নববর্ষে গাজায় আরও ২৩ জন নিহত
- আপডেট সময় : ০১:৪৫:১৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৫ বার পড়া হয়েছে
নতুন বছরের প্রথম দিনে গাজায় ইসরাইলি হামলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩ জনে। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুও রয়েছেন। এছাড়া গাজায় ঠান্ডাজনিত আরও এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এতে হাইপোথার্মিয়ায় প্রাণ হারালো ৭শিশুসহ মোট আটজন। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইসরাইলি আগ্রাসনে গাজায় নিহতের মোট সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৫০ ছাড়িয়ে গেছে।
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টির কারণে গাজাজুড়ে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের চরম দুর্ভোগ বেড়েছে, অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে জমেছে পানি, সেইসাথে তীব্র শীতে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে অসহায় গাজাবাসী
নতুন বছর শুরু হওয়ার সাথে ব্যাপক পাল্টাপাল্টি হামলা করেছে হামলা করেছে হামাস ও ইসরাইলি। ইসরাইলের সামরিক বাহিনী আইডিএফ জানায়, গাজা থেকে দু’টি রকেট ছোড়া হয়েছে। এর পরপরই ইসরাইলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইসরাইল কাটজ হামাসকে সতর্ক করে বলেছেন তার দেশের উপর হামলা বন্ধ না করলে এবং গাজায় বন্দিদের মুক্তি না দিলে ভয়াবহ পরিণতি দেখবে সংগঠনটি।
একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, ইসরাইলের একটি ফাইটার জেট পূর্ব গাজা শহরের শেজাইয়া পাড়ার একটি আবাসিক অ্যাপার্টমেন্টে আঘাত হানলে দুই নারী এবং তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া মধ্য গাজার বুরেইজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরাইল ড্রোন হামলায় একজন নারী ও শিশু নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। ইসরাইলি বাহিনী বুরেইজ এবং নুসেইরাত ক্যাম্পের পূর্ব এবং উত্তর অংশেও গোলাবর্ষণ করেছে। দক্ষিণ গাজায় পূর্ব খান ইউনিসের আল-ফুখারি এলাকায় একটি বাড়িতে বিমান হামলায় হতাহতের খবর পাওয়া গেছে।
মূলত ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে চলা ইসরাইলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরাইলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।