙ্গে চলমান কূটনৈতিক টানাপোড়েনের মাঝেও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে মাছ রপ্তানি বেড়েছে।
বর্তমানে প্রতিদিন পাঙ্গাস, রুই, কাতল, মৃগেল ও পাপদাসহ বিভিন্ন প্রজাতির ১২০ থেকে ১৫০ টন মাছ রপ্তানি হচ্ছে। যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি কেজির রপ্তানিমূল্য দুই দশমিক পাঁচ মার্কিন ডলার।
তবে বন্দর দিয়ে নিয়মিত রপ্তানি হওয়া অন্যান্য পণ্যের সরবরাহ কমেছে। গেল তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে রড রপ্তানি। সিমেন্ট রপ্তানি হচ্ছে আগের চেয়ে কম। এছাড়া পাথর, প্লাস্টিক, তুলা, শুঁটকি ও ভোজ্য তেলের মতো চাহিদা সম্পন্ন পণ্যে রপ্তানিও ক্রমশ কমছে। মূলত ত্রিপুরার উগ্র হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সেখানকার ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশি পণ্য বয়কটে চাপ দেয়ায় রপ্তানি কমছে বলে জানিয়েছেন স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা।
একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘ভারতের কিছু উগ্রবাদী হিন্দু সংগঠন বাংলাদেশ বিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে এটার কারণে আমাদের রপ্তানিতে একটা ভাটা পড়ে আছে। এই সিজনে রপ্তনিটা একটু বেশি হয়। কারণ এই সময়ে ভারতে মাছের চাহিদা বেড়ে যায়।’
এদিকে রপ্তানি বাণিজ্য সচল থাকলেও চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যই আমদানি হয়নি ভারত থেকে। ফলে রাজস্ব আয়ে ভাটা পড়েছে। তবে আমদানি-রপ্তানি বাড়াতে বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের সমন্বিত চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার কথা জানালেন কর্মকর্তা।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘এই বন্দরে আসলে আমদানিকারকরা আমদানি করছে না সেজন্য ইদানীং আমদানি হচ্ছে না। আমদানি একটু স্থবির আছে। এখন মাছের প্রচুর রপ্তানি হচ্ছে, অন্যান্য পণ্য রপ্তানি কমে গেছে। ওই পাশে অন্যান্য পণ্যের চাহিদাও একটু কম। আমরা চেষ্টা করছি বন্দর ও শুল্ক কর্তৃপক্ষের চেষ্টায় রপ্তানিটা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়।’
২০১০ সালে পূর্ণাঙ্গ বন্দরের স্বীকৃতি পেলেও আখাউড়া স্থল শুল্ক স্টেশন দিয়ে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য শুরু হয় ১৯৯৪ সালে। মূলত আমদানির চেয়ে রপ্তানি বেশি হওয়ায় আখাউড়া স্থলবন্দরকে রপ্তানিমুখী বন্দর বিবেচনা করা হয়।