ঢাকা ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২১ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজনৈতিক বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ইস্যু ধামাচাপা পড়ছে: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ইস্যু ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগ এক ধরণের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যে দুর্বৃত্তায়ন, আওয়ামী লীগ যে দেশটা ধংস করে দিয়েছে এসব কথা না বলতে থাকলে মানুষ আস্তে আস্তে সব ভুলে যাবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিদ্যুত খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক তর্ক বিতর্কে আওয়ামী লীগের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটগুলো নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দাবি করেন, ২০০৯ সাল থেকে কৃত্রিম বিদ্যুৎ সংকট তৈরি করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেছিলো আওয়ামী লীগ। এর কারণ ছিল যেন, তাদের দুর্নীতির চেহারা জনগণের কাছে প্রকাশ না পায়। বিদ্যুৎ খাত থেকে দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করাই ছিলো আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছেন কোনো হিসাব না দিয়ে এই খাত থেকে দ্রুত টাকা বানানো যায়। কারণ বিদ্যুৎ তো হাওয়া, এটা তো দেখা যায় না। ক্যাপাসিটি চার্জ, এখন কোনো মেশিনের ক্যাপাসিটি চার্জ কত সেটা কে নির্ণয় করবে? সুতরাং এই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অনেক টাকা বের করে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ বলে উল্লেখ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ তো টেন্ডার ছাড়া কেনা হয়েছে। সুতরাং জনগণের তো জানা উচিত, তাদের টাকায় টেন্ডার ছাড়া কি ক্রয় করেছো।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজনৈতিক বিতর্কে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ইস্যু ধামাচাপা পড়ছে: মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী ২০২৫

রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগের দুর্নীতির ইস্যু ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন— বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কের কারণে আওয়ামী লীগ এক ধরণের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগের যে দুর্বৃত্তায়ন, আওয়ামী লীগ যে দেশটা ধংস করে দিয়েছে এসব কথা না বলতে থাকলে মানুষ আস্তে আস্তে সব ভুলে যাবে।’ মির্জা ফখরুল বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময় বিদ্যুত খাতে ভয়াবহ দুর্নীতি হয়েছে।

তিনি বলেন, রাজনৈতিক তর্ক বিতর্কে আওয়ামী লীগের চুরি, দুর্নীতি, লুটপাটগুলো নিচে পড়ে যাচ্ছে। এরা এক ধরনের সুবিধা পেয়ে যাচ্ছে। এ কথাগুলো আমাদের বারবার বলা দরকার। কারণ এটা না বললে আওয়ামী লীগ যে দুর্বৃত্তায়ন করেছে, সেটা মানুষ ভুলে যাবে।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু দাবি করেন, ২০০৯ সাল থেকে কৃত্রিম বিদ্যুৎ সংকট তৈরি করে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করেছিলো আওয়ামী লীগ। এর কারণ ছিল যেন, তাদের দুর্নীতির চেহারা জনগণের কাছে প্রকাশ না পায়। বিদ্যুৎ খাত থেকে দুর্নীতির টাকা বিদেশে পাচার করাই ছিলো আওয়ামী লীগের মূল লক্ষ্য।

ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু আরও বলেন, বিদ্যুৎ খাতটা তারা (আওয়ামী লীগ) ব্যবসার খাত বানিয়েছিলেন। তারা বুঝতে পেরেছেন কোনো হিসাব না দিয়ে এই খাত থেকে দ্রুত টাকা বানানো যায়। কারণ বিদ্যুৎ তো হাওয়া, এটা তো দেখা যায় না। ক্যাপাসিটি চার্জ, এখন কোনো মেশিনের ক্যাপাসিটি চার্জ কত সেটা কে নির্ণয় করবে? সুতরাং এই ক্যাপাসিটি চার্জের নামে অনেক টাকা বের করে নিয়ে গেছে আওয়ামী লীগ। তাদের দুর্নীতির বোঝা এখন জনগণকে বহন করতে হচ্ছে। এই বিদ্যুৎ উন্নয়ন টেকসই নয় এবং যেকোনো সময় মুখ থুবড়ে পড়বে।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া বিদ্যুৎ সংক্রান্ত সব চুক্তি জনগণের কাছে উন্মুক্ত করা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম কাজ বলে উল্লেখ করে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, বিদ্যুৎ তো টেন্ডার ছাড়া কেনা হয়েছে। সুতরাং জনগণের তো জানা উচিত, তাদের টাকায় টেন্ডার ছাড়া কি ক্রয় করেছো।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত ছিলেন।