ঢাকা ০৯:২৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতের জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সব কিছু জানাব।’ এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন।

গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার একটি আদালত। শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাড়া পান।পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তার দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পি কে হালদারের সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান উত্তম মৈত্র। তবে নথি ও বন্ড সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মৈত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কলকাতার কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন পি কে হালদার

আপডেট সময় : ০২:০২:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতের জেল থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচারের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে কলকাতার আলিপুরের প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।

কারাগার থেকে বের হয়ে পি কে হালদার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি এখন কিছু বলব না। পরে বলব। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে পরে সব কিছু জানাব।’ এরপর কারাগারের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িতে করে স্থান ত্যাগ করেন।

গত শুক্রবার পি কে হালদারের জামিন মঞ্জুর করে কলকাতার একটি আদালত। শর্তসাপেক্ষে ১০ লাখ রুপির ব্যক্তিগত বন্ডে তাকে জামিন দেওয়া হয়। সোমবার আদালতে সেই বন্ড জমা পড়ে। এরপর আদালত থেকে সেই কপি প্রেসিডেন্সি কারাগারে যাওয়ার পর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ছাড়া পান।পি কে হালদারের সঙ্গে ওই দিন জামিন পান তার দুই সহযোগী স্বপন মিস্ত্রি ওরফে স্বপন মিত্র এবং উত্তম মিস্ত্রি ওরফে উত্তম মৈত্র। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পি কে হালদারের সঙ্গে কারাগার থেকে মুক্তি পান উত্তম মৈত্র। তবে নথি ও বন্ড সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় স্বপন মৈত্র কারাগার থেকে মুক্তি পাননি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী ৯ জানুয়ারি।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে পি কে হালদার নামে-বেনামে সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বের করে নিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। ২০২২ সালের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গের রাজারহাটের একটি হোটেল থেকে পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতে আর্থিক দুর্নীতি বিষয়ে তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। পরে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হালদারের আরও পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়।