রাখাইন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৮:৪৪:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫৪ বার পড়া হয়েছে
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের চলমান পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জিং বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। আজ (বুধবার, ১ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে গণমাধ্যমের সামনে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের সীমান্তঘেঁষা রাখাইন বর্তমানে দেশটির বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির দখলে। এ পরিস্থিতিতে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন কেবল অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েনি, বরং নতুন করে রোহিঙ্গা ঢলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশের জন্য তৈরি হয়েছে নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জও।
রাখাইনের বর্তমান পরিস্থিতিতে দু’দেশের সীমান্তে চোরাচালান বেড়েছে ব্যাপক হারে। বাংলাদেশ থেকে রাখাইন রাজ্যে যাচ্ছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী। অন্যদিকে রাখাইন থেকে বাংলাদেশে ঢুকছে স্বর্ণ ও বিভিন্ন ধরনের মাদক। এর পাশাপাশি ছোট-বড় দলে বিভক্ত হয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়ছে নতুন করে আরো রোহিঙ্গা।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানান, নীতিগতভাবে রোহিঙ্গা ঢুকতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত থাকলেও গত দুই মাসে ৬০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে ঢুকেছে। রাখাইনের সহিংসতাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ বাড়ায় আবারো বেড়েছে শঙ্কা, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আজকের সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি স্বীকার করলেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সমস্যাটি নতুন চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন তিনি।
এ বিষয়ে মো. তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘বর্তমানে রাখাইন পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং। তবে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে সরকার কাজ করে যাবে।’
শেখ হাসিনাকে ফেরত আনতে না পারলে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক স্বাভাবিক থাকবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, দুটোই পাশাপাশি চলবে। এটি একটি ইস্যু। তবে আমাদের আরও অনেক স্বার্থের ইস্যু রয়েছে, সেগুলোও এগিয়ে চলবে।
ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এই তিন দেশের সঙ্গেই আমাদের স্বার্থ রয়েছে। এ কারণে এদের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্ক অগ্রাধিকারে থাকবে। নতুন বছরে অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট সমাধান এবং অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা।
জুলাই মাসের অভ্যুত্থান ঘিরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও অপরাধ বিষয়ে জাতিসংঘের তদন্ত কমিটিকে দেশের বিভিন্ন সংস্থা থেকে সহায়তা করার কথা উল্লেখ করে তিনি জানান, কয়েকটি সংস্থা এখনো তাদের প্রতিবেদন জমা দেয়নি। তবে জানুয়ারির মধ্যেই সব প্রতিবেদন পাওয়া যাবে বলে আশা করি।