ঢাকা ০২:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

‘সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা রয়েছে’

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই সরকার এক অর্থে একটি সাংবিধানিক সরকারও নয় আবার বিপ্লবী সরকারও নয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি একথা বলেন। তিনি জানান, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারকে সামনে রেখে আন্দোলন করছিলো। এই অভ্যুত্থানও একটি ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে হয়েছে। যারা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, যারা হাত-পা, চোখ হারিয়েছে তারা তাদের কাজটি করে ফেলেছে। আমরা যারা জীবিত আছি তাদের আন্দোলন দিয়ে নয় বর্তমান দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমানে আমরা কি করছি এবং ভবিষ্যতে কি করবো এটি নিয়ে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতা হস্তান্তরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আরও যে প্রতিষ্ঠানগুলো দরকার সেগুলো শক্তিশালী নয়। নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার যে, এরপর যে সরকার আসবে তার ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। সহিংস এবং প্রতিহিংসার রাজনিতী যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসে। সামনের বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে এই সরকার কাজ করছে।

তথ্য উপদেষ্টা জানান, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। এই ঐক্য এখনও রয়েছে। এই ধরনের বাংলাদেশই আমরা দেখতে চাই। বাংলাদেশ প্রশ্নে বাংলাদেশের সবাই যে এক কাতারে আসতে পারি তা আমরা এর আগে দেখতে পাইনি। আমাদের কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ঐক্য ধরে রাখতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

‘সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা রয়েছে’

আপডেট সময় : ১০:১৪:৫১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের জনপ্রিয়তা থাকলেও প্রশাসনিক অসহযোগিতা দেখা যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, এই সরকার এক অর্থে একটি সাংবিধানিক সরকারও নয় আবার বিপ্লবী সরকারও নয়।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তিনি একথা বলেন। তিনি জানান, বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো দীর্ঘদিন ধরেই সংস্কারকে সামনে রেখে আন্দোলন করছিলো। এই অভ্যুত্থানও একটি ধারাবাহিকতার মধ্য দিয়ে হয়েছে। যারা এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছে, আহত হয়েছে, যারা হাত-পা, চোখ হারিয়েছে তারা তাদের কাজটি করে ফেলেছে। আমরা যারা জীবিত আছি তাদের আন্দোলন দিয়ে নয় বর্তমান দিয়ে মূল্যায়ন করতে হবে। বর্তমানে আমরা কি করছি এবং ভবিষ্যতে কি করবো এটি নিয়ে ভাবতে হবে।

তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে ক্ষমতা হস্তান্তরের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছিল না। আমাদের নির্বাচন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আরও যে প্রতিষ্ঠানগুলো দরকার সেগুলো শক্তিশালী নয়। নির্বাচনের আগে এই প্রশ্নের সুরাহা হওয়া দরকার যে, এরপর যে সরকার আসবে তার ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়াটা কেমন হবে। সহিংস এবং প্রতিহিংসার রাজনিতী যেন বাংলাদেশে ফিরে না আসে। সামনের বাংলাদেশে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে করতে এই সরকার কাজ করছে।

তথ্য উপদেষ্টা জানান, অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্য তৈরি হয়েছে। এই ঐক্য এখনও রয়েছে। এই ধরনের বাংলাদেশই আমরা দেখতে চাই। বাংলাদেশ প্রশ্নে বাংলাদেশের সবাই যে এক কাতারে আসতে পারি তা আমরা এর আগে দেখতে পাইনি। আমাদের কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে ঐক্য ধরে রাখতে হবে।