ঢাকা ০৪:২৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেড়েছে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নতুন বছরে সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। যা আরও কয়েকদিন বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস। একই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।

সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকাতেও জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রয়েছে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও। ভোর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ঘন কুয়াশা। সকাল ১০টার পরও নগরীর কিছু স্থানে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। ফলে বেলা বাড়লেও দেখা নেই সূর্যের।

বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে কুয়াশার যে বৃহৎ চাদর দেখা যাচ্ছে তাকে আবহাওয়াবিদরা ‘অ্যাডভেকশন ফগ’ বা পরিচালন কুয়াশা বলে অবহিত করেন। এটি মূলত দীর্ঘসময় ধরে স্থায়ী হয়। যেমন গত বছরের জানুয়ারিতে প্রায় দুই সপ্তাহ এমন কুয়াশা ছিল।

তবে ‘অ্যাডভেকশন ফগ’ বা পরিচালন কুয়াশা এক জায়গায় স্থির থাকে না। যেমন রাজধানীর কোথাও কোথাও সকাল থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে, আবার কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার শুধু রাজধানী নয়, উত্তরের রংপুর বিভাগ ছাড়াও রাজশাহীর বড় অংশ, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে পরিচালন কুয়াশা। তবে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশা অপেক্ষাকৃত কম রয়েছে। মূলত উত্তরাঞ্চল দিয়ে এ ধরনের কুয়াশা ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে সবনিম্ন। অন্যদিকে আজ দেশের সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশকি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায়।

অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে শীত বেশি দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও একই অবস্থা থাকতে পারে পরে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর। এই একই কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এই অবস্থায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনেও শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।

পরদিন শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি জানুয়ারিতে দেশে শীতের তীব্রতা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে এ মাসে কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। প্রথমে কয়েক দিন মৃদু ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও ১০ জানুয়ারি থেকে হানা দিতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া পরবর্তীতে শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব বাড়লে তা তীব্র হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থাটি।

অন্যদিকে আগামী ৮-৯ জানুয়ারি বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ২-৩ দিন পর কুয়াশার পরিমাণ কমে আসতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, বছরের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গেল সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বেশ। পৌষের শীতের দাপটে পঞ্চগড়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে ঠান্ডা বাতাস বইছে। উত্তরে এই বাতাসেই বেশি অনুভূত হচ্ছে শীত। কুয়াশার পরিমাণ কখনও বাড়ছে তো কখনও কমছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগ পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জেলার এক লাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হলেও মিলেছে মাত্র ১২ হাজার কম্বল আর ৩৩ লাখ টাকা।

কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে হিমালয়ের কাছাকাছি উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সেই সাথে উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে।

স্থানীয়রা জানান, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে কনকনে শীত অনুভূত হলেও আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেড়েছে শীতের তীব্রতা, সর্বনিম্ন ৯.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস

আপডেট সময় : ০১:২৮:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

নতুন বছরে সারাদেশে জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। যা আরও কয়েকদিন বজায় থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অফিস। একই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও দিনের বেলায় শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।

সারা দেশের মতো রাজধানী ঢাকাতেও জেঁকে বসেছে তীব্র শীত। সেইসঙ্গে হিমেল বাতাস শীতের অনুভূতি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। রয়েছে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশাও। ভোর থেকে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে ঘন কুয়াশা। সকাল ১০টার পরও নগরীর কিছু স্থানে কুয়াশায় আচ্ছন্ন হয়ে আছে। ফলে বেলা বাড়লেও দেখা নেই সূর্যের।

বর্তমানে রাজধানীসহ সারাদেশে কুয়াশার যে বৃহৎ চাদর দেখা যাচ্ছে তাকে আবহাওয়াবিদরা ‘অ্যাডভেকশন ফগ’ বা পরিচালন কুয়াশা বলে অবহিত করেন। এটি মূলত দীর্ঘসময় ধরে স্থায়ী হয়। যেমন গত বছরের জানুয়ারিতে প্রায় দুই সপ্তাহ এমন কুয়াশা ছিল।

তবে ‘অ্যাডভেকশন ফগ’ বা পরিচালন কুয়াশা এক জায়গায় স্থির থাকে না। যেমন রাজধানীর কোথাও কোথাও সকাল থেকে ঘন কুয়াশা দেখা গেছে, আবার কোথাও মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়েছে। তবে বৃহস্পতিবার শুধু রাজধানী নয়, উত্তরের রংপুর বিভাগ ছাড়াও রাজশাহীর বড় অংশ, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের বেশিরভাগ এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে পরিচালন কুয়াশা। তবে দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলে কুয়াশা অপেক্ষাকৃত কম রয়েছে। মূলত উত্তরাঞ্চল দিয়ে এ ধরনের কুয়াশা ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকালে ঢাকার সর্বনিু তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা এই মৌসুমে সবনিম্ন। অন্যদিকে আজ দেশের সবনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশকি ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস চুয়াডাঙ্গায়।

অন্যদিকে ঘন কুয়াশার কারণে শীত বেশি দেখা যাচ্ছে। আগামীকালও একই অবস্থা থাকতে পারে পরে বলে জানিয়েছে আবহওয়া অধিদপ্তর। এই একই কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হওয়ার বিষয়েও সতর্ক করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। সেই সঙ্গে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আর এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

এই অবস্থায় শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। পাশাপাশি ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

তবে এই সময়ে সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত হ্রাস পেতে পারে। সেই সঙ্গে ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিনেও শীতের অনুভূতি বিরাজ করতে পারে।

পরদিন শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। পাশাপাশি মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে এবং ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীণ নদী পরিবহন ও সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, চলতি জানুয়ারিতে দেশে শীতের তীব্রতা আবারও বৃদ্ধি পেতে পারে। সেই সঙ্গে এ মাসে কয়েক দফায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এরমধ্যে বৃহস্পতিবার থেকে দেশের পশ্চিম ও উত্তরাঞ্চল থেকে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হতে পারে। প্রথমে কয়েক দিন মৃদু ধরনের শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও ১০ জানুয়ারি থেকে হানা দিতে পারে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। এছাড়া পরবর্তীতে শৈত্যপ্রবাহের স্থায়িত্ব বাড়লে তা তীব্র হতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া সংস্থাটি।

অন্যদিকে আগামী ৮-৯ জানুয়ারি বিচ্ছিন্নভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া আগামী ২-৩ দিন পর কুয়াশার পরিমাণ কমে আসতে পারে বলেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এদিকে, বছরের শুরুতেই শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে চুয়াডাঙ্গা। আজ বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

গেল সপ্তাহের তুলনায় বর্তমানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে বেশ। পৌষের শীতের দাপটে পঞ্চগড়ে ঘণ্টায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার গতিতে ঠান্ডা বাতাস বইছে। উত্তরে এই বাতাসেই বেশি অনুভূত হচ্ছে শীত। কুয়াশার পরিমাণ কখনও বাড়ছে তো কখনও কমছে। তাপমাত্রা ওঠানামা করছে ১০ থেকে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।

শীতের তীব্রতা বাড়ায় দুর্ভোগ পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষের। খড়কুটো জ্বালিয়ে অনেকেই শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জেলার এক লাখ শীতবস্ত্রের চাহিদা পাঠানো হলেও মিলেছে মাত্র ১২ হাজার কম্বল আর ৩৩ লাখ টাকা।

কনকনে শীত অনুভূত হচ্ছে হিমালয়ের কাছাকাছি উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১১ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

দিনের বেশির ভাগ সময় সূর্যের দেখা মিলছে না। সেই সাথে উত্তর-পশ্চিমের হিমেল বাতাসে দিনভর অনুভূত হয় হাড় কাঁপানো শীত। এতে বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শ্রমজীবী মানুষকে।

স্থানীয়রা জানান, তাপমাত্রা কমার চেয়েও বেশি অসুবিধা হচ্ছে হিমশীতল বাতাসে। এর পাশাপাশি ঘন কুয়াশা থাকায় বাতাসে তা কাঁটার মতো বিঁধতে থাকে। গত কয়েকদিন থেকেই শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ার কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন নিম্নআয়ের মানুষজন।

এ বিষয়ে দিনাজপুর আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, সকাল থেকে কনকনে শীত অনুভূত হলেও আজ তাপমাত্রা কিছুটা বেড়েছে।