গ্যাস সংকটে ভোগান্তি চরমে
- আপডেট সময় : ০৯:২৭:১৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৫০ বার পড়া হয়েছে
এফএসআরইউ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এক্সিলারেট এনার্জি, এলএনজি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ কমেছে ৩’শ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস। এতে সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে তিতাস গ্যাসের এলাকাগুলোয়। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, আরো দুইদিন শিল্প ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে সরবরাহ বেশ কম থাকবে। বারবার গ্যাস সংকটে হতাশা ও ক্ষোভ জানিয়েছেন শিল্প মালিকরা।
রাজধানীর সিএনজি স্টেশনগুলোতে আবারো গ্যাস সংকট বেড়েছে। চাপ কম থাকায় কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষার পরও চাহিদামত গ্যাস পাচ্ছেন না গাড়িচালকরা।
এক গাড়িচালক বলেন, ‘এই দুই সপ্তাহে ঠিক মতো গ্যাস পাওয়া যাচ্ছেন না। কোনো পাম্পে থাকে কোনোটাতে থাকেই না।’
এদিকে, ডায়িং, টেক্সটাইল, সিরামিকসহ গ্যাস নির্ভর বিভিন্ন শিল্পেও গ্যাস সংকট চরমে। উৎপাদন বন্ধ রাখতে হচ্ছে কিছু ইউনিটের। বাকিগুলোও চলছে কম সক্ষমতায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কারখানায় উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় সময়মত রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে।
বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, ‘অত্যান্ত দুভাগ্যজনক যে, আমাদের সাথে কথা ছিল নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস দেওয়া হবে বলেই ১২ টাকার গ্যাস ৩০ টাকা করা হলো, এরপর থেকেই এই সংকট আরো প্রকট। বিশেষ করি যদি বলি, গত এক-দেড় বছরে এই সংকট চরমে পৌঁছেছে। ফলে আমাদের উৎপাদন অনেকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।’
স্থানীয় গ্যাসের উত্তোলন কমে নেমেছে ১ হাজার ৯০০ মিলিয়ন ঘনফুটে। দুই টার্মিনালে আমদানির এলএনজি মিলতো সাড়ে ৮শ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু ১ জানুয়ারি থেকে মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণে চলে গেছে এক্সিলারেট এনার্জির এফএসআরইউ। আরেকটিতে এখন এলএনজি মিলছে সাড়ে ৫শ মিলিয়ন ঘনফুটের মত। এতে কেবল তিতাস গ্যাসের এলাকায় ঘাটতি বেড়েছে ২০০ মিলিয়ন ফনফুটের বেশি।
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশনের মহাব্যবস্থাপক কাজী মো. সাইদুল হাসান বলেন, ‘এই সংকটকে আমরা তিনটা ভাগে ভাগ করেছি। বিদ্যুৎ খাতের গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছি। শিল্পখাতে গ্যাসের সরবারহের পরিমাণ বেশি মাত্রায় কমিয়ে দিতে হয়েছে, কারণ ঢাকার আবাসিক এলাকা যাতে কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়।’
ডিসেম্বরে তিতাস ঢাকা, নারায়নগঞ্জসহ তার এলাকাগুলোতে দৈনিক গড়ে ১৫০০ মিলিয়ন ঘনফুটের বেশি গ্যাস বিতরণ করেছে। সেসময় সারাদেশে গড়ে সরবরাহ হয় ২ হাজার ৭৫৭ মিলিয়ন ঘনফুট।