উত্তর আফ্রিকার দেশ সুদানের অন্তত পাঁচটি অঞ্চলে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। আর মে মাসের মধ্যে তা আরও পাঁচটি অঞ্চলে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এক নিবন্ধে এই তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ক্ষুধা পর্যবেক্ষণ সংস্থা গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স।
মূলত গৃহযুদ্ধের কারণে সুদান একপ্রকার ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে, যা দেশটিতে ব্যাপক খাদ্যসংকট সৃষ্টি করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) মধ্যকার এই সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে মধ্যস্থতার প্রচেষ্টা চালানো হলেও তা সফল হয়নি।
ইন্টিগ্রেটেড ফুড ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) জানিয়েছে, উত্তর দারফুরের অবরুদ্ধ রাজধানী আল-ফাশিরে অবস্থিত আবু শউক ও আল-সালাম নামের দুটি শরণার্থীশিবিরে দুর্ভিক্ষের অবস্থা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এছাড়া দক্ষিণ কোর্দোফান রাজ্যের দুটি এলাকাও দূর্ভিক্ষের কবলে রয়েছে।
অন্যদিকে, উত্তর দারফুরের জামজাম শিবিরে এখনো এই সংকট অব্যাহত রয়েছে। গত আগস্টে এখানেই প্রথম দুর্ভিক্ষ চিহ্নিত হয়।
আইপিসি জানিয়েছে, উত্তর দারফুরের উম কাদাদাহ, মেলিট, আল-ফাশির, তাউইশা এবং আল-লাইট এলাকায় মে মাসের মধ্যে দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়তে পারে। আইপিসির তথ্য অনুযায়ী, ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুদানের মোট জনসংখ্যার প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ প্রায় ২ কোটি ৪৬ লাখ মানুষ জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তার জন্য নির্ভরশীল হবে। গত জুনে প্রাথমিকভাবে এই সংখ্যা ছিল ২ কোটি ১১ লাখ।
এদিকে, সুদান সরকার সম্প্রতি আইপিসির কার্যক্রম স্থগিত করার ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের দাবি, এই সংস্থা ‘অবিশ্বাস্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে, যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদাকে ক্ষূণ্ণ করে। আইপিসি পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থায়নে পরিচালিত একটি স্বাধীন সংস্থা। জাতিসংঘসহ ১৯টি আন্তর্জাতিক সংস্থার সমন্বয়ে কাজ করে এটি। এই সংস্থা ক্ষুধা সংকট নিরসনে দ্রুত প্রতিক্রিয়া এবং দুর্ভিক্ষ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।