ভ্যাটিকান সিটির চার্চে বড়দিনের আগাম উদযাপন শুরু
- আপডেট সময় : ১২:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
পোপ ফ্র্যান্সিসের উপস্থিতিতে খ্রিস্টানদের পূণ্যভূমি ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার চার্চে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে বড়দিনের আগাম উদযাপন। ৩ কোটিরও বেশি দেশি-বিদেশি খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীর জন্য সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার বিখ্যাত ব্রোঞ্জের দরজা খুলে দিয়েছেন পোপ। আগামী একবছর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের জন্য খোলা থাকবে এ দরজা।
পোপ ফ্রান্সিস প্রবেশ করার আগেই ক্যারোলের মূর্ছনায় ভেসে যাচ্ছে খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের পূণ্যভূমি ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার চার্চ। বাইরে অপেক্ষা করছেন হাজার হাজার খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী।
বুধবার স্থানীয় সময় দুপুরে ভ্যাটিকান সিটির সেন্ট পিটার স্কয়ারের ব্যালকনি থেকে বড়দিনের বিশেষ ভাষণ দেবেন পোপ ফ্রান্সিস। যার মধ্য দিয়েই শুরু হয়ে যাবে বড়দিনের আনুষ্ঠানিকতা।
এর আগে মঙ্গলবার, স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় সেন্ট পিটার ব্যাসিলিকার বিখ্যাত ব্রোঞ্জের দরজা খুলে দেন পোপ ফ্যান্সিস। ধীরে ধীরে দরজা দিয়ে চার্চে প্রবেশ করতে শুরু করেন অপেক্ষমাণ ভক্তরা।
নতুন বছর ২০২৫ আগমন উপলক্ষ্যে বিশেষ রজত জয়ন্তী পালন করা হবে সেন্ট পিটারে। এর আগে ২০০০ সালে শেষবার রজত জয়ন্তী পালিত হয়েছে।
পোপ ফ্রান্সিসের ঘোষণা অনুসারে ২০২৫ এর পর ২০৩৩ সালে যিশুখ্রিষ্টের ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার দিনটিকে স্মরণ করবে ভ্যাটিকানবাসী।
এদিকে, সাড়ে পাঁচ বছর পর বড়দিনের আমেজ ফিরেছে ফ্রান্সের নটরডেম ক্যাথিড্রালে। বিশ্বাস, একতা আর আশার বার্তা ছড়িয়ে দিতে ক্রিসমাস ইভ ও বড় দিন উদযাপনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো এই বিখ্যাত চার্চটি। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় মধ্যরাতে বড়দিনের বিশেষ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেবেন রাজধানী প্যারিসের আর্চ বিশপ।
খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এই উৎসবকে বরণ করে নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শেষ হয়েছে বড় দিনের প্রস্তুতি পর্ব। বড়দিন উপলক্ষ্যে যিশুখ্রিস্টের জন্মস্থান হিসেবে খ্যাত অধিকৃত পশ্চিমতীরের বেথহেলেম শহরে পৌঁছেছেন লাতিন পেট্রিয়ারকেটের প্রধান।
প্রভু যীশুর আশীর্বাদে, ইসরাইল-হামাস সংঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত গাজা উপত্যকার অন্ধকার এই সময় কেটে যাবে বলে আশা করছেন লাতিন আর্চবিশপ। আর, ক্রোয়েশিয়ায় হাসপাতালে শিশুদের চমকে দিতে সান্তার সাজে দড়ি বেয়ে কেবিনে নেমে আসছেন পেশাদার আরোহীরা।