ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

জম্মু-কাশ্মীরে রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ভাটা পড়েছে পর্যটনে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৫০ বছর পর দ্বিতীয়বার রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কবলে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান ডাল লেকসহ বিভিন্ন জলাশয় বরফে রূপ নেয়া দর্শনার্থীদের মনে যোগ করে বাড়তি আনন্দ। তবে পানি সরবরাহের লাইন বরফ হয়ে থাকায় বাসিন্দাদের ভোগান্তিও চরমে। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। পর্যটকবাহী নৌকার মাঝিদের আয়ে লেগেছে ভাটার টান।

দেখে খেলার মাঠ মনে হলেও, বাস্তবে একটি জলাশয়। প্রচণ্ড শীতে ভারি বরফের আস্তর পড়ায় সেখানে ক্রিকেট খেলায় মেতেছে একঝাঁক শিশু-কিশোর। খেলার নতুন এই অভিজ্ঞতা তাদের মনে যোগ করেছে বার্তি আনন্দ। এমন দৃশ্য দেখা মেলে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের।

রেকর্ড সর্বনিম্ন মাইনাস ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই হাল জম্মু-কাশ্মীরের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা শ্রীনগরের। ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান ডাল লেকের পানিও কঠিন বরফে রূপ নিয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন তীব্র ঠান্ডা কবলে শ্রীনগর। ৫০ বছর পর এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পেরে খুশি পর্যটকরা।

একজন পর্যটক বলেন, ‘কাশ্মিরে এসে অনেক ভালো লাগছে। আবার আসার সুযোগ থাকলে অবশ্যই আসবো।’

স্মরণকালের বরফ জমা এই শীত অনেকের জন্য উপভোগের উপলক্ষ্য হলেও, স্থানীয়দের কাছে ভোগান্তির মাত্রাই বেশি। কারণে লেকে বরফ জমায় পর্যটনবাহী বোটগুলোর আয়ে লেগেছে ভাটার টান। এমনকি পানি সরবরাহ লাইন বরফ হয়ে থাকায় জীবন-যাত্রায় যোগ হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এছাড়া বাড়িঘর-গাছপালার ওপরও জমেছে বরফের মোটা আস্তরণ। শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমাদের লেক বরফে জমে গেছে। ঘর থেকে এখানে আসার জন্য রাস্তাই পাওয়া যাচ্ছিলো না।’

শ্রীনগরে বসবাসকারী একজন বলেন, ‘এখানে মনে হয় আমি প্রথমবার এমন ঠান্ডা দেখছি। আমাদের পানি সরবরাহ লাইন, ট্যাংকি এবং পানির বোতল সবকিছু বরফ হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

আগামী ৪০ দিন জম্মু-কাশ্মীরে হাড়কাঁপানো শীতের প্রকোপ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তীব্র শীতের প্রথম ৪০ দিনকে কাশ্মীরি ভাষায় চিল্লাই-কালান বলা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

জম্মু-কাশ্মীরে রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, ভাটা পড়েছে পর্যটনে

আপডেট সময় : ০১:০৫:১৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

৫০ বছর পর দ্বিতীয়বার রেকর্ড সর্বনিম্ন তাপমাত্রার কবলে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীর। অঞ্চলটির ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান ডাল লেকসহ বিভিন্ন জলাশয় বরফে রূপ নেয়া দর্শনার্থীদের মনে যোগ করে বাড়তি আনন্দ। তবে পানি সরবরাহের লাইন বরফ হয়ে থাকায় বাসিন্দাদের ভোগান্তিও চরমে। বাড়ছে শীতজনিত রোগ। পর্যটকবাহী নৌকার মাঝিদের আয়ে লেগেছে ভাটার টান।

দেখে খেলার মাঠ মনে হলেও, বাস্তবে একটি জলাশয়। প্রচণ্ড শীতে ভারি বরফের আস্তর পড়ায় সেখানে ক্রিকেট খেলায় মেতেছে একঝাঁক শিশু-কিশোর। খেলার নতুন এই অভিজ্ঞতা তাদের মনে যোগ করেছে বার্তি আনন্দ। এমন দৃশ্য দেখা মেলে ভারতশাসিত জম্মু-কাশ্মীরের।

রেকর্ড সর্বনিম্ন মাইনাস ৮.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই হাল জম্মু-কাশ্মীরের দৃষ্টিনন্দন পর্যটন এলাকা শ্রীনগরের। ঐতিহ্যবাহী পর্যটন স্থান ডাল লেকের পানিও কঠিন বরফে রূপ নিয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন তীব্র ঠান্ডা কবলে শ্রীনগর। ৫০ বছর পর এই অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে পেরে খুশি পর্যটকরা।

একজন পর্যটক বলেন, ‘কাশ্মিরে এসে অনেক ভালো লাগছে। আবার আসার সুযোগ থাকলে অবশ্যই আসবো।’

স্মরণকালের বরফ জমা এই শীত অনেকের জন্য উপভোগের উপলক্ষ্য হলেও, স্থানীয়দের কাছে ভোগান্তির মাত্রাই বেশি। কারণে লেকে বরফ জমায় পর্যটনবাহী বোটগুলোর আয়ে লেগেছে ভাটার টান। এমনকি পানি সরবরাহ লাইন বরফ হয়ে থাকায় জীবন-যাত্রায় যোগ হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ। এছাড়া বাড়িঘর-গাছপালার ওপরও জমেছে বরফের মোটা আস্তরণ। শ্বাসকষ্ট, সর্দি-কাশিতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু ও বয়স্করা।

স্থানীয় একজন বলেন, ‘আমাদের লেক বরফে জমে গেছে। ঘর থেকে এখানে আসার জন্য রাস্তাই পাওয়া যাচ্ছিলো না।’

শ্রীনগরে বসবাসকারী একজন বলেন, ‘এখানে মনে হয় আমি প্রথমবার এমন ঠান্ডা দেখছি। আমাদের পানি সরবরাহ লাইন, ট্যাংকি এবং পানির বোতল সবকিছু বরফ হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে।’

আগামী ৪০ দিন জম্মু-কাশ্মীরে হাড়কাঁপানো শীতের প্রকোপ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। ডিসেম্বর মাসের শেষ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত তীব্র শীতের প্রথম ৪০ দিনকে কাশ্মীরি ভাষায় চিল্লাই-কালান বলা হয়।