ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েল ও ইরানের সংঘাত: বাংলাদেশিদের জন্য হটলাইন সেবা চালু করেছে দুতাবাস। ইরানে বসবাসরত বাংলাদেশি নাগরিকদের + ৯৮৯908577368 ও + ৯৮৯১22065745 নম্বরে (হোয়াটসঅ্যাপ সহ) যোগাযোগ করতে বলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।

যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় গেলো ২০২৪

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪২৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভক্ত বিশ্বে আসছে নতুন বছর। চলমান যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তেজনাপূর্ণ কেটেছে ২০২৪ সাল। বছরজুড়েই মধ্যপ্রাচ্যে বিষফোঁড়া হয়ে ছিলো ইসরাইল। গাজা, লেবাননের পাশাপাশি সিরিয়ার দিকেও হাত বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে গাজাবাসীর ওপর। প্রায় তিন বছর ধরে গোলা আর বারুদের মিছিলে আছে রাশিয়া-ইউক্রেন। নাম আছে মিয়ানমারেরও। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর দুঃখ, দুশ্চিন্তা, স্বজন হারানোর হাহাকার, আর সহিংসতা আর স্বপ্ন অবসান।

ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টায়, সময়ও গড়িয়ে চলে আপন নিয়মে। ভবিষ্যতের পানে ছুটে চলায় পাথেয় হয় পুরনো বছর। তবে ২০২৪ সাল বিশ্ববাসীকে এত মরদেহ, ক্ষত, ধ্বংস আর অনাহারের মুখোমুখী করিয়েছে, যে পুরনোকে মনে করে আঁতকে উঠবে মানুষ। বিশেষত ফিলিস্তিন অধিকৃত গাজাবাসী।

ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এক চিলতে ভূখণ্ড গাজা। এই উপত্যকাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত কারাগার বলা হয়। দীর্ঘ নির্যাতন-নিপীড়নের জবাবে গত বছর ৭ই অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলের ভেতর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার অজুহাতে গাজায় শুরু হয় ইসরাইলের বর্বর সামরিক আগ্রাসন যা গত ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। আর এতে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে প্রধান মিত্র আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ইসরাইলের এই অবিরাম হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহতও লক্ষাধিক। এছাড়া উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১৩ হাজারেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছন। জাতিসংঘ বলছে, মাত্র ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশ ভবন এবং ৫৭ শতাংশ কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে গেছে।

খোলা প্রান্তরে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিন গুজরান করছেন অন্তত ২০ লাখ গাজাবাসী। হামাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালানোয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও গণহত্যার অভিযোগ রুজু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা আর সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। একইভাবে হত্যাযজ্ঞ চলছে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও। যুদ্ধবিরতির আশায় বাকি বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। আশার কথা শোনাচ্ছেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি কী আদৌও রুখবেন জায়নবাদী ইসরাইলকে?

গাজায় হামলা শুরুর পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলের উত্তেজনা চলছিল। তবে হিজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শোকর ও হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জেরে সে উত্তেজনার আগুনে ঘি পড়ে। পালাপাল্টি রকেট ও পেজার হামলার পর, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর সদর দফতরে চালানো ভয়াবহ হামলায় সংগঠনটির ৩২ বছর ধরে নেতৃত্ব দেয়া হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এরপর ১লা অক্টোবর হিজবুল্লাহকে লেবানন থেকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে স্থল অভিযানে নামে ইসরাইলি বাহিনী।

হামলায় নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। অপরদিকে হিজবুল্লাহও ইসরাইলে পাল্টা আঘাত হেনেছে। অবশেষে আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭শে নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুইপক্ষ। যা এখনো বহাল আছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ। তবে উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।

এরইমধ্যে ইসরাইলের নতুন শিকারে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সিরিয়া। ব্যাপক বিদ্রোহের পর দেশটির স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের সুযোগ নিচ্ছে ইসরাইল। নিরাপত্তার অজুহাতে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সীমান্তের বাফার জোন গোলান মালভূমি ও হারমন পর্বত। এতেই থেমে যায়নি ইসরাইলি বাহিনী। গোলান মালভূমিতে নিজেদের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়ে সিরিয়ায় বিস্তৃত হামলা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে প্রায় তিন বছর থেকে যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২১ সালের ফেব্র“যারি থেকে অব্যাহত যুদ্ধে ইউক্রেনের মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৬৪৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অফ ওয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছর ইউক্রেনের অন্তত ছয় গুণ বেশি ভূমি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে জেলেনস্কির সেনারা। অব্যাহত এ লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটাতে কাজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর সেই চুক্তির দিকে তাকিয়ে বাকি বিশ্ব।

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সবমিলিয়ে দেশটির তিন চর্তুথাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশ, থাই ও চীন সীমান্ত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোনঠাসা মিয়ানমারের সামরিক সরকার। তবে নিজেদের হারের লজ্জা ঢাকতে বেসামরিকদের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে জান্তা বাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় গেলো ২০২৪

আপডেট সময় : ০১:০১:৫৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

বিভক্ত বিশ্বে আসছে নতুন বছর। চলমান যুদ্ধ আর রাজনৈতিক অস্থিরতায় উত্তেজনাপূর্ণ কেটেছে ২০২৪ সাল। বছরজুড়েই মধ্যপ্রাচ্যে বিষফোঁড়া হয়ে ছিলো ইসরাইল। গাজা, লেবাননের পাশাপাশি সিরিয়ার দিকেও হাত বাড়িয়েছে নেতানিয়াহু বাহিনী। নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে গাজাবাসীর ওপর। প্রায় তিন বছর ধরে গোলা আর বারুদের মিছিলে আছে রাশিয়া-ইউক্রেন। নাম আছে মিয়ানমারেরও। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোর দুঃখ, দুশ্চিন্তা, স্বজন হারানোর হাহাকার, আর সহিংসতা আর স্বপ্ন অবসান।

ক্যালেন্ডারের পাতা ওল্টায়, সময়ও গড়িয়ে চলে আপন নিয়মে। ভবিষ্যতের পানে ছুটে চলায় পাথেয় হয় পুরনো বছর। তবে ২০২৪ সাল বিশ্ববাসীকে এত মরদেহ, ক্ষত, ধ্বংস আর অনাহারের মুখোমুখী করিয়েছে, যে পুরনোকে মনে করে আঁতকে উঠবে মানুষ। বিশেষত ফিলিস্তিন অধিকৃত গাজাবাসী।

ভূমধ্যসাগরের পূর্ব উপকূলে অবস্থিত এক চিলতে ভূখণ্ড গাজা। এই উপত্যকাকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ উন্মুক্ত কারাগার বলা হয়। দীর্ঘ নির্যাতন-নিপীড়নের জবাবে গত বছর ৭ই অক্টোবর গাজা থেকে ইসরাইলের ভেতর আকস্মিক হামলা চালায় ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলার অজুহাতে গাজায় শুরু হয় ইসরাইলের বর্বর সামরিক আগ্রাসন যা গত ১৪ মাসের বেশি সময় ধরে চলছে। আর এতে সব ধরনের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে প্রধান মিত্র আমেরিকাসহ পশ্চিমা বিশ্ব।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের তথ্য মতে, ইসরাইলের এই অবিরাম হামলায় প্রাণ হারিয়েছে ৪৫ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি। আহতও লক্ষাধিক। এছাড়া উপত্যকা জুড়ে ধ্বংস হওয়া বাড়িঘরের ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও ১৩ হাজারেরও বেশি নিখোঁজ রয়েছন। জাতিসংঘ বলছে, মাত্র ৩৬৫ বর্গকিলোমিটারের ভূখণ্ডটির ৬০ শতাংশ ভবন এবং ৫৭ শতাংশ কৃষি জমি ধ্বংস হয়ে গেছে।

খোলা প্রান্তরে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি ও ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে দিন গুজরান করছেন অন্তত ২০ লাখ গাজাবাসী। হামাস নির্মূলের নামে ফিলিস্তিনিদের ওপর নৃশংসতা চালানোয় ইসরাইলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও গণহত্যার অভিযোগ রুজু হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিন্দা আর সব আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে এখনও হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। একইভাবে হত্যাযজ্ঞ চলছে অধিকৃত পশ্চিম তীরেও। যুদ্ধবিরতির আশায় বাকি বিশ্বের দিকে তাকিয়ে আছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। আশার কথা শোনাচ্ছেন আমেরিকার নয়া প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তিনি কী আদৌও রুখবেন জায়নবাদী ইসরাইলকে?

গাজায় হামলা শুরুর পর থেকেই লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর সাথে ইসরাইলের উত্তেজনা চলছিল। তবে হিজবুল্লাহ নেতা ফুয়াদ শোকর ও হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর জেরে সে উত্তেজনার আগুনে ঘি পড়ে। পালাপাল্টি রকেট ও পেজার হামলার পর, সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে হিজবুল্লাহর সদর দফতরে চালানো ভয়াবহ হামলায় সংগঠনটির ৩২ বছর ধরে নেতৃত্ব দেয়া হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। এরপর ১লা অক্টোবর হিজবুল্লাহকে লেবানন থেকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে স্থল অভিযানে নামে ইসরাইলি বাহিনী।

হামলায় নারী-শিশুসহ প্রায় চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ। অপরদিকে হিজবুল্লাহও ইসরাইলে পাল্টা আঘাত হেনেছে। অবশেষে আমেরিকা ও ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় গত ২৭শে নভেম্বর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় দুইপক্ষ। যা এখনো বহাল আছে। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, ৬০ দিনের মধ্যে সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে ইসরাইল ও হিজবুল্লাহ। তবে উভয় পক্ষই একে অপরের ওপর বারবার এই চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ করে আসছে।

এরইমধ্যে ইসরাইলের নতুন শিকারে পরিণত হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের আরেক দেশ সিরিয়া। ব্যাপক বিদ্রোহের পর দেশটির স্বৈরশাসক বাশার আল আসাদের পতনের সুযোগ নিচ্ছে ইসরাইল। নিরাপত্তার অজুহাতে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে সীমান্তের বাফার জোন গোলান মালভূমি ও হারমন পর্বত। এতেই থেমে যায়নি ইসরাইলি বাহিনী। গোলান মালভূমিতে নিজেদের জনসংখ্যা দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়ে সিরিয়ায় বিস্তৃত হামলা অব্যাহত রেখেছে।

এদিকে প্রায় তিন বছর থেকে যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। ২০২১ সালের ফেব্র“যারি থেকে অব্যাহত যুদ্ধে ইউক্রেনের মোট ১ লাখ ১০ হাজার ৬৪৯ বর্গকিলোমিটার এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। ইন্সটিটিউট ফর দি স্টাডি অফ ওয়ার এর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের তুলনায় চলতি বছর ইউক্রেনের অন্তত ছয় গুণ বেশি ভূমি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রুশ বাহিনী। অন্যদিকে পশ্চিমা সহায়তা পেয়ে রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে ইউক্রেন যে বিস্ময়কর অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছিল সেখান থেকে পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছে জেলেনস্কির সেনারা। অব্যাহত এ লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটাতে কাজ শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। আর সেই চুক্তির দিকে তাকিয়ে বাকি বিশ্ব।

২০২১ সালের পহেলা ফেব্রুয়ারি মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সু চির নির্বাচিত সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে সামরিক সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করে বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠী। সবমিলিয়ে দেশটির তিন চর্তুথাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে তারা। বাংলাদেশ, থাই ও চীন সীমান্ত এলাকাগুলোর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কোনঠাসা মিয়ানমারের সামরিক সরকার। তবে নিজেদের হারের লজ্জা ঢাকতে বেসামরিকদের ওপর বোমা হামলা অব্যাহত রেখেছে জান্তা বাহিনী।