সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের স্ত্রী আসমা আল-আসাদ ডিভোর্সের জন্য আবেদন করেননি বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন। মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
এ আগে তুর্কি ও আরব মিডিয়ার উদ্ধৃতি দিয়ে দ্য জেরুজালেম পোস্টে খবর প্রকাশ হয়, যেখানে বলা হয় আসমা আল-আসাদ তার স্বামী বাশার আল-আসাদের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন এবং বিচ্ছেদের পর রাশিয়া ছেড়ে লন্ডনে চলে যেতে চান। বর্তমানে আসমা ও তার পরিবার রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয়ে অবস্থান করছেন। সিরিয়ার বিদ্রোহী বাহিনীগুলোর দামেস্ক দখল করার পর আসাদ পরিবারকে রাশিয়ায় পালিয়ে যেতে হয়।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই খবর অস্বীকার করে বলেন, “না, এই তথ্য বাস্তবতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।” তিনি আরও বলেন, বাশার আল-আসাদ মস্কোতে আটক বা তার সম্পদ জব্দ করা হয়েছে এমন খবরও মিথ্যা।
আসমা আল-আসাদ সিরিয়ার পাশাপাশি ব্রিটেনের নাগরিকও। তবে চলতি মাসের শুরুর দিকে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি জানান, আসমা চাইলেও তাকে যুক্তরাজ্যে ফেরার অনুমতি দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, “আসমা একজন নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত ব্যক্তি এবং যুক্তরাজ্যে স্বাগত নন।”
আসমা আল-আসাদ ২০০০ সালে বাশার আল-আসাদকে বিয়ে করেন এবং তখন থেকে সিরিয়ার ফার্স্টল্যাডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১১ সালে সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর আসমার সমালোচনা শুরু হয়, কারণ তিনি তার স্বামীর গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারীদের দমন নিয়ে নীরব ছিলেন।