দেশে দেশে চলছে বড়দিন উদযাপন
- আপডেট সময় : ০১:০০:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৫৩ বার পড়া হয়েছে
নানা আনুষ্ঠানিকতায় বিশ্ব জুড়ে উদযাপিত হচ্ছে খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব বড়দিন। এ উপলক্ষে ভ্যাটিকান সিটিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি কামনা করে বিশেষ প্রার্থনা করেছেন ক্যাথলিক ধর্মীয় প্রধান পোপ ফ্রান্সিস।
ঋণগ্রস্থ দরিদ্রদেশগুলোর ঋণ মওকুফ করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ক্ষমতার লড়াইয়ের ঊর্ধ্বে গিয়ে যুদ্ধ ও দারিদ্রপীড়িত শিশুদের কথা মনে রাখতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান পোপ। একইসাথে বিশ্ববাসীর জন্য শান্তি কামনা করেন। ভ্যাটিক্যানের সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে, পোপ ফ্রান্সিসের নেতৃত্বে ধর্মীয় আয়োজনে যোগ দেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কয়েক হাজার মানুষ।
দিনটি উপলক্ষে খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে বিরাজ করছে আনন্দের আমেজ। ফুল ও রঙিন আলোকমালায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে চার্চ, ক্রিসমাস ট্রি ও ঐহিত্যবাহী সব স্থাপনা। বর্ণিল আলোয় সেজেছে রাস্তাঘাট, দোকানপাট, অফিস ও ঘরবাড়ি। রীতি অনুযায়ী, যিশু খ্রিস্টের জন্মস্থান জেরুজালেমের বেথলেহেম গির্জায় মধ্যরাতেই শুরু হয় বিশেষ প্রার্থনা। খ্রিষ্টস্টানরা বিশ্বাস করেন, সৃষ্টিকর্তার মহিমা প্রচার এবং মানবজাতিকে সত্য ও ন্যায়ের পথে পরিচালিত করার জন্য প্রভু যিশু পৃথিবীতে এসেছিলেন।
আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ভিয়েতনাম, তুরস্ক, রাশিয়া, জাপান, কানাডাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান, আনন্দ-উৎসব ও প্রার্থনার মধ্য দিয়ে বড়দিন উদযাপিত হচ্ছে। ৫ বছর পর, ক্রিসমাস প্রার্থনার আয়োজন চলছে প্যারিসের নটরডেম ক্যাথেড্রালেও। যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা-সিরিয়ায় বড়দিনের প্রার্থনায় শামিল হন খ্রিস্ট ধর্মানুসারীরা।
এদিকে, সিরিয়ায় ক্রিসমাস ট্রিতে আগুন দেয়ার ঘটনায় রাজধানী দামেস্কসহ সারাদেশে ব্যাপক বিক্ষোভ হচ্ছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দাবি করে সিরিয়ার পতাকা ও ক্রস নিয়ে রাস্তায়=নেমেছে হাজারও বিক্ষোভকারী।