‘১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে’
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
- / ৩৫১ বার পড়া হয়েছে
১৫ জানুয়ারির মধ্যে সরকারকে জুলাই প্রক্লেমেশনের (ঘোষণাপত্র) ঘোষণার দাবি জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। আজ (মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিতে এ কথা জানান সংগঠনটির মুখপাত্র সামান্তা শারমীন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে মার্চ ফর ইউনিটি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মিছিল-স্লোগানে উত্তাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। শিক্ষার্থী ও জনতা সেখানে শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্ট গণহত্যায় জড়িতদের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন।
বেলা ৩টার আগে বিগত আওয়ামী সরকারের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে তথ্যচিত্র প্রদর্শন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এর পর মঞ্চ থেকে স্লোগান শুরু হয়। বিকেল ৪টার দিকে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। পরে একজন শহীদের বাবার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হয় মূল সমাবেশ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা বলেন, ‘প্রক্লেমেশন নিয়ে আমরা কালক্ষেপণ করতে চাই না। আওয়ামী লীগের বিচারের আগে কোনো নির্বাচন হবে না।’
সমাবেশকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হতে থাকেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
সমাবেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘বাংলাদেশ বন্ধুত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতিতে যাবে। তবে কেউ যদি সেই সুযোগে মাথায় উঠে বসে, সেক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে না। গণহত্যার বিচার চাই। আমরা সিন্ডিকেট থেকে মুক্তি চাই। দ্রব্যমূল্যের নিয়ন্ত্রণ চাই। যারা বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তাদের ছাড় দেয়া হবে না।’
অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ জুলাই ঘোষণাপত্র চায়, সংস্কার চায়। সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। এটা আমাদের বিজয়।’
তিনি বলেন, ‘জানুয়ারির ১৫ তারিখের মধ্যে জুলাই প্রক্লেমেশন ঘোষণা করতে হবে। আগামীর নির্বাচন হবে গণপরিষদ নির্বাচন। তারাই সংবিধান প্রণয়ন করবে।’
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, ‘যে বাংলাদেশ বিনির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলাম। সেটাই ঘোষণা পত্রে আসবে। সরকারের প্রক্লেমেশনের ঘোষণা আমাদের সবার অর্জন। এই ঘোষণায় দেশ সংস্কারের বিস্তারিত থাকতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আর কোনো নতজানু পররাষ্ট্রনীতি চায়না বাংলাদেশ। খুনিরা ও তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় ঘুড়ে বেরাচ্ছে। তাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনুন। নয়তো বিপ্লবী জনতা আইন নিজের হাতের তুলে নিবে। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে খুনি হাসিনার বিচার না করা পর্যন্ত বিপ্লবীরা মাঠ ছাড়বেনা। গণহত্যার বিচার ও সংস্কার সবার আগে।’
এ সময় তারা ‘ফাঁসি ফাঁসি ফাঁসি চাই, খুনি হাসিনার ফাঁসি চাই’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘আবু সাঈদ মুগ্ধ শেষ হয়নি যুদ্ধ’, ‘গোলামি না আজাদি, আজাদি-আজাদি’, ‘দালালি না রাজপথ, রাজপথ রাজপথ’—স্লোগান দিতে থাকেন।