ঢাকা ০৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

টেলিকম অপারেটরদের ওয়াই-ফাই সেবা, আপত্তি এনটিটিএনের

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৮৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবার টেলিকম অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে চাইছে বিটিআরসি। যদিও খসড়া নীতিমালায় অসামঞ্জস্যতা দেখছে টেলকোরাও। আবার নেটওয়ার্ক বিস্তারের বাজার প্রতিযোগিতায় টেলিকম কোম্পানি ঢুকে পড়লে বিনিয়োগ ঝুঁকির শঙ্কা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক কোম্পানির। আইনজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো ভাগাভাগির নীতিমালা আরো বিস্তর আলোচনার ভিত্তিতে করা উচিত।

সাধারণত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। তাদের থেকে সেবা নেয় দেশের চার অপারেটরও। ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইনের আলোকে ২০০৮ সালে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। কিন্তু নীতিমালা কিছুটা অসম্পূর্ণ থাকায় এই নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব আসে। কিন্তু সে প্রস্তাবনা প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকলেও নতুন করে করা হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন বা অবকাঠামো ভাগাভাগির নীতিমালা।

গেল ১৮ ডিসেম্বর এর খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। সেখানে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া এর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ারও সুযোগ তৈরি হবে। এতে এই নীতিমালাকে অনুমোদন দেয়া হলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে। যদিও মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বিষয়টিকে বাজার প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে দেখছে। কিন্তু এ নীতিমালায় এখনও নানা ধরনের অসামঞ্জসতাও দেখছেন তারা।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, ‘আমরা অবজেকশন দিয়েছি এইটা যথেষ্ট না। ব্যান্ড শেয়ারিং দিয়ে কোনো কিছু হবে না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিংয়ের কথা বলেছি সবাই সবার ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং করবে।’

অন্যদিকে এনটিটিএন অপারেটররা বলছে, দেশীয় বিনিয়োগ এতে কিছুটা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বলেন, এই অবকাঠামো বানিয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা আইএসপির কাছে বিক্রিরও সুযোগ থাকে, তাই এখনই এ অসম্পূর্ণ নীতিমালায় পাস করা ঠিক হবে না।

ফাইবার এট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘এই নীতিমালায় কোথাও অসম্পূর্ণ আছে কিনা সেই জায়গাগুলো দেখা।’

আইনজ্ঞরা বলছেন, খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার হুবহু মিল আছে। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ ভাল অর্থ বহন করে না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘এনটিটিএনদের নিজস্ব নীতিমালা আছে। খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে কথা বলা হচ্ছে তা এনটিটিএন নীতিমালার হুবহু মিল আছে। এই নীতিমালা থাকার পরেও কেন খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং নীতিমালা প্রয়োজন পড়ছে তা বোধগম্য না।’

নিউজটি শেয়ার করুন

টেলিকম অপারেটরদের ওয়াই-ফাই সেবা, আপত্তি এনটিটিএনের

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

এবার টেলিকম অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ার সুযোগ তৈরি করতে চাইছে বিটিআরসি। যদিও খসড়া নীতিমালায় অসামঞ্জস্যতা দেখছে টেলকোরাও। আবার নেটওয়ার্ক বিস্তারের বাজার প্রতিযোগিতায় টেলিকম কোম্পানি ঢুকে পড়লে বিনিয়োগ ঝুঁকির শঙ্কা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক কোম্পানির। আইনজ্ঞরা বলছেন, অবকাঠামো ভাগাভাগির নীতিমালা আরো বিস্তর আলোচনার ভিত্তিতে করা উচিত।

সাধারণত ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ন্যাশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক বা এনটিটিএনের মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে পরে। তাদের থেকে সেবা নেয় দেশের চার অপারেটরও। ২০০১ সালের টেলিযোগাযোগ আইনের আলোকে ২০০৮ সালে এনটিটিএন নীতিমালা করে বিটিআরসি। কিন্তু নীতিমালা কিছুটা অসম্পূর্ণ থাকায় এই নীতিমালা সংশোধনের প্রস্তাব আসে। কিন্তু সে প্রস্তাবনা প্রায় দুই বছর ধরে ঝুলে থাকলেও নতুন করে করা হচ্ছে ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইন বা অবকাঠামো ভাগাভাগির নীতিমালা।

গেল ১৮ ডিসেম্বর এর খসড়া ওয়েবসাইটে দেয় বিটিআরসি। সেখানে মোবাইল অপারেটরদের নিজস্ব ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক নির্মাণের অনুমতি দেয়ার প্রস্তাব করা হয়। এছাড়া এর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের ফিক্সড ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দেয়ারও সুযোগ তৈরি হবে। এতে এই নীতিমালাকে অনুমোদন দেয়া হলে টেলিযোগাযোগ খাতের সব ধরনের সেবার নিয়ন্ত্রণ শুধু তিনটি মোবাইল অপারেটরের কাছে চলে যাবে। যদিও মুঠোফোন কোম্পানিগুলো বিষয়টিকে বাজার প্রতিযোগিতার অংশ হিসেবে দেখছে। কিন্তু এ নীতিমালায় এখনও নানা ধরনের অসামঞ্জসতাও দেখছেন তারা।

রবির চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার মোহাম্মদ সাহেদুল আলম বলেন, ‘আমরা অবজেকশন দিয়েছি এইটা যথেষ্ট না। ব্যান্ড শেয়ারিং দিয়ে কোনো কিছু হবে না। ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিংয়ের কথা বলেছি সবাই সবার ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং করবে।’

অন্যদিকে এনটিটিএন অপারেটররা বলছে, দেশীয় বিনিয়োগ এতে কিছুটা হুমকির মুখে পড়তে পারে। বলেন, এই অবকাঠামো বানিয়ে ব্রডব্যান্ড সেবা আইএসপির কাছে বিক্রিরও সুযোগ থাকে, তাই এখনই এ অসম্পূর্ণ নীতিমালায় পাস করা ঠিক হবে না।

ফাইবার এট হোমের প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ‘এই নীতিমালায় কোথাও অসম্পূর্ণ আছে কিনা সেই জায়গাগুলো দেখা।’

আইনজ্ঞরা বলছেন, খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে উদ্দেশ্য এবং প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে, তা বিদ্যমান এনটিটিএন নীতিমালার হুবহু মিল আছে। এর অর্থ এনটিটিএন নীতিমালা সংশোধনই যথেষ্ট ছিল। সেটা না করে একই ধরনের নতুন একটি গাইডলাইন প্রণয়নের উদ্যোগ ভাল অর্থ বহন করে না।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার বলেন, ‘এনটিটিএনদের নিজস্ব নীতিমালা আছে। খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং গাইডলাইনের যে কথা বলা হচ্ছে তা এনটিটিএন নীতিমালার হুবহু মিল আছে। এই নীতিমালা থাকার পরেও কেন খসড়ায় ইনফ্রাস্ট্রাকচার শেয়ারিং নীতিমালা প্রয়োজন পড়ছে তা বোধগম্য না।’