ঢাকা ০৭:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে শুরু হলো ট্রেন চলাচল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:০০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অবশেষে খুলনা অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে শুরু হলো ট্রেন চলাচল। নতুন এই রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমলো ২১২ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময় সাশ্রয় হওয়ায় উচ্ছ্বসিত খুলনা, যশোর, বেনাপোলসহ এই অঞ্চলের যাত্রীরা।

খুলনা রেলস্টেশন। ভোর পাঁচটা বাজতেই লোকে-লোকারণ্য। উদ্দেশ্য একটাই খুলনা থেকে ঢাকার ট্রেন ধরতে হবে। মাত্র চার ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা পৌঁছবে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শীত উপেক্ষা করে রাতের ঘুম নষ্ট করে মানুষ ছুটে এসেছে খুলনা রেলস্টেশনে।

কেউ বলছেন স্বপ্নযাত্রা আবার কেউ বলছেন বহুল প্রত্যাশিত যাত্রা। সবকিছু ছাপিয়ে অবশেষে খুলনা থেকে নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। এই যাত্রার ও তারিখটা যেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষের হৃদয় গেঁথে থাকবে। শুধু প্রথম যাত্রা সাক্ষী হতেই অধিকাংশ মানুষ এই ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ট্রেন এইভাবে যাবে কল্পনার বাইরে ছিল। ভালো লাগছে খুব।’

যাত্রীদের আরেকজন বলেন, ‘স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাক্ষী হতে এই ট্রেন ভ্রমণ করছি আজকে।’

এক সময় খুলনা থেকে ঢাকা যাত্রা ছিল সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। লঞ্চ বা স্টিমারে চড়ে যেতে হতো ঢাকায়। সময় লাগতো দেড় থেকে দুই দিন। আবার বাসে চড়ে নদী পাড়ি দিয়ে সময় লাগতো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। বয়বৃদ্ধরা অতীতের সেই স্মৃতি খুঁজে ফিরেছেন এই ট্রেন যাত্রার সাক্ষী হয়ে।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ঢাকায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় চলে যায় খুলনার মানুষ কল্পনা করেনি।’

খুলনা ঢাকা জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রার সাক্ষী হয়েছেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। খুলনায় ছুটে এসেছিলেন মহাপরিচালকসহ অনেকেই। রেল যাত্রার এই শুভক্ষণে খুলনা ঢাকা রুটে একাধিক ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনার সুসংবাদের কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। এই প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘আজ নতুন পথে খুলনা থেকে ঢাকার ট্রেন যাত্রা শুরু হলো। আগামীতে ট্রেনের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।’

১২টি বগি নিয়ে যাতায়াত করা জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল ৬টায় এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত আটটায় খুলনার উদ্দেশ ছাড়বে।

একই সাথে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে আজ যাত্রা শুরু করেছে রূপসি বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। খুলনা থেকে টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে এসি চেয়ার ৮৫১ টাকা শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা এবং এসি বার্থ ১০১৮ টাকা।

নিউজটি শেয়ার করুন

খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে শুরু হলো ট্রেন চলাচল

আপডেট সময় : ০৪:০০:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

অবশেষে খুলনা অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়ে পদ্মা সেতু হয়ে শুরু হলো ট্রেন চলাচল। নতুন এই রেলপথে ঢাকা থেকে খুলনার দূরত্ব কমলো ২১২ কিলোমিটার। দীর্ঘ সময় সাশ্রয় হওয়ায় উচ্ছ্বসিত খুলনা, যশোর, বেনাপোলসহ এই অঞ্চলের যাত্রীরা।

খুলনা রেলস্টেশন। ভোর পাঁচটা বাজতেই লোকে-লোকারণ্য। উদ্দেশ্য একটাই খুলনা থেকে ঢাকার ট্রেন ধরতে হবে। মাত্র চার ঘণ্টায় খুলনা থেকে ঢাকা পৌঁছবে জাহানাবাদ এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি। ঐতিহাসিক এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে শীত উপেক্ষা করে রাতের ঘুম নষ্ট করে মানুষ ছুটে এসেছে খুলনা রেলস্টেশনে।

কেউ বলছেন স্বপ্নযাত্রা আবার কেউ বলছেন বহুল প্রত্যাশিত যাত্রা। সবকিছু ছাপিয়ে অবশেষে খুলনা থেকে নড়াইল হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে কমলাপুর স্টেশনে পৌঁছাবে। এই যাত্রার ও তারিখটা যেন দক্ষিণবঙ্গের মানুষের হৃদয় গেঁথে থাকবে। শুধু প্রথম যাত্রা সাক্ষী হতেই অধিকাংশ মানুষ এই ট্রেনে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করেছেন।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ট্রেন এইভাবে যাবে কল্পনার বাইরে ছিল। ভালো লাগছে খুব।’

যাত্রীদের আরেকজন বলেন, ‘স্বপ্ন বাস্তবায়নের সাক্ষী হতে এই ট্রেন ভ্রমণ করছি আজকে।’

এক সময় খুলনা থেকে ঢাকা যাত্রা ছিল সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। লঞ্চ বা স্টিমারে চড়ে যেতে হতো ঢাকায়। সময় লাগতো দেড় থেকে দুই দিন। আবার বাসে চড়ে নদী পাড়ি দিয়ে সময় লাগতো ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা। বয়বৃদ্ধরা অতীতের সেই স্মৃতি খুঁজে ফিরেছেন এই ট্রেন যাত্রার সাক্ষী হয়ে।

যাত্রীদের একজন বলেন, ‘ঢাকায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টায় চলে যায় খুলনার মানুষ কল্পনা করেনি।’

খুলনা ঢাকা জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন যাত্রার সাক্ষী হয়েছেন রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। খুলনায় ছুটে এসেছিলেন মহাপরিচালকসহ অনেকেই। রেল যাত্রার এই শুভক্ষণে খুলনা ঢাকা রুটে একাধিক ট্রেন চলাচলের পরিকল্পনার সুসংবাদের কথা জানালেন এই কর্মকর্তা। এই প্রকল্পের পরিচালক হিসেবে তিনি কাজ করে নিজের সন্তুষ্টির কথা জানালেন।

বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক মো. আফজাল হোসেন বলেন, ‘আজ নতুন পথে খুলনা থেকে ঢাকার ট্রেন যাত্রা শুরু হলো। আগামীতে ট্রেনের সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।’

১২টি বগি নিয়ে যাতায়াত করা জাহানাবাদ এক্সপ্রেস ট্রেন প্রতিদিন খুলনা থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সকাল ৬টায় এবং কমলাপুর রেল স্টেশন থেকে রাত আটটায় খুলনার উদ্দেশ ছাড়বে।

একই সাথে বেনাপোল থেকে যশোর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে আজ যাত্রা শুরু করেছে রূপসি বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন। খুলনা থেকে টিকিটের মূল্য ধার্য করা হয়েছে এসি চেয়ার ৮৫১ টাকা শোভন চেয়ার ৪৪৫ টাকা এবং এসি বার্থ ১০১৮ টাকা।