ঢাকা ০৩:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কাচিন রাজ্য বিদ্রোহীদের দখলে

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একের পর এক অঞ্চল জান্তাদের দখলমুক্ত করছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এবার আরও এক রাজ্য হাতছাড়া হলো ক্ষমতাসীনদের। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাচিন রাজ্যের মানসি শহর থেকে পালিয়েছে জান্তা ব্যাটালিয়নের এক কমান্ডার।

জান্তার ৩১৯ ও ৬০১ পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং ৫২৩ আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন বর্তমানে শহরে অবস্থান করছে। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ তথ্য জানিয়েছে। কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু জানিয়েছে, ৩১৯ ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আমরা এখনো শহরে লড়াই করছি।

মানসি রক্ষার জন্য জান্তা অনবরত বিমান ও ড্রোন হামলা এবং গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। মানসি থেকে আর্টিলারি গান জান্তার পাওয়ার হাব ভামোতে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর কেআইএ ও তার মিত্ররা মানসী ও ভামোতে একযোগে হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করে। জান্তার গোলাবর্ষণে ভামোতে আটকে পড়া বেসামরিক লোকজন নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কেআইএ ও তার মিত্রদের ভামো টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে দেখা গেছে, যা আগে জান্তা সেনাদের দখলে ছিল এবং ভামোর আশপাশের অন্যান্য ফাঁড়ি রয়েছে।

৮৮ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন, বেশ কয়েকটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন সদর দফতর এবং যুদ্ধ সহায়তা ইউনিটসহ জেলা পর্যায়ের শহর ভামোতে কেআইএ এখনো পুরোপুরি এসে পৌঁছায়নি। বানমাও শহরের স্কাউট টিমের বরাতে ইরাবতী জানিয়েছে, কেআইএ এবং তার মিত্ররা অপারেশন কমান্ড ঘেরাও করেছে এবং শহরের অন্যান্য জান্তা সদর দফতরে আক্রমণ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক লোক ভামোতে রয়ে গেছে এবং হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

চলতি মাসে হাজার হাজার ভামো ও মানসি বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ মান্দালয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। গণবিক্ষোভে হাজার মানুষ নিহত হলে তা রূপ নেয় সশস্ত্র লড়াইয়ে। এরপর সশস্ত্র এই লড়াইয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো যোগ দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

কাচিন রাজ্য বিদ্রোহীদের দখলে

আপডেট সময় : ০১:১৩:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

একের পর এক অঞ্চল জান্তাদের দখলমুক্ত করছে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। এবার আরও এক রাজ্য হাতছাড়া হলো ক্ষমতাসীনদের। মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় প্রদেশ কাচিন রাজ্যের মানসি শহর থেকে পালিয়েছে জান্তা ব্যাটালিয়নের এক কমান্ডার।

জান্তার ৩১৯ ও ৬০১ পদাতিক ব্যাটালিয়ন এবং ৫২৩ আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন বর্তমানে শহরে অবস্থান করছে। কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মির (কেআইএ) বরাতে দেশটির সংবাদমাধ্যম ইরাবতী এ তথ্য জানিয়েছে। কেআইএ’র মুখপাত্র কর্নেল নাও বু জানিয়েছে, ৩১৯ ইনফ্যান্ট্রি ব্যাটালিয়নের কমান্ডার পালিয়ে গেছেন বলে জানা গেছে। আমরা এখনো শহরে লড়াই করছি।

মানসি রক্ষার জন্য জান্তা অনবরত বিমান ও ড্রোন হামলা এবং গোলাবর্ষণ করে যাচ্ছে বলে জানান তিনি। মানসি থেকে আর্টিলারি গান জান্তার পাওয়ার হাব ভামোতে নিয়ে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

এর আগে গত ৪ঠা ডিসেম্বর কেআইএ ও তার মিত্ররা মানসী ও ভামোতে একযোগে হামলা চালিয়ে বেসামরিক লোকজনকে বাস্তুচ্যুত করে। জান্তার গোলাবর্ষণে ভামোতে আটকে পড়া বেসামরিক লোকজন নিহত হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে কেআইএ ও তার মিত্রদের ভামো টেকনোলজিক্যাল ইউনিভার্সিটিতে দেখা গেছে, যা আগে জান্তা সেনাদের দখলে ছিল এবং ভামোর আশপাশের অন্যান্য ফাঁড়ি রয়েছে।

৮৮ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন, বেশ কয়েকটি পদাতিক ব্যাটালিয়ন সদর দফতর এবং যুদ্ধ সহায়তা ইউনিটসহ জেলা পর্যায়ের শহর ভামোতে কেআইএ এখনো পুরোপুরি এসে পৌঁছায়নি। বানমাও শহরের স্কাউট টিমের বরাতে ইরাবতী জানিয়েছে, কেআইএ এবং তার মিত্ররা অপারেশন কমান্ড ঘেরাও করেছে এবং শহরের অন্যান্য জান্তা সদর দফতরে আক্রমণ করছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ১০ হাজার বেসামরিক লোক ভামোতে রয়ে গেছে এবং হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।

চলতি মাসে হাজার হাজার ভামো ও মানসি বেসামরিক নাগরিক তাদের বাড়িঘর ছেড়ে চলে গেছে, যাদের মধ্যে কেউ কেউ মান্দালয় অঞ্চলে পৌঁছেছে। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এক অভ্যুত্থানে অং সান সু চি নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন থেকেই দেশটিতে অস্থিরতা চলছে। সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়। গণবিক্ষোভে হাজার মানুষ নিহত হলে তা রূপ নেয় সশস্ত্র লড়াইয়ে। এরপর সশস্ত্র এই লড়াইয়ে বিভিন্ন রাজ্যের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো যোগ দেয়।