ঢাকা ০৬:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভারতের হাতছাড়া মেলবোর্ন টেস্ট

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৬৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

৩৪০ রানের লক্ষ্য যে মেলবোর্নের পঞ্চম দিনের পিচে তাড়া করা সহজ হবে না তা ভারতীয় ব্যাটাদের প্রথম থেকেই জানা ছিল। তাই বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে কিছুটা ফিকে হলেই ব্যাটিং করতে নামেন রোহিত, যশস্বীরা।

ম্যাচের চতুর্থ দিনে ভারতের থেকে ৩৩৩ রানে এগিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের সকাল শুরু করে অজিরা। তবে, তাঁরা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। চতুর্থ দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ৬ রান যোগ করেই শেষ হয় কামিন্সদের দ্বিতীয় ইনিংস। বুমরাহ পান ৫ উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরু থেকেই দুই ওপেনারের লক্ষ্য ছিল, ধরে খেলবেন। সেই সঙ্গে বল পুরনো হতে সময় দেবেন। তারপর সিদ্ধান্ত অনুসারে ম্যাচ বাঁচানো, না জয়ের চেষ্টা হবে তা দেখে নেওয়া হবে। অ্যাটাক করার পাশাপাশি ছাড়ার দিকেও নজর দিতে শুরু করেন রোহিত-যশস্বীরা। প্রথম ১৫ ওভার পর্যন্ত বিনা উইকেটে ২২ রান ওঠে। ফলে মনে হতে থাকে বিপদের সময় অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু, দলের ২৫ রানের মাথায় হঠাৎই ছন্দপতন। ৪০ বলে ৯ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন কেএল রাহুন। কিন্তু, শুন্য রানে আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।

মাঠে নামেন বিরাট। কিন্তু, তাঁর রোগ যে এখনও সারেনি আবারও একবার কঠিন পরিস্তিতিতে প্রমাণ দিনে তিনি। ৫ রান করে ফের মিচেল স্টার্কের একটি বাইরের বলকে খোঁচা মেরে আউট হলেন তিনি। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন জয়ের স্বপ্ন আর দেখছে না ভারত। বরং ম্যাচ বাঁচানোর তাগিদ নিয়ে মাঠে তখন যশস্বী এবং ঋষভ পন্থ। হালকা আক্রমণ, সেই সঙ্গে ধরে খেলার ধৈর্য দেখাতে শুরু করলেন দুই ইয়ংস্টার।

প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১২৮ বলে অর্ধশতরান করলেন যশস্বী। সেই সঙ্গে, ঋষভকে নিয়ে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন তাঁরা। পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় সেশনে তাদের দৌলতে কোনও উইকেট হারাতে হয়নি ভারতে। চা বিরতি পর্যন্ত ৭৯ রান যোগ করেন তাঁরা। ফলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। কিন্তু, যখন সবাই এই ম্যাচ বাঁচানোর কথা ভাবছেন দুই ব্যাটারকে কেন্দ্র করে, তখনই ছন্দপতন। ১০৪ বলে ৩০ রান করে ট্রেভিস হেডের বলে আউট হন ঋষভ। তারপর থেকে আর ধরে রাখতে পারেনি ভারত। ঋষভের পরে স্কট বোলান্ডের বলে ২ রান করে আউট জাডেজা। প্রথম ইনিংসের শতরান করা নীতীশও এবার ব্যর্থ। ১ রান করে প্যাভেলিয়নের ফেরেন তিনি। এদিকে, কামিন্সের বলে ৮৪ রানের মাথায় আউট যশস্বী। কিন্তু তাঁর আউট ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। রিভিউতে খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, বল যশস্বীর গ্লাভসে লেগেছে। কিন্তু স্নিকোমিটারে কিছু ধরা পড়েনি। তার পরেও তৃতীয় আম্পায়ার খাল চোখের ভরসায় আউট দেন তাঁকে। ৭ রান করে বোলান্ডের বলে আউট আকাশ দীপ। ০ রানে আউট হন বুমরাহ। শেষের দিকে কিছুটা লড়াই চালিয়ে গেলেও তাতে কাজ হয়নি ওয়াশিংটন সুন্দরের। এদিকে, প্যাট কামিন্সরা ভারতের ব্যাটিংয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় মহম্মদ সিরাজকে ০ রানে আউট করে। ১৮৪ রানে পরাজিত হয় ভারত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতের হাতছাড়া মেলবোর্ন টেস্ট

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

৩৪০ রানের লক্ষ্য যে মেলবোর্নের পঞ্চম দিনের পিচে তাড়া করা সহজ হবে না তা ভারতীয় ব্যাটাদের প্রথম থেকেই জানা ছিল। তাই বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির চতুর্থ টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে কিছুটা ফিকে হলেই ব্যাটিং করতে নামেন রোহিত, যশস্বীরা।

ম্যাচের চতুর্থ দিনে ভারতের থেকে ৩৩৩ রানে এগিয়ে থেকে পঞ্চম দিনের সকাল শুরু করে অজিরা। তবে, তাঁরা বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। চতুর্থ দিনের স্কোরের সঙ্গে মাত্র ৬ রান যোগ করেই শেষ হয় কামিন্সদের দ্বিতীয় ইনিংস। বুমরাহ পান ৫ উইকেট।

জবাবে ব্যাট করতে নামে ভারত। শুরু থেকেই দুই ওপেনারের লক্ষ্য ছিল, ধরে খেলবেন। সেই সঙ্গে বল পুরনো হতে সময় দেবেন। তারপর সিদ্ধান্ত অনুসারে ম্যাচ বাঁচানো, না জয়ের চেষ্টা হবে তা দেখে নেওয়া হবে। অ্যাটাক করার পাশাপাশি ছাড়ার দিকেও নজর দিতে শুরু করেন রোহিত-যশস্বীরা। প্রথম ১৫ ওভার পর্যন্ত বিনা উইকেটে ২২ রান ওঠে। ফলে মনে হতে থাকে বিপদের সময় অনেকটা কাটিয়ে উঠেছেন। কিন্তু, দলের ২৫ রানের মাথায় হঠাৎই ছন্দপতন। ৪০ বলে ৯ রান করে আউট হন অধিনায়ক রোহিত শর্মা। প্যাট কামিন্সের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। তাঁর আউট হওয়ার পর মাঠে নামেন কেএল রাহুন। কিন্তু, শুন্য রানে আউট হয়ে ফিরতে হয় তাঁকে। একই ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত।

মাঠে নামেন বিরাট। কিন্তু, তাঁর রোগ যে এখনও সারেনি আবারও একবার কঠিন পরিস্তিতিতে প্রমাণ দিনে তিনি। ৫ রান করে ফের মিচেল স্টার্কের একটি বাইরের বলকে খোঁচা মেরে আউট হলেন তিনি। ৩৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন জয়ের স্বপ্ন আর দেখছে না ভারত। বরং ম্যাচ বাঁচানোর তাগিদ নিয়ে মাঠে তখন যশস্বী এবং ঋষভ পন্থ। হালকা আক্রমণ, সেই সঙ্গে ধরে খেলার ধৈর্য দেখাতে শুরু করলেন দুই ইয়ংস্টার।

প্রথম ইনিংসে ৮২ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসেও ১২৮ বলে অর্ধশতরান করলেন যশস্বী। সেই সঙ্গে, ঋষভকে নিয়ে অর্ধশতরানের পার্টনারশিপও গড়ে তোলেন তাঁরা। পঞ্চম দিনে দ্বিতীয় সেশনে তাদের দৌলতে কোনও উইকেট হারাতে হয়নি ভারতে। চা বিরতি পর্যন্ত ৭৯ রান যোগ করেন তাঁরা। ফলে কিছুটা স্বস্তি ফেরে ভারতীয় ড্রেসিং রুমে। কিন্তু, যখন সবাই এই ম্যাচ বাঁচানোর কথা ভাবছেন দুই ব্যাটারকে কেন্দ্র করে, তখনই ছন্দপতন। ১০৪ বলে ৩০ রান করে ট্রেভিস হেডের বলে আউট হন ঋষভ। তারপর থেকে আর ধরে রাখতে পারেনি ভারত। ঋষভের পরে স্কট বোলান্ডের বলে ২ রান করে আউট জাডেজা। প্রথম ইনিংসের শতরান করা নীতীশও এবার ব্যর্থ। ১ রান করে প্যাভেলিয়নের ফেরেন তিনি। এদিকে, কামিন্সের বলে ৮৪ রানের মাথায় আউট যশস্বী। কিন্তু তাঁর আউট ঘিরে বিতর্ক দেখা দেয়। রিভিউতে খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল, বল যশস্বীর গ্লাভসে লেগেছে। কিন্তু স্নিকোমিটারে কিছু ধরা পড়েনি। তার পরেও তৃতীয় আম্পায়ার খাল চোখের ভরসায় আউট দেন তাঁকে। ৭ রান করে বোলান্ডের বলে আউট আকাশ দীপ। ০ রানে আউট হন বুমরাহ। শেষের দিকে কিছুটা লড়াই চালিয়ে গেলেও তাতে কাজ হয়নি ওয়াশিংটন সুন্দরের। এদিকে, প্যাট কামিন্সরা ভারতের ব্যাটিংয়ের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয় মহম্মদ সিরাজকে ০ রানে আউট করে। ১৮৪ রানে পরাজিত হয় ভারত।