ঢাকা ০৫:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫, ১৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লক্ষ্য মাত্র ১৪৮। ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ঘরের মাঠে এই রান তাড়া করা সহজ হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ চ্যালেঞ্জ কঠিন করে তোলে। বিশেষ করে আব্বাস আফ্রিদি ৬ উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় বিপদে ফেলে দেন। তবে শেষ দিকে কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের অসাধারণ লড়াইয়ের কারণে ২ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৫ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে।

সেঞ্চুরিয়ানে বক্সিং ডে টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ২১১ রানে অলআউট হয়। কামরান গুলামের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে। ডেইন প্যাটারসন ৫ উইকেট এবং করবিন বশের ৪ উইকেট শিকার করেন। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মার্করামের ৮৯ এবং করবিন বশের ৮১ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩১১ রান তোলে। এতে তারা ৯০ রানের লিড পায়। পাকিস্তানের পক্ষে খুররাম শেহজাদ এবং নাসিম শাহ ৩টি করে উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাবর আজম দুই বছর পর ফিফটি করেন এবং সৌদ শাকিল করেন ৮৪ রান। তবে পুরো দল মিলে ২৩৭ রানে থামে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই বিপদে পড়ে। পাকিস্তানের বোলার মোহাম্মদ আব্বাস তার দারুণ পারফরম্যান্সে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের স্কোর ৯৯ রানে ৮ উইকেটে নামিয়ে আনে।

এই অবস্থায় ম্যাচটি পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছিল। কিন্তু নবম উইকেটে কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের দৃঢ়তায় ৫২ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়ারা। রাবাদার ৩১ রানের সাহসী ইনিংস এবং ইয়ানসেনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নেয়।

এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে। প্রোটিয়াদের এই জয়টি প্রমাণ করেছে যে চোকার্স তকমা থেকে বেরিয়ে তারা বড় ম্যাচেও জিততে পারে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের বোলাররা বিশেষ করে মোহাম্মদ আব্বাস এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। তবে তাদের ব্যাটারদের ব্যর্থতাই মূলত ম্যাচ থেকে দলকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফিফটি করলেও বাবর আজম দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারেননি। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ব্যাটিং লাইনআপ মজবুত করে পরবর্তী সিরিজে ফেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানের স্বপ্ন ভেঙে ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকা

আপডেট সময় : ০৭:৫৮:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

লক্ষ্য মাত্র ১৪৮। ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য ঘরের মাঠে এই রান তাড়া করা সহজ হওয়ার কথা। তবে পাকিস্তানের দুর্দান্ত বোলিং আক্রমণ চ্যালেঞ্জ কঠিন করে তোলে। বিশেষ করে আব্বাস আফ্রিদি ৬ উইকেট শিকার করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রায় বিপদে ফেলে দেন। তবে শেষ দিকে কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের অসাধারণ লড়াইয়ের কারণে ২ উইকেটে জয় পায় প্রোটিয়ারা। এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা ২০২৫ সালের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে।

সেঞ্চুরিয়ানে বক্সিং ডে টেস্টে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান মাত্র ২১১ রানে অলআউট হয়। কামরান গুলামের ব্যাট থেকে সর্বোচ্চ ৫৪ রান আসে। ডেইন প্যাটারসন ৫ উইকেট এবং করবিন বশের ৪ উইকেট শিকার করেন। জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকা মার্করামের ৮৯ এবং করবিন বশের ৮১ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ৩১১ রান তোলে। এতে তারা ৯০ রানের লিড পায়। পাকিস্তানের পক্ষে খুররাম শেহজাদ এবং নাসিম শাহ ৩টি করে উইকেট নেন।

দ্বিতীয় ইনিংসে পাকিস্তান কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলে। বাবর আজম দুই বছর পর ফিফটি করেন এবং সৌদ শাকিল করেন ৮৪ রান। তবে পুরো দল মিলে ২৩৭ রানে থামে। দক্ষিণ আফ্রিকার সামনে ১৪৮ রানের লক্ষ্য দাঁড়ায়।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরুতেই বিপদে পড়ে। পাকিস্তানের বোলার মোহাম্মদ আব্বাস তার দারুণ পারফরম্যান্সে ৬ উইকেট শিকার করে প্রোটিয়াদের স্কোর ৯৯ রানে ৮ উইকেটে নামিয়ে আনে।

এই অবস্থায় ম্যাচটি পাকিস্তানের দিকে ঝুঁকছিল। কিন্তু নবম উইকেটে কাগিসো রাবাদা এবং মার্কো ইয়ানসেনের দৃঢ়তায় ৫২ রানের জুটি গড়ে প্রোটিয়ারা। রাবাদার ৩১ রানের সাহসী ইনিংস এবং ইয়ানসেনের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা ২ উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নেয়।

এই জয়ের মাধ্যমে দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে প্রথম দল হিসেবে জায়গা নিশ্চিত করেছে। প্রোটিয়াদের এই জয়টি প্রমাণ করেছে যে চোকার্স তকমা থেকে বেরিয়ে তারা বড় ম্যাচেও জিততে পারে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের বোলাররা বিশেষ করে মোহাম্মদ আব্বাস এই ম্যাচে দুর্দান্ত পারফর্ম করে। তবে তাদের ব্যাটারদের ব্যর্থতাই মূলত ম্যাচ থেকে দলকে দূরে সরিয়ে দেয়। ফিফটি করলেও বাবর আজম দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট অবদান রাখতে পারেননি। তাদের পরবর্তী লক্ষ্য হবে ব্যাটিং লাইনআপ মজবুত করে পরবর্তী সিরিজে ফেরা।