সবশেষ বন্যায় শেরপুরে প্রায় ত্রিশ হাজার প্রান্তিক কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমন আবাদে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এসব কৃষক আসন্ন বোরো মৌসুমে তা পুষিয়ে নিতে চান। এজন্য সুদমুক্ত ঋণ চেয়ে তারা বলছেন, এই সহযোগিতা না পেলে বড় রকমের ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। এদিকে, কৃষি বিভাগ বলছে, বীজ প্রণোদোনার পাশাপাশি ঋণ সুবিধার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করা হচ্ছে।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যায় শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার ক্ষতির মুখে পড়ে প্রায় ত্রিশ হাজার প্রান্তিক কৃষক। বন্যায় আমন ধান নষ্ট হয়ে বড় রকমের ক্ষতির মুখে পড়েছেন তারা।
আমন ধানের এই ক্ষতি সামনের বোরো মৌসুমে পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন কৃষকরা। সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার দাবি তাদের।
এদিকে, বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে প্রণোদনা ও পুনর্বাসন কার্যক্রমের আওতায় বিভিন্ন সবজি বীজ ও কৃষি উপকরণ দেওয়া হয়েছে বলে জানান শেরপুর খামারবাড়ীর উপপরিচালক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন। জেলায় বর্তমানে ৭৮ হাজার ৯ শত ৯৩ জন প্রান্তিক কৃষক রয়েছে।