বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেছেন, ব্যাংক খাতে অর্জনের পাশাপাশি ব্যর্থতাও রয়েছে এবং এই ব্যর্থতার দায় কোনো একক গোষ্ঠীর নয়, বরং সবার।
আজ রোববার (২৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) গোল্ডেন জুবিলি উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
গভর্নর ড. মুনসুর বলেন, প্রথম দিকে মনে হয়েছিল কিছু ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে পড়তে পারে। কিন্তু সেগুলো এখন ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংকিং খাতের ধস নিয়ে যে শঙ্কা ছিল, তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে। এখন আর কোনো ব্যাংক পতনের শঙ্কা নেই।
গভর্নর বলেন, 'আর্থিক খাত না আগানোর পেছনে সংশ্লিষ্ট সবাই দায়ী। তবে ব্যাংক খাত সামনে এগিয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে আমানতকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সবাইকে কাজ করতে হবে। ব্যাংকিং খাতে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পরিচালকদের দক্ষতা ও নৈতিকতায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। তা না থাকলে এ খাতের পরিবর্তন আসবে না।' সেই সাথে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরাতে না পারলে আর্থিক খাতের ক্ষত বাড়বে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, অর্থনীতির অগ্রগতির জন্য ব্যাংক খাতকে পুনর্গঠন করতে হবে। আমাদের অর্থনীতিতে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ঘাটতি ও রিজার্ভের পতনের মতো বড় সংকট ছিল। তবে এই সংকট থেকে আমরা অনেকটা উত্তরণ করেছি। আগস্টের পর থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করেনি, ফলে রিজার্ভ আর কমেনি। বরং রিজার্ভ বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।
গভর্নর বলেন, ব্যাংকিং খাতের বিকাশের জন্য আমানতকারী ও বিনিয়োগকারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা অপরিহার্য। এই খাত ঘুরে দাঁড়ালে দেশের অর্থনীতি আরও বিকশিত হবে।
গভর্নর ড. মুনসুরের মতে, অর্থনীতি পুনর্গঠনের জন্য ব্যাংকিং খাতকে শক্তিশালী করতে হবে। তিনি বলেন, ব্যাংক খাতের অব্যবস্থাপনা ও সংকট মোকাবিলা করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরি। একক কোনো পক্ষ নয়, বরং সবাইকে সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে।