ঢাকা ০৫:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ১৯ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:০০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জিমি কার্টার সেন্টার এক বিবৃতি এই তথ্য জানিয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। কার্টার এক মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ায় নিজ শহর প্লেইনসে জীবনের শেষ সময়ের সেবাযত্নে ছিলেন।

এনবিসি নিউজের তথ্যমতে, জিমি কার্টারই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার ১০০তম জন্মদিনে পৌঁছেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচা প্রেসিডেন্ট কার্টার। ২০০২ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।

কার্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার প্লেইন্সের ছোট্ট শহরে। তিনি সেখানে ১ অক্টোবর, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরকার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।

তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার বিধায়ক হিসাবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার্টার, একজন ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান ক্ষমতাসীন জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন।

নিউজটি শেয়ার করুন

মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন

আপডেট সময় : ০১:০০:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার মারা গেছেন। স্থানীয় সময় রোববার (২৯ ডিসেম্বর) জিমি কার্টার সেন্টার এক বিবৃতি এই তথ্য জানিয়েছে। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর।

যুক্তরাষ্ট্রের ৩৯তম প্রেসিডেন্ট ছিলেন কার্টার। কার্টার এক মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জর্জিয়ায় নিজ শহর প্লেইনসে জীবনের শেষ সময়ের সেবাযত্নে ছিলেন।

এনবিসি নিউজের তথ্যমতে, জিমি কার্টারই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি তার ১০০তম জন্মদিনে পৌঁছেছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশিদিন বাঁচা প্রেসিডেন্ট কার্টার। ২০০২ সালে মানবাধিকার নিয়ে কাজ করার জন্য শান্তিতে নোবেল পেয়েছিলেন তিনি।

কার্টারের যাত্রা শুরু হয়েছিল জর্জিয়ার প্লেইন্সের ছোট্ট শহরে। তিনি সেখানে ১ অক্টোবর, ১৯২৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে তিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের পারমাণবিক সাবমেরিন বহরের উন্নয়নে সহায়তা করেছিলেন। নৌবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করার পরকার্টার পারিবারিক চিনাবাদাম চাষের ব্যবসা চালানোর জন্য ১৯৫৩ সালে তার নিজ শহরে ফিরে আসেন।

তিনি ১৯৬০-এর দশকে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন, ১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যের ৭৬তম গভর্নর হওয়ার আগে জর্জিয়ার বিধায়ক হিসাবে দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৬ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে কার্টার, একজন ডেমোক্র্যাট, রিপাবলিকান ক্ষমতাসীন জেরাল্ড ফোর্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন, যিনি ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারির পরিপ্রেক্ষিতে রিচার্ড নিক্সন পদত্যাগ করার পরে রাষ্ট্রপতির পদে অভিষিক্ত হন। কার্টার ফোর্ডকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট হন।