যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া ও চীনের কাতারে নাম লেখাল ভারত

- আপডেট সময় : ১২:২৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৯৮ বার পড়া হয়েছে

বিশ্বে মাত্রা তিনটি দেশের কাছে মহাকাশে দুটি এয়ারক্রাফট কিংবা স্যাটেলাইটের মধ্যে ডকিং করার ক্ষমতা রয়েছে। এবার সেই তালিকায় নাম লেখাল ভারত। ২০২৪ সালের শেষের দিকে এসে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা থেকে সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাত ১০টায় স্পেডেক্সের সফল উৎপেক্ষণ করে যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীনের পাশে নাম লিখিয়েছে ভারত। খবর এনডিটিভি
ভবিষ্যত ভারত মহাকাশে স্টেপ স্টেশন নির্মাণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে স্পেডেক্স পাঠিয়েছে। এছাড়া এর মাধ্যমে ভারতের মহকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো চাঁদের মিশনেও অংশ নেবে।
চলতি বছরের অক্টোবরে ভারত সরকার জানায়, ২০৩৫ সালের মধ্যে দিল্লি মহাকাশে তাদের নিজস্ব স্টেশন নির্মাণ করবে।এই ‘স্পেডেক্স’ অর্থাৎ স্পেস ডকিং এক্সপেরিমেন্টের উদ্দেশ্য হলো মহাকাশযানকে ‘ডক’ এবং ‘আনডক’ প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন। পৃথিবীর কক্ষপথে ঘূর্ণায়মান দু’টো মহাকাশযানকে সংযুক্ত করা বা ডকিং এবং তাদের বিচ্ছিন্ন করা বা আনডকিংয়ের জন্য প্রয়োজনীয় যে প্রযুক্তি, তারই বিকাশ।
‘স্পেডেক্স’ অভিযান দুটো ছোট মহাকাশযান ব্যবহার করে ‘ইন-স্পেস’ ডকিংয়ের জন্য এটি একটা সাশ্রয়ী প্রযুক্তি মিশন। একই উদ্দেশ্যে যখন একাধিক মহাকাশযান ব্যবহার করা হয়, তখন ‘ইন-স্পেস ডকিং’ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়।
এই অভিযানে মূলত দুটো ছোট মহাকাশযান রয়েছে- ‘এসডিএক্স০১’ এবং ‘এসডিএক্স০২’। এদের ওজন প্রায় ২২০ কেজি। এগুলো পিএসএলভি-সি৬০- এর মাধ্যমে উৎক্ষেপণ করা হবে। পিএসএলভি হলো পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকেল বা মেরু উপগ্রহ উৎক্ষেপণ যান।
ভারতের সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, দুটো মহাকাশযান বানাতে এবং অন্যান্য সরঞ্জামের জন্য ভারতীয় মূল্যে আনুমানিক ১২৫কোটি টাকা এবং উৎক্ষেপণ যন্ত্রের জন্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে।