ঢাকা ০৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাসভবনে ঢুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা

আর্ন্তজাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৩ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বাসভবনে প্রবেশ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জটলা এড়িয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে, প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) ইউনের কার্যালয় ও বাসভবনে অনুসন্ধান চালানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। এবারও ইউনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া হবে কিনা, তা পরিষ্কার ছিল না।

ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্রোহের মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও গতিশীল গণতন্ত্রে এই ঘটনা দেশের জনগণকে হতবাক করেছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তার এটাই হবে দেশটির ইতিহাসে প্রথম।

শুক্রবার সকালে দুর্নীতির উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সংস্থার (সিআইও) কর্মকর্তারা পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের নিয়ে ইউনের বাসভবনে উপস্থিত হন। তবে প্রবেশপথে একটি বাস বাধা সৃষ্টি করলে তারা পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসভবনের অভ্যন্তরে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের তৈরি করা ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক সদস্যরা পিএসএসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছিল। বাসভবন তল্লাশির অনুমতি নেই বলেও পিএসএস প্রধান উল্লেখ করেন। ইউনের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি অবৈধ এবং তা কার্যকর করা আইনবিরোধী।

এদিকে ইউনের বাসভবনের বাইরে ভোর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তারা ‘প্রেসিডেন্ট ইউনকে জনগণ রক্ষা করবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, ইউন সুক-ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রেপ্তার করা হলে ইউনকে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী দলকে তাকে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে অথবা মুক্তি দিতে হবে। গ্রেপ্তার হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টকে বাসভবনে ঢুকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা

আপডেট সময় : ১২:৪৭:৫৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

দক্ষিণ কোরিয়ার অভিশংসিত প্রেসিডেন্ট ইউন সুক-ইওলের বাসভবনে প্রবেশ করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকরের জন্য অভিযান চালিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আজ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দেশটির রাজধানী সিউলে ইউনের বাসভবনের বাইরে বিক্ষোভকারীদের জটলা এড়িয়ে তারা ভেতরে প্রবেশ করলেও প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা বাহিনীর বাধার মুখে পড়ে। খবর রয়টার্সের।

এর আগে, প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস (পিএসএস) ইউনের কার্যালয় ও বাসভবনে অনুসন্ধান চালানোর জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রবেশে বাধা দিয়েছিল। এবারও ইউনকে গ্রেপ্তারে বাধা দেওয়া হবে কিনা, তা পরিষ্কার ছিল না।

ইউন সুক-ইওলের বিরুদ্ধে ৩ ডিসেম্বর দেশটিতে সামরিক আইন জারির চেষ্টার অভিযোগে বিদ্রোহের মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মতো এশিয়ার চতুর্থ বৃহত্তম অর্থনীতি ও গতিশীল গণতন্ত্রে এই ঘটনা দেশের জনগণকে হতবাক করেছে। ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের গ্রেপ্তার এটাই হবে দেশটির ইতিহাসে প্রথম।

শুক্রবার সকালে দুর্নীতির উচ্চপর্যায়ের তদন্ত সংস্থার (সিআইও) কর্মকর্তারা পুলিশ ও প্রসিকিউটরদের নিয়ে ইউনের বাসভবনে উপস্থিত হন। তবে প্রবেশপথে একটি বাস বাধা সৃষ্টি করলে তারা পায়ে হেঁটে ভেতরে প্রবেশ করেন। বাসভবনের অভ্যন্তরে প্রেসিডেন্সিয়াল সিকিউরিটি সার্ভিস ও সামরিক বাহিনীর সদস্যদের তৈরি করা ব্যারিকেডের মুখোমুখি হন তারা।

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সামরিক সদস্যরা পিএসএসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছিল। বাসভবন তল্লাশির অনুমতি নেই বলেও পিএসএস প্রধান উল্লেখ করেন। ইউনের আইনজীবী অভিযোগ করেছেন যে, গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি অবৈধ এবং তা কার্যকর করা আইনবিরোধী।

এদিকে ইউনের বাসভবনের বাইরে ভোর থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তার সমর্থকরা। বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা বাড়তে থাকে এবং তারা ‘প্রেসিডেন্ট ইউনকে জনগণ রক্ষা করবে’ স্লোগান দিতে থাকেন।

এদিকে, ইউন সুক-ইওলের গ্রেপ্তারি পরোয়ানার মেয়াদ ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। গ্রেপ্তার করা হলে ইউনকে ৪৮ ঘণ্টা আটকে রাখা হবে এবং এই সময়ের মধ্যে তদন্তকারী দলকে তাকে আটক রাখার জন্য আদালতে আবেদন করতে হবে অথবা মুক্তি দিতে হবে। গ্রেপ্তার হলে ইউনকে সিউল ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম ইয়োনহাপ।