ঢাকা ০৬:১৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মোজাম্বিকে জেল ভেঙে পালালেন দেড় হাজার বন্দি

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৪৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতোয় একটি জেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। আহত ১৫ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশকর্মীও আছেন। ঘটনার পর অন্তত দেড় হাজার বন্দি জেল থেকে পালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের আরো বেশ কিছু জেলে একই ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকেও বেশ কিছু বন্দি পালিয়েছে বলে খবর মিলেছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেড়শ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা গেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই মোজাম্বিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষ হচ্ছে।

মোজাম্বিকের ৩ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের রাতের ঘুম কেড়েছে ৯ অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচন। শুরু থেকেই এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন বিরোধীরা। এরই জেরে গেল ৩ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেড়শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

গেল সোমবার দেশটির শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন পার্টির ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর রাজপথে নেমে আসে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলেনের সমর্থকরা। রাতারাতি হাতের বাইরে চলে যায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

হামলা হয় পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। রাস্তা আটকাতে টায়ারে আগুন দিতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।

সোমবার রাত থেকে রাজধানী মাপুটোসহ বোয়ানি, সিমুই, বেইরা, নামপুলাসহ বেশ কিছু শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এতে লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ৩ শতাধিক দোকানপাট। স্থানীয়রা বলছেন, এই ক্ষতির পরিমাণ কোটির অঙ্ক ছাড়াতে পারে।

মোজাম্বিকে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ হাইকমিশন সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল এক দশকে মোজাম্বিকে পাড়ি জমানো প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি। অক্টোবরের শুরু থেকে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

প্রবাসীদের অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতন বা দোকান, বাড়ি লুটপাটের চেয়েও বড় সমস্যা- তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না।

রাজধানীতে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হাঙ্গামা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। নামপুলা এবং বেইরাতেও প্রবল সংঘর্ষ চলছে। রয়টার্স, এএফপি

নিউজটি শেয়ার করুন

মোজাম্বিকে জেল ভেঙে পালালেন দেড় হাজার বন্দি

আপডেট সময় : ০৩:১৯:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

মোজাম্বিকের রাজধানী মাপুতোয় একটি জেলে এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। সংঘর্ষে অন্তত ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। আহত ১৫ জন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে পুলিশকর্মীও আছেন। ঘটনার পর অন্তত দেড় হাজার বন্দি জেল থেকে পালিয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।

শুধু রাজধানীতেই নয়, দেশের আরো বেশ কিছু জেলে একই ঘটনা ঘটেছে। সেখান থেকেও বেশ কিছু বন্দি পালিয়েছে বলে খবর মিলেছে।

তবে পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই দেড়শ জনকে পুনরায় গ্রেপ্তার করা গেছে। বাকিদেরও গ্রেপ্তার করা যাবে বলে মনে করছে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই মোজাম্বিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা হয়েছে। তার পর থেকেই গোটা দেশজুড়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে। জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষ হচ্ছে।

মোজাম্বিকের ৩ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের রাতের ঘুম কেড়েছে ৯ অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচন। শুরু থেকেই এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন বিরোধীরা। এরই জেরে গেল ৩ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেড়শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

গেল সোমবার দেশটির শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন পার্টির ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর রাজপথে নেমে আসে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলেনের সমর্থকরা। রাতারাতি হাতের বাইরে চলে যায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

হামলা হয় পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। রাস্তা আটকাতে টায়ারে আগুন দিতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।

সোমবার রাত থেকে রাজধানী মাপুটোসহ বোয়ানি, সিমুই, বেইরা, নামপুলাসহ বেশ কিছু শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এতে লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ৩ শতাধিক দোকানপাট। স্থানীয়রা বলছেন, এই ক্ষতির পরিমাণ কোটির অঙ্ক ছাড়াতে পারে।

মোজাম্বিকে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ হাইকমিশন সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল এক দশকে মোজাম্বিকে পাড়ি জমানো প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি। অক্টোবরের শুরু থেকে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

প্রবাসীদের অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতন বা দোকান, বাড়ি লুটপাটের চেয়েও বড় সমস্যা- তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না।

রাজধানীতে এখনো পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি হাঙ্গামা হয়েছে। সব মিলিয়ে এখনো পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৩৮০ জন আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। নামপুলা এবং বেইরাতেও প্রবল সংঘর্ষ চলছে। রয়টার্স, এএফপি