ঢাকা ০৭:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রাজশাহীকে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম জয় পেল চিটাগাং

স্পোর্টস ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫
  • / ৩৪৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল চিটাগাং কিংস। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ১০৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। উসমান খানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম গড়ে তোলে বিপিএলে শেরে বাংলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

আসরে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন পাক ব্যাটার ওসমান খান। খেলেন ৬২ বলে ১২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ক্লার্কের ৪০ আর অধিনায়ক মিথুনে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২১৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় চট্টগ্রামের কিংসরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরুতেই ওপেনার পারভেজ ইমনের উইকেট হারায়। তবে উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্কের ৬৩ রানের জুটি দলের ভিত তৈরি করে। গ্রাহাম ক্লার্ক ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে করেন ২৮ রান।

উসমান খান একপ্রান্তে দৃঢ় থেকে মাত্র ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত উসমান ৬২ বলে ১২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তার বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে চট্টগ্রাম ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ২১৯ রান।

এটি মিরপুরের শেরে বাংলায় বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে খুলনা ২১৮ রান করে এই রেকর্ডটি দখলে রেখেছিল। বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড অবশ্য রংপুর রাইডার্সের দখলে, যারা ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল।

উসমান খানের শতরানের ইনিংস বিপিএল ২০২৫-এর প্রথম সেঞ্চুরি। তার অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স চট্টগ্রামকে একটি রেকর্ড সংগ্রহ এনে দেয় এবং বড় জয়ের ভিত গড়ে তোলে।

২২০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্বার রাজশাহী শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ওভারেই সাব্বির রহমান আউট হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন।

রাজশাহী এক পর্যায়ে ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট হয় তারা। মোহাম্মদ হারিস দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। তবে দলের অন্য কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।

চট্টগ্রামের স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন। দু’জনেই ৩টি করে উইকেট নেন। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে রাজশাহী কোনো সময়ই খেলায় ফিরে আসতে পারেনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

রাজশাহীকে হারিয়ে বিপিএলে প্রথম জয় পেল চিটাগাং

আপডেট সময় : ০৭:৪৮:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২৫

আসরে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে এসে প্রথম জয়ের দেখা পেল চিটাগাং কিংস। শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ১০৫ রানের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। উসমান খানের দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সুবাদে চট্টগ্রাম গড়ে তোলে বিপিএলে শেরে বাংলার ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ।

আসরে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন পাক ব্যাটার ওসমান খান। খেলেন ৬২ বলে ১২৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ক্লার্কের ৪০ আর অধিনায়ক মিথুনে ২৮ রানের ক্যামিও ইনিংসে ভর করে ২১৯ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ পায় চট্টগ্রামের কিংসরা।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রাম শুরুতেই ওপেনার পারভেজ ইমনের উইকেট হারায়। তবে উসমান খান ও গ্রাহাম ক্লার্কের ৬৩ রানের জুটি দলের ভিত তৈরি করে। গ্রাহাম ক্লার্ক ২৫ বলে ৪০ রান করে আউট হন। অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন ১৫ বলে করেন ২৮ রান।

উসমান খান একপ্রান্তে দৃঢ় থেকে মাত্র ৪৮ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তার ইনিংসে ছিল ১১টি চারের সঙ্গে ৫টি ছক্কার মার। শেষ পর্যন্ত উসমান ৬২ বলে ১২৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন। তার বিধ্বংসী ইনিংসের সুবাদে চট্টগ্রাম ২০ ওভারে ৫ উইকেটে তোলে ২১৯ রান।

এটি মিরপুরের শেরে বাংলায় বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ। এর আগে খুলনা ২১৮ রান করে এই রেকর্ডটি দখলে রেখেছিল। বিপিএলের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড অবশ্য রংপুর রাইডার্সের দখলে, যারা ২০১৯ সালে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২৩৯ রান করেছিল।

উসমান খানের শতরানের ইনিংস বিপিএল ২০২৫-এর প্রথম সেঞ্চুরি। তার অসাধারণ ব্যাটিং পারফরম্যান্স চট্টগ্রামকে একটি রেকর্ড সংগ্রহ এনে দেয় এবং বড় জয়ের ভিত গড়ে তোলে।

২২০ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দুর্বার রাজশাহী শুরু থেকেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে। প্রথম ওভারেই সাব্বির রহমান আউট হয়ে ফিরে যান। অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ৪১ রানের মাথায় আউট হন।

রাজশাহী এক পর্যায়ে ৯৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে। শেষ পর্যন্ত ১৭.১ ওভারে ১১৪ রানে অলআউট হয় তারা। মোহাম্মদ হারিস দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩২ রান করেন। তবে দলের অন্য কেউই উল্লেখযোগ্য অবদান রাখতে পারেননি।

চট্টগ্রামের স্পিনার আরাফাত সানি ও আলিস আল ইসলাম রাজশাহীর ব্যাটিং লাইনআপ ধ্বংস করে দেন। দু’জনেই ৩টি করে উইকেট নেন। তাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে রাজশাহী কোনো সময়ই খেলায় ফিরে আসতে পারেনি।