ঢাকা ০৮:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালটিও ধ্বংস করল ইসরায়েল

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৯৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল কামাল আদওয়ানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে গতকাল শুক্রবার আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান নামে ওই হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের একটি তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনারা জোর করে হাসাপাতালের চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এতে অনেক রোগী স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে অভিযানের সময় কিছু মূল বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর গাজার হাসপাতাল ও আশেপাশে অভিযান পরিচালনা করছে। কারণ হিসেবে বলেছে, হামাস শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে হাসপাতালটিকে ব্যবহার করছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকাটির ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।

নিউজটি শেয়ার করুন

উত্তর গাজার শেষ হাসপাতালটিও ধ্বংস করল ইসরায়েল

আপডেট সময় : ০১:১৪:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪

ইসরায়েলি বাহিনীর অভিযানে ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার শেষ হাসপাতাল কামাল আদওয়ানের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে। সেখানে গতকাল শুক্রবার আগুন ধরিয়ে দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কামাল আদওয়ান নামে ওই হাসপাতালের পরিচালক হুসাম আবু সাফিয়াসহ বেশ কয়েকজন কর্মীকে আটক করা হয়েছে। তাদের একটি তদন্তকেন্দ্রে নিয়ে গেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েলি সেনারা জোর করে হাসাপাতালের চিকিৎসা সুবিধা বন্ধ করে দেয়। এতে অনেক রোগী স্বাস্থ্য সংকটে পড়েছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া একটি পোস্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানা গেছে অভিযানের সময় কিছু মূল বিভাগ মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে এবং ধ্বংস হয়ে গেছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা উত্তর গাজার হাসপাতাল ও আশেপাশে অভিযান পরিচালনা করছে। কারণ হিসেবে বলেছে, হামাস শক্তিশালী ঘাঁটি হিসাবে হাসপাতালটিকে ব্যবহার করছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন হামলার পর থেকে গাজা উপত্যকায় নির্বিচার বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি বাহিনীর এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থীশিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। অনেক মানুষ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়ে আছেন, কারণ উদ্ধারকারীরা তাদের কাছে পৌঁছাতে পারছেন না। গাজায় এ পর্যন্ত ইসরায়েলি হামলায় ৪৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।

ইসরায়েলি আগ্রাসনে উপত্যকাটির ২০ লাখের বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে লাখো মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতেও হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। হতাহত হচ্ছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ।