ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

কর নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা, প্রত্যাহার না হলে কঠোর হুঁশিয়ারি

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, আন্দোলন, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের সুদহার–সবমিলিয়ে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত তারা। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো আলোচনাও করা হয়নি তাদের সঙ্গে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আকাশপথে ভ্রমণ, সিগারেট, এলপিজি, পোশাক, রেস্তোরাঁর খাবারসহ একাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এতে দুই অঙ্ক ছাড়ানো মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।

জুলাই-আগস্টে বড় লোকসানের মধ্য দিয়ে গেছে বিভিন্ন খাত। সেই ক্ষতি এখনো পোষানো সম্ভব হয়নি। সাধারণ মানুষও এমনিতেই অর্থনৈতিক চাপে আছে। ব্যবসায়ীদের দাবি পোশাক, এলপিজি-এগুলো সবই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। সরকার দ্রব্যমূল্য না বাড়ার আশ্বাস দিলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন বাস্তবতা ভিন্ন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভ্যাট না বাড়ানোর আহ্বান তাদের।

ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি আজহারুল হক আজাদ বলেন, ‘অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, নানা ধরনের চাপের মধ্যে রাষ্ট্র যেরকম আছে ঠিক তেমনিভাবে সাধারণ মানুষ চাপের মধ্যে আছে। এরকম সময়ে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের বিস্মিত করেছে।’

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘এই সরকারের আমলেও সবাই এইভাবে কাজ করছে, কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না, বরং আরো খারাপ হচ্ছে। লাভ কী? আমরা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি মিষ্টি দোকান মালিক সমিতি আজকে রাতে বসতে যাচ্ছি, আমাদের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আমরা অনির্দিষ্টকালের বন্ধে চলে যাবো।’

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন সরকারের কাছে বিকল্প কোনো পথ নেই। তবে, শুধু করহার না বাড়িয়ে আদায়ের ক্ষেত্র বাড়ানোর তাগিদ তাদের। না হলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে।

অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘যে ১০ শতাংশ মানুষের কাছে মোট সম্পদের ৮০ শতাংশ রয়েছে তাদের কাছ থেকে কীভাবে কর বাড়ানো যেতে পারে অর্থাৎ সরাসরি কর আরোপ করা যেতে পারে।’

আইএমএফের পরামর্শে মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। এতে ওষুধ, গুঁড়াদুধ, সিগারেট, বিমানের টিকিটসহ ৬৫ ধরনের পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাট আরোপ হতে পারে।

নিউজটি শেয়ার করুন

কর নিয়ে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা, প্রত্যাহার না হলে কঠোর হুঁশিয়ারি

আপডেট সময় : ০৮:০৪:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

বিভিন্ন পণ্য ও সেবার ওপর কর বাড়ানোর পরিকল্পনায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, আন্দোলন, মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের সুদহার–সবমিলিয়ে এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত তারা। এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কোনো আলোচনাও করা হয়নি তাদের সঙ্গে। সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

আকাশপথে ভ্রমণ, সিগারেট, এলপিজি, পোশাক, রেস্তোরাঁর খাবারসহ একাধিক পণ্য ও সেবায় মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। এতে দুই অঙ্ক ছাড়ানো মূল্যস্ফীতি আরও তীব্র হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। পণ্য ও সেবার ওপর ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগে ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা।

জুলাই-আগস্টে বড় লোকসানের মধ্য দিয়ে গেছে বিভিন্ন খাত। সেই ক্ষতি এখনো পোষানো সম্ভব হয়নি। সাধারণ মানুষও এমনিতেই অর্থনৈতিক চাপে আছে। ব্যবসায়ীদের দাবি পোশাক, এলপিজি-এগুলো সবই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। সরকার দ্রব্যমূল্য না বাড়ার আশ্বাস দিলেও ব্যবসায়ীরা বলছেন বাস্তবতা ভিন্ন। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে ভ্যাট না বাড়ানোর আহ্বান তাদের।

ফ্যাশন উদ্যোক্তা সমিতির সভাপতি আজহারুল হক আজাদ বলেন, ‘অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ, নানা ধরনের চাপের মধ্যে রাষ্ট্র যেরকম আছে ঠিক তেমনিভাবে সাধারণ মানুষ চাপের মধ্যে আছে। এরকম সময়ে এমন সিদ্ধান্ত আমাদের বিস্মিত করেছে।’

রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির মহাসচিব ইমরান হাসান বলেন, ‘এই সরকারের আমলেও সবাই এইভাবে কাজ করছে, কোনো পরিবর্তন আমরা দেখতে পাচ্ছি না, বরং আরো খারাপ হচ্ছে। লাভ কী? আমরা রেস্টুরেন্ট মালিক সমিতি মিষ্টি দোকান মালিক সমিতি আজকে রাতে বসতে যাচ্ছি, আমাদের মধ্যে এখনো আলোচনা চলছে। প্রয়োজনে আমরা অনির্দিষ্টকালের বন্ধে চলে যাবো।’

অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, রাজস্ব আয় বাড়াতে এখন সরকারের কাছে বিকল্প কোনো পথ নেই। তবে, শুধু করহার না বাড়িয়ে আদায়ের ক্ষেত্র বাড়ানোর তাগিদ তাদের। না হলে মূল্যস্ফীতি আরো বাড়বে।

অর্থনীতিবিদ আবু ইউসুফ বলেন, ‘যে ১০ শতাংশ মানুষের কাছে মোট সম্পদের ৮০ শতাংশ রয়েছে তাদের কাছ থেকে কীভাবে কর বাড়ানো যেতে পারে অর্থাৎ সরাসরি কর আরোপ করা যেতে পারে।’

আইএমএফের পরামর্শে মূসক বা ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক আইনে কিছু সংশোধন আনতে যাচ্ছে সরকার। এতে ওষুধ, গুঁড়াদুধ, সিগারেট, বিমানের টিকিটসহ ৬৫ ধরনের পণ্য ও সেবায় বাড়তি ভ্যাট আরোপ হতে পারে।