অপব্যয়ের কারণে রেলের এই দুরবস্থা বলে মন্তব্য করেছেন রেলপথ উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর। তিনি বলেছেন, ব্যয় কমানো না গেলে প্রত্যাশা পূরণ সম্ভব নয়। বলেন, প্রকল্প বাড়লেও বাড়েনি লোকবল আর ট্রেনের সংখ্যা।
পদ্মা সেতু হয়ে দেশের দক্ষিণে ট্রেন চলাচলে নির্মিত নতুন রেলপথে কমলাপুরে খুলনা -যশোর-বেনাপোল- ঢাকা ট্রেনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কথা বলছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর কমলাপুরে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনে দুই ট্রেন সেবার উদ্বোধন করেন তিনি।
ট্রেন দুটির মধ্যে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী জংশন হয়ে খুলনা যাবে ‘জাহানাবাদ এক্সপ্রেস’। আর বেনাপোল যাবে ‘রূপসী বাংলা এক্সপ্রেস’। এই দুই পথে যেতে পৌনে চার ঘণ্টার মতো সময় লাগবে। দুই পথে সেবা দেওয়া হবে একই ট্রেন দিয়ে
জাহানাবাদ এক্সপ্রেস। মাত্র পৌণে চার ঘণ্টায় ৩৭৮ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ঢাকায় এলো খুলনা থেকে। কম সময়ে আসা যাওয়া করতে পারায় খুশি দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ।
এক জোড়া ট্রেনের একটির নাম জাহানাবাদ অপরটির রূপসী বাংলা নামকরণ করা হয়েছে। ট্রেনটি যাওয়া-আসার পথে যশোরের নওয়াপাড়া, সিঙ্গিয়া জংশন, নড়াইল, লোহাগড়া, কাশিয়ানী জংশন ও ভাঙ্গা জংশন স্টেশনে যাত্রাবিরতি করবে। খুলনা-ঢাকা রুটে শোভন চেয়ার শ্রেণির ভাড়া ভ্যাট ছাড়া ৪৪৫ টাকা, স্নিগ্ধা শ্রেণির ভাড়া ৭৪০ টাকা, এসি সিটের ভাড়া ৮৮৫ টাকা এবং এসি বার্থের ভাড়া ১ হাজার ৩৩০ টাকা।
খুলনা থেকে সকাল ৬টায় জাহানাবাদ ছেড়ে আসবে, ঢাকা থেকে রূপসী বাংলা ছেড়ে যাবে সকাল পৌনে ১০টায়। বেনাপোল থেকে রূপসী বাংলা বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে ছেড়ে আসবে ঢাকায়। ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রাত ৮টায় ছাড়বে জাহানাবাদ। বর্তমানে যমুনার ওপর দিয়ে চিত্রা ও পদ্মার ওপর দিয়ে সুন্দরবন এক্সপ্রেস এই অঞ্চলে চলাচল করে।