ঢাকা ০৯:৫০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনায় উদযাপন হচ্ছে বড়দিন

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:২০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে রাজধানীতে উদযাপন করা হচ্ছে বড়দিন। গির্জায় গির্জায় রয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। সবার মঙ্গল কামনায় সকাল থেকেই বড়দিনের প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছেন যীশু ভক্তরা।

তিমির দূর করে ফুটেছে ভোরের আলো। আজ সেই আলোর দ্যুতি আরও বহু বেড়ে গিয়েছে। কারণ আজ প্রভু যীশুর আগমনী দিন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যীশু ভক্তরা আসতে শুরু করেন চার্চে। সকাল থেকেই সঙ্গীত আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তারা স্মরণ করেন যীশুকে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর জন্যই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিলো ঈশ্বরপুত্র যীশুর। তাইতো বড়দিনে সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন তারা।

এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন চার্চে শুরু হয় প্রার্থনা। এসময় যীশুর বাণী পাঠ করে ভক্তদের শোনান যাজকেরা। তারা বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

তেজগাঁও চার্চের ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ বলেন, ‘যিশু একজন মহান ব্যক্তি। তার জন্ম হয়েছে সাধারণ একটা গোশালায়। তার মানে কি উনি এতটাই নম্র হলেন, এতটাই নীচে নামলেন যাতে করে আমরা যেন তাকে দেখে শিখতে পারি। জগতের মানুষ যেন তাকে দেখে আমরা নম্র হতে পারি। আমরা যেন তার আদর্শকে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারি।’

বড়দিনের মূলমন্ত্রই হচ্ছে অপরের জন্য বাঁচা আর সবার কল্যাণে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়া। এই আদর্শ অনুসরণ করে যুগ যুগ ধরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন উদযাপন করে আসছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনায় উদযাপন হচ্ছে বড়দিন

আপডেট সময় : ০৩:২০:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

আনন্দ-উৎসব এবং প্রার্থনার মধ্য দিয়ে রাজধানীতে উদযাপন করা হচ্ছে বড়দিন। গির্জায় গির্জায় রয়েছে বিশেষ প্রার্থনা। সবার মঙ্গল কামনায় সকাল থেকেই বড়দিনের প্রার্থনায় অংশ নিচ্ছেন যীশু ভক্তরা।

তিমির দূর করে ফুটেছে ভোরের আলো। আজ সেই আলোর দ্যুতি আরও বহু বেড়ে গিয়েছে। কারণ আজ প্রভু যীশুর আগমনী দিন। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই যীশু ভক্তরা আসতে শুরু করেন চার্চে। সকাল থেকেই সঙ্গীত আর প্রার্থনার মধ্য দিয়ে তারা স্মরণ করেন যীশুকে।

খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, মানুষকে পাপ থেকে মুক্ত করার জন্য এবং তাদেরকে সঠিক পথ দেখানোর জন্যই পৃথিবীতে আগমন ঘটেছিলো ঈশ্বরপুত্র যীশুর। তাইতো বড়দিনে সবার মঙ্গল কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করেন তারা।

এদিকে, বড়দিন উপলক্ষে সকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন চার্চে শুরু হয় প্রার্থনা। এসময় যীশুর বাণী পাঠ করে ভক্তদের শোনান যাজকেরা। তারা বলেন, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে সম্প্রীতি ও ঐক্য স্থাপনসহ বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় যীশুখ্রিষ্টের শিক্ষা ও আদর্শ অনুসরণীয়।

তেজগাঁও চার্চের ফাদার জয়ন্ত এস. গমেজ বলেন, ‘যিশু একজন মহান ব্যক্তি। তার জন্ম হয়েছে সাধারণ একটা গোশালায়। তার মানে কি উনি এতটাই নম্র হলেন, এতটাই নীচে নামলেন যাতে করে আমরা যেন তাকে দেখে শিখতে পারি। জগতের মানুষ যেন তাকে দেখে আমরা নম্র হতে পারি। আমরা যেন তার আদর্শকে বাস্তবে কাজে লাগাতে পারি।’

বড়দিনের মূলমন্ত্রই হচ্ছে অপরের জন্য বাঁচা আর সবার কল্যাণে আত্মত্যাগে উদ্বুদ্ধ হওয়া। এই আদর্শ অনুসরণ করে যুগ যুগ ধরে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীরা বড়দিন উদযাপন করে আসছে।