বড়দিনের উৎসব পালনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেও চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। এই দিনের বিশেষ চরিত্র গ্রিঞ্চের অবয়বে সেজে অপরাধীদের ধরছেন পেরুর পুলিশ। আবার তেল আবিবের রাস্তায় আন্দোলনে যোগ দিয়ে ট্রাম্পের পুতুল নিয়ে ঘুরছেন এক শিল্পী। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিশরের মতো মুসলিম দেশগুলোতেও রয়েছে নানা আয়োজন।
বড়দিনের বিশেষ চরিত্র গ্রিঞ্চের অবয়বে হাতে হাতুড়ি নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন এক ব্যক্তি। ঘরের দরজা ভাঙার সঙ্গে সঙ্গেই গ্রিঞ্চ ঝাপিয়ে পড়লেন মাদক চোরাকারবারিদের ওপর। প্রথম দেখায় সিনেমার দৃশ্য মনে হলেও পেরুতে বাস্তবে ঘটছে এই ঘটনা। হলিডে সিজনে এভাবেই বিভিন্ন চরিত্রের পোশাক ও অবয়বে কাজ করছে পেরুর বিশেষ পুলিশ ইউনিট টেরনা গ্রুপ।
লাতিন আমেরিকার দেশটির মতো বড়দিনের আয়োজনে মেতেছে পুরো বিশ্ব। এই যেমন মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম প্রধান দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে চলছে উইন্টার ফেস্ট। দুবাইয়ের আল বারারিতে বিশেষ এই আয়োজনের জন্য মরুময় প্রান্তর ঢেকে ফেলা হয়েছে বরফে। সান্তা ক্লজ ও ক্রিসমাস ট্রির পাশে ঝরছে কৃত্রিম তুষারপাত। পাশাপাশি ব্যবস্থা রয়েছে আইস স্কেটিং ও ট্রেন ভ্রমণের।
দর্শনার্থীদের একজন বলেন, ‘সব ধরনের মজার খেলায় অংশ নিয়েছি। ট্রেনে চড়ার পাশাপাশি সান্তার সঙ্গে দেখা করেছি। ভালো অভিজ্ঞতা ছিল কারণ শিশু এমনকি প্রাপ্তবয়স্কদের বিনোদনের জন্য অনেক ব্যবস্থা ছিল।’
আরেকজন বলেন, ‘বিভিন্ন ইভেন্ট বিভিন্ন থিমে আয়োজন করে আসছে দুবাই। ক্রিসমাস, ঈদ কিংবা রমজান, আমরা সবই উদ্যাপন করি।’
মিশরের রাজধানী কায়রো সেজেছে বড়দিনের রঙে। শহরের বিভিন্ন স্থানের ক্রিসমাস মার্কেটে ধুম পড়েছে ক্রেতা ও দর্শনার্থীদের। কেউবা কিনছেন ছোটদের জন্য উপহার। আবার কেউবা এই সময়টা পরিবার নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মুহূর্তকে করছেন ফ্রেমবন্দি। মুসলিম হোক বা খ্রিষ্টান, সব ধর্মের মানুষই সৃষ্টিকর্তার কাছে নতুন বছরে চাইছেন দেশের স্থিতিশীলতা।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘খুবই সুন্দর করে শহর সাজানো হয়েছে। মিশরের প্রতিটি মানুষই নিজেদের মতো বড়দিনকে বরণ করে নিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
আরেকজন বলেন, ‘সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় অন্যান্য দেশের চেয়ে আমরা অনেক ভালো আছি। আশা করি ২০২৫ সালও আমাদের জন্য ভালো হবে।’
বিভিন্ন দেশ বড়দিনকে বরণের জন্য প্রস্তুতি নিলেও সাদামাটা কিউবা। অর্থনৈতিক সংকটে জর্জরিত দেশটিতে আলোকবাতি বলতে একমাত্র চাঁদের আলো। তবে বারবার ব্ল্যাক আউটের মাঝেও জেনারেটর দিয়ে চার দেয়ালের মধ্যে সাধ্যমতো আয়োজন করেছেন কিউবানরা। সান্তা ঝুলিতে করে কিউবার জন্য সুখ ও সমৃদ্ধি নিয়ে আসবে, এই আশা সাধারণ মানুষের।
এদিকে ক্রিসমাসের বিশেষ পোশাকে সেজে ইসরাইলের রাজধানী তেল আবিবের রাস্তায় আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন এক শিল্পী। সঙ্গে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুতুল। ৫১ বছরের এই শিল্পীর আশা, বড়দিনের উপহার হিসেবে হামাসের হাত থেকে জিম্মিদের মুক্ত করবেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট।