গাজীপুরের শ্রীপুরে মেঘনা গ্রুপের একটি বোতাম কারখানায় আগুনের ঘটনার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও দু'জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল (রোববার, ২২ ডিসেম্বর) রাতে এবং আজ (সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর) ভোরে মরদেহ দু'টি উদ্ধার করা হয়। এ নিয়ে এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস লিমিটেড নামের ওই বোতাম তৈরির কারখানায় আগুনে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিন জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার সকালে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন মন্ডল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, 'সোমবার সকালে কারখানার ভেতর থেকে একজনের মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে শ্রীপুর থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। এর আগে রোববার রাতে আরেকটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।'
নিহত তিনজনের মধ্যে একজনের পরিচয় জানিয়েছেন ওসি। তার নাম মজলুম মিয়া। তিনি লালমনিরহাট জেলার বাবলু মিয়ার ছেলে। নিহতরা ওই কারখানায় রঙের কাজ করছিলেন বলে কারখানা সূত্র জানিয়েছে।
গাজীপুর ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মামুন বলেন, 'মরদেহগুলো আগুনে পুড়ে বিকৃত হয়ে গিয়েছে। তাই পরিচয় নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। ডাম্পিংয়ের কাজ শেষে কারখানার ভেতরে মরদেহের সন্ধানে তল্লাশি করা হচ্ছে।'
এ বিষয়ে এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস লিমিটেড কারখানাটির উৎপাদন ব্যবস্থাপক আবদুর রহমান বলেন, 'রোববার দুপুরে খাবারের বিরতির সময় কারখানায় প্রায় সব শ্রমিক বাইরে ছিলেন। এ সময় কেমিক্যাল গুদামে হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে অন্য সেকশনগুলোতে। ওই সময় কারখানার ভেতরে রংমিস্ত্রিরা কাজ করছিলেন। আগুন লাগার পর কেমিক্যাল ভর্তি কয়েকটি ড্রাম বিস্ফোরিত হয়ে তারা দগ্ধ হন। ধারণা করা হচ্ছে, নিহত ব্যক্তিদের প্রায় সবাই রঙমিস্ত্রি।'
এর আগে রোববার দুপুর দেড়টার দিকে শ্রীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাংনাহাটি গ্রামের এম এন্ড ইউ ট্রিমস্ লিমিটেড নামের কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সাতটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা একজনের মরদেহ উদ্ধার করেন। এম অ্যান্ড ইউ ট্রিমস লিমিটেড নামের ওই বোতাম তৈরির কারখানাটি মেঘনা গ্রুপের একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।