ঢাকা ০৭:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

চীনে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ, মহামারির শঙ্কা!

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৫৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোভিড-১৯ মহামারির পর চীনে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল রোগীতে ভরে গেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ও প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে।

কিছু ব্যবহারকারীর দাবি, বর্তমানে চীনে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯-এর মতো একাধিক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে শিশু এবং শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

এইচএমপিভি:
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর তথ্যমতে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) হলো একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নিচের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের মানুষকে সংক্রমিত করলেও শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের জন্য বেশি বিপজ্জনক।

এই ভাইরাসটি প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত হয়। এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। এর সাধারণ উপসর্গগুলো হলো: কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট।

গুরুতর ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড (উন্মেষপর্ব) সাধারণত ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে হয়।

এইচএমপিভি সংক্রমণ ছড়ায় মূলত—
১. সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি ও হাঁচি থেকে নির্গত ফোঁটার মাধ্যমে।
২. হাত মেলানো বা সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে।
৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখে হাত দিলে।

বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি

নিউজটি শেয়ার করুন

চীনে প্রাণঘাতী ভাইরাসের সংক্রমণ, মহামারির শঙ্কা!

আপডেট সময় : ০৮:০৮:২৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

কোভিড-১৯ মহামারির পর চীনে নতুন উদ্বেগ তৈরি করেছে হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) সংক্রমণ। দেশটির বিভিন্ন হাসপাতাল রোগীতে ভরে গেছে বলে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট ও প্রতিবেদনে দেখা যাচ্ছে।

কিছু ব্যবহারকারীর দাবি, বর্তমানে চীনে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এবং কোভিড-১৯-এর মতো একাধিক ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়িয়ে তুলেছে। বিশেষ করে শিশু এবং শারীরিকভাবে দুর্বল ব্যক্তিরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন।

এইচএমপিভি:
মার্কিন রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র (সিডিসি)-এর তথ্যমতে, হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) হলো একটি শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস, যা ওপরের এবং নিচের শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এটি সব বয়সের মানুষকে সংক্রমিত করলেও শিশু, বয়স্ক এবং দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যক্তিদের জন্য বেশি বিপজ্জনক।

এই ভাইরাসটি প্রথম ২০০১ সালে শনাক্ত হয়। এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। এর সাধারণ উপসর্গগুলো হলো: কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট।

গুরুতর ক্ষেত্রে এই ভাইরাস ব্রঙ্কাইটিস বা নিউমোনিয়ার মতো জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে। ভাইরাসটির ইনকিউবেশন পিরিয়ড (উন্মেষপর্ব) সাধারণত ৩ থেকে ৬ দিনের মধ্যে হয়।

এইচএমপিভি সংক্রমণ ছড়ায় মূলত—
১. সংক্রমিত ব্যক্তির কাশি ও হাঁচি থেকে নির্গত ফোঁটার মাধ্যমে।
২. হাত মেলানো বা সরাসরি স্পর্শের মাধ্যমে।
৩. সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করার পর মুখ, নাক বা চোখে হাত দিলে।

বিপদজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষজ্ঞরা জনগণকে সতর্কতা অবলম্বন এবং সংক্রমণ প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। সূত্র: এনডিটিভি