মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে করা দুদকের মামলায় সাবেক খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্যদিকে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৬৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে সন্দেহজনকভাবে ৪৩ কোটি টাকা লেনদেনে ইসমাইল হোসেনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে জানিয়েছে দুদক।
আজ (মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর) তাকে ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ ইবরাহিম মিয়ার আদালতে হাজির করা হলে দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের আবেদনে বলা হয়, অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ইসমাঈল হোসেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ঘুষ, বদলি, পদোন্নতি, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা অনিয়ম ও দুর্নীতিতে অংশগ্রহণ করেছেন বলে জানা যায়।
ইতোমধ্যে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ ২৫,৩৪,৬৬,২৩৮/- (পঁচিশ কোটি চৌত্রিশ লক্ষ ছেষট্টি হাজার দুইশত আটত্রিশ) টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের মালিকানা অর্জনপূর্বক নিজ ভোগদখলে রেখে অপরাধমূলক অসদাচরণ এবং ৬৫টি ব্যাংক হিসাবে সন্দেহজনকভাবে ৪৩,০৪,৪৭,৩৭৫/- (তেতাল্লিশ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫) টাকা লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ঘুষ ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে রূপান্তর বা স্থানান্তর বা হস্তান্তর করে দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের ধারায় মামলা রয়েছে।
উক্ত মামলায় সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে খাদ্য সচিব ইসমাঈল হোসেনকে উক্ত মামলায় সন্দেহজনক আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো প্রয়োজন। এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন রয়েছে।
তদন্তকালে জানা যায় সাবেক অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ইসমাঈল হোসেন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালনকালে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এর মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধ ‘ঘুষ ও দুর্নীতি’ সংঘটনের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে ছিলেন।
গত ২০ ডিসেম্বর সাবেক অবসরপ্রাপ্ত খাদ্য সচিব ইসমাঈল হোসেনকে হয়রত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানবন্দর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।