ঢাকা ০৯:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৫ জুন ২০২৫, ১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी
ব্রেকিং নিউজ ::
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইরানের বন্দর আব্বাসের গ্যাস স্থাপনা, ইস্পাহানের পারমাণবিক স্থাপনা এবং তেহরানের অন্যান্য লক্ষ্যবস্তুতে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে: ইসরায়েলি মিডিয়া :::: ইরানের রাজধানী তেহরান, হরমোজগান, কেরমানশাহ, পশ্চিম আজারবাইজান, লোরেস্তান ও খুজেস্তানসহ ইরানের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে নতুন করে তীব্র হামলা চালিয়েছে ইসরাইল :::: ইরানের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক বলেছেন, কূটনৈতিক উপায় 'এখনো শেষ হয়ে যায়নি' :::: ইসরায়েল-ইরান সংঘাত নিয়ে আলোচনা করলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা :::: ইসরাইলি হামলায় ইরানের এসফাহান পরমাণু স্থাপনার চারটি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে: আইএইএ :::: ইরানে ইসরায়েলি হামলাকে 'অসহনীয়' বলল জাপান :::: ইরানের প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে কথা বললেন ফরাসী প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ :::: ইরানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনালাপে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছেন কাতারের শেখ তামিম :::: ইরানের সামরিক বাহিনী বলছে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলের ১০টি বিমান ভূপাতিত করা হয়েছে :::: ইরানের গ্যাসক্ষেত্রে বেসামরিক অবকাঠামোতে ইসরাইলি হামলা ::: তেহরানে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক হামলায় নিহত ৪০

২০২৪ সাল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর!

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৪৫৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিশ্বব্যাপী প্রতি ছয় শিশুর একজনের বেশি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ২০২৪ সালকে শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গাজা, সুদান ও ইউক্রেনসহ চলমান বৈশ্বিক যুদ্ধে হুমকির মুখে আছে কয়েক কোটি শিশু।

যুদ্ধে শিশুদের কোনো দায় না থাকলেও, তাদেরকেই সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়। বোমার আঘাতে প্রাণ দিয়ে হয় তাদেরই। হাইতি থেকে মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধে শিশুদের একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ইউনিসেফের তথ্য বলছে, বর্তমানে ৪৭ কোটির বেশি শিশু সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বাস করছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ছিল সাড়ে চার কোটি। চলতি বছরে হাইতি, লেবানন, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন ও সুদানসহ বিভিন্ন দেশে সংঘাত তীব্রতর হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে গৃহহীন শিশুর সংখ্যাও।

সংস্থাটি আরও জানায়, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে কয়েক গুণ। একদিকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শিক্ষা, অন্যদিকে অপুষ্টিতে ভুগছে অনেক শিশু। এছাড়া সশস্ত্র সংঘাত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা গাজা উপত্যকার। গেল ১৫ মাসে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোমলমতি শিশুর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, গাজার প্রায় ৯৬ শতাংশ নারী ও শিশু তাদের মৌলিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। গাজাকে হৃদয়বিদারক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘ইসরাইলি হামলায় প্রায় প্রতিদিনই বহু শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গাজার প্রতিটি ঘটনাই প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য হৃদয়বিদারক। এই উপত্যকার হতাহত শিশুর সংখ্যাটা আসলেই ভয়ংকর। গাজা যুদ্ধে যত শিশু মারা গেছে বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এমন অবস্থা তৈরি হয়নি।’

অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিটি শিশুর জীবন কাটছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে। শরণার্থী শিবিরে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টিহীনতায় মানবেতর জীবন পার করছে তারা। গায়ে নেই শীতের পোশাক, আবর্জনার ভেতর খুঁজতে হচ্ছে খাবার, জর্জরিত নানা রোগে। চোখের সামনে স্বজনদের হারাচ্ছে অসহায় এসব শিশু।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা একজন শিশু বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে ঘড়বাড়ি ছেড়ে আমাদের পালিয়ে আসতে হয়েছে। আমরা এখানে আশ্রয় নিয়েছি।’

অন্য এক শিশু বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া। উত্তর গাজায় আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।’

এদিকে সুদানে চলমান সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটির বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে ৫২ শতাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া শরণার্থী শিবিরে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ।

জাতিসংঘ বলছে, চলমান বৈশ্বিক সংঘাতে, লাখ লাখ শিশুর হতাহত হওয়ার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়বে।

নিউজটি শেয়ার করুন

২০২৪ সাল শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর!

আপডেট সময় : ১২:০৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বব্যাপী প্রতি ছয় শিশুর একজনের বেশি সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে বাস করে। এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থা ইউনিসেফ। ২০২৪ সালকে শিশুদের জন্য সবচেয়ে খারাপ বছর হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। গাজা, সুদান ও ইউক্রেনসহ চলমান বৈশ্বিক যুদ্ধে হুমকির মুখে আছে কয়েক কোটি শিশু।

যুদ্ধে শিশুদের কোনো দায় না থাকলেও, তাদেরকেই সর্বোচ্চ মূল্য দিতে হয়। বোমার আঘাতে প্রাণ দিয়ে হয় তাদেরই। হাইতি থেকে মিয়ানমার, ফিলিস্তিন, সুদান, ইউক্রেনসহ বিশ্বের অনিয়ন্ত্রিত যুদ্ধে শিশুদের একটি প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে।

ইউনিসেফের তথ্য বলছে, বর্তমানে ৪৭ কোটির বেশি শিশু সংঘাতপূর্ণ এলাকায় বাস করছে। ২০২৩ সালের শেষ নাগাদ বাস্তুচ্যুত শিশুর সংখ্যা ছিল সাড়ে চার কোটি। চলতি বছরে হাইতি, লেবানন, মিয়ানমার, ফিলিস্তিন ও সুদানসহ বিভিন্ন দেশে সংঘাত তীব্রতর হওয়ায় ক্রমেই বাড়ছে গৃহহীন শিশুর সংখ্যাও।

সংস্থাটি আরও জানায়, শিশুদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে কয়েক গুণ। একদিকে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে তাদের শিক্ষা, অন্যদিকে অপুষ্টিতে ভুগছে অনেক শিশু। এছাড়া সশস্ত্র সংঘাত শিশুদের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ফেলছে মারাত্মক প্রভাব।

সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা গাজা উপত্যকার। গেল ১৫ মাসে ইসরাইলি হামলায় প্রাণ গেছে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোমলমতি শিশুর। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার তথ্যমতে, গাজার প্রায় ৯৬ শতাংশ নারী ও শিশু তাদের মৌলিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারছে না। গাজাকে হৃদয়বিদারক স্থান হিসেবে উল্লেখ করেছেন ইউনিসেফের এই কর্মকর্তা।

ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক ক্যাথরিন রাসেল বলেন, ‘ইসরাইলি হামলায় প্রায় প্রতিদিনই বহু শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। গাজার প্রতিটি ঘটনাই প্রত্যেকটি পরিবারের জন্য হৃদয়বিদারক। এই উপত্যকার হতাহত শিশুর সংখ্যাটা আসলেই ভয়ংকর। গাজা যুদ্ধে যত শিশু মারা গেছে বিশ্বের অন্য কোনো সংঘাতে এমন অবস্থা তৈরি হয়নি।’

অবরুদ্ধ গাজায় প্রতিটি শিশুর জীবন কাটছে দুঃস্বপ্নের মধ্যে। শরণার্থী শিবিরে প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টিহীনতায় মানবেতর জীবন পার করছে তারা। গায়ে নেই শীতের পোশাক, আবর্জনার ভেতর খুঁজতে হচ্ছে খাবার, জর্জরিত নানা রোগে। চোখের সামনে স্বজনদের হারাচ্ছে অসহায় এসব শিশু।

আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা একজন শিশু বলেন, ‘যুদ্ধের কারণে ঘড়বাড়ি ছেড়ে আমাদের পালিয়ে আসতে হয়েছে। আমরা এখানে আশ্রয় নিয়েছি।’

অন্য এক শিশু বলেন, ‘এক বছরেরও বেশি সময় ধরে আমরা বাড়ি ছাড়া। উত্তর গাজায় আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।’

এদিকে সুদানে চলমান সশস্ত্র বাহিনীর সংঘর্ষে বাস্তুচ্যুত হয়েছে এক কোটির বেশি মানুষ। যাদের মধ্যে ৫২ শতাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক। দুর্ভিক্ষের মুখে পড়া শরণার্থী শিবিরে মিলছে না প্রয়োজনীয় খাবার ও ওষুধ।

জাতিসংঘ বলছে, চলমান বৈশ্বিক সংঘাতে, লাখ লাখ শিশুর হতাহত হওয়ার ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা আরও বাড়বে।