অবশেষে জয়ের স্বাদ পেলো ম্যানসিটি
- আপডেট সময় : ১২:৫৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৬২ বার পড়া হয়েছে
টানা পাঁচ ম্যাচ হারের পর ম্যানচেস্টার সিটি অবশেষে জয়ের দেখা পেয়েছে। আকাশি-নীলদের আকাশের ঘন কালো মেঘ সরিয়ে দিলেন ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার স্যাভিনিও। এই দিন আর্লিং হালান্ডও পেয়েছেন গোল।
কিং পাওয়ার স্টেডিয়ামে জয়ে ফিরতে শুরু থেকেই মরিয়া হয় ম্যানসিটি। প্রতিপক্ষের মাঠে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় তারা। তবে ৭ মিনিটে আর্লিং হালান্ডের নেওয়া জোরালো শট ঠেকিয়ে দেন লেস্টার সিটির গোলরক্ষক জ্যাকুব সোলারজিক।
লেস্টারের গোলরক্ষকের চেয়েও বড় বীরত্ব দেখান ম্যানচেস্টার সিটির গোলরক্ষক। ১৯ মিনিটে সিটির ডিফেন্ডার জস্কো ভার্দিওলের ভুলে বল পান জেমি ভার্ডি। সিটির গোলরক্ষককে বাড়িয়ে দেওয়া ভার্দিওলের বল পেয়ে গোলমুখেই রেখেছিলেন ভার্ডি। তবে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে সিটিকে বাঁচিয়ে দেন গোলরক্ষক স্তেফান ওর্তেগা।
যদিও ২১ মিনিটে দলকে রক্ষা করতে পারেননি সোলারজিক। অবশ্য প্রথম আক্রমণ দারুণভাবে প্রতিহত করেছিলেন লেস্টার সিটির গোলরক্ষক। তবে ফোডেনের শট কোনো রকমে ফেরালেও ফিরতি সুযোগে বল জালে জড়ান স্যাভিনিও। ৩৬ মিনিটে দলের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগ পান হালান্ড। কিন্তু যে শটটা নিলেন তা অল্পের জন্য গোলবার ঘেঁষে বাইরে যায়।
দুই মিনিট পরেই সমতায় ফেরার সুযোগ পায় লেস্টারও। কিন্তু তাদের হতাশ করেন গোলবার। ৩৮ মিনিটে জটলার মধ্যে থেকে নেওয়া লেস্টারের এক খেলোয়াড়ের হেড গোলবারে লেগে ফিরে আসে। বিরতি শেষে ৬২ মিনিটেও কোনোরকমে বেঁচে যায় সিটি। তবে ৬৮ মিনিটে সবচেয়ে সহজ সুযোগ পেয়েছিলো লেস্টার। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষকের সামনে পাওয়া ক্রসকে শুধু পা দিয়ে জালের পথ দেখাতে পারলেই হতো ভার্ডির। লেস্টারের স্ট্রাইকার অবশ্য পা লাগালেন কিন্তু তা পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।
লেস্টার সুযোগগুলো কাজে লাগিয়ে সমতায় ফিরতে না পারলেও ঠিকই ব্যবধান দ্বিগুণ করে সিটি। ৭৪ মিনিটে হেডে গোলটি করেন হালান্ড। স্যাভানিওর ক্রসে বলকে শুধু দিশা দেখান সিটি স্ট্রাইকার। ডান দিকে ঝাঁপ দিয়েও বলের পথ বাধা হতে পারেননি লেস্টারের গোলরক্ষক।
ম্যাচের ৮৯ মিনিটেও ভাগ্য পাশে থাকেনি লেস্টারের। ভার্ডির হেড বারে লেগে বাইরে যায়। বদলি নেমে পরে লেস্টারের হার এড়াতে পারেননি বাংলাদেশের মিডফিল্ডার হামজা চৌধুরিও। আর কোনো গোল না হলে ২-০ ব্যবধানে জয়ে ফিরে ম্যানসিটি। সবমিলিয়ে সর্বশেষ ১৪ ম্যাচে দ্বিতীয় জয় পেয়েছে সিটি। এদিকে ৩ ড্রয়ের বিপরীতে তারা হারের সম্মুখীন হয়েছে ৯টিতে।