ঢাকা ০৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত, জীবিত উদ্ধার ২

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭১ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে পৌঁছেছে। এই দুর্ঘটনায় কেবল ২ জন বেঁচে আছেন।

বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ান শহরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে ধাক্কা খায়। বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এই দুর্ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানায়, বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, দুইজন ছাড়া বাকি সকলেই মারা গেছেন।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করা জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উদ্ধারকারীরা জানায়, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি বিস্ফোরিত হয় এবং ব্যাপক আগুন ধরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা মনে করছে, পাখির আঘাতে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয় এবং ফুটেজে দেখা যায় যে, বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে যাচ্ছিল, কারণ ল্যান্ডিং গিয়ারটি কাজ করছিল না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে আঘাত হানে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। পরবর্তীতে, বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ায় বিমান বিধ্বস্তে ১৭৯ জন নিহত, জীবিত উদ্ধার ২

আপডেট সময় : ০১:২৮:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮১ আরোহী নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে, যার ফলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৭৯ জনে পৌঁছেছে। এই দুর্ঘটনায় কেবল ২ জন বেঁচে আছেন।

বিমানটি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় মুয়ান শহরে অবতরণের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে ধাক্কা খায়। বিমানে ১৭৫ জন যাত্রী এবং ৬ জন ক্রু ছিলেন।

রোববার (২৯ ডিসেম্বর) এই দুর্ঘটনা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য মিরর জানায়, বিমানের বিধ্বস্ত হওয়ার পর ধ্বংসস্তূপ থেকে দুই জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। অন্যদিকে, দক্ষিণ কোরিয়ার বার্তাসংস্থা ইয়োনহাপ জানিয়েছে, দুইজন ছাড়া বাকি সকলেই মারা গেছেন।

এটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসের সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনার মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে উড্ডয়ন করা জেজু এয়ারের ফ্লাইট ৭সি২২১৬ মুয়ান বিমানবন্দরে অবতরণের সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।

উদ্ধারকারীরা জানায়, বিধ্বস্ত হওয়ার পর বিমানটি বিস্ফোরিত হয় এবং ব্যাপক আগুন ধরে যায়। দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় অগ্নিনির্বাপক সংস্থা মনে করছে, পাখির আঘাতে বিমানটির ল্যান্ডিং গিয়ারে সমস্যা হয় এবং ফুটেজে দেখা যায় যে, বিমানটি রানওয়ে থেকে পিছলে যাচ্ছিল, কারণ ল্যান্ডিং গিয়ারটি কাজ করছিল না।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, বিমানটি রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেওয়ালে আঘাত হানে এবং সঙ্গে সঙ্গে আগুন ধরে যায়। পরবর্তীতে, বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডলী আকাশে উড়তে দেখা যায়।

দক্ষিণ কোরিয়ার ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চোই সাং-মোক উদ্ধারকার্য চালানোর জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন।