গোবিন্দা-সুনীতার ৩৭ বছরের দাম্পত্যে ফাটল!
- আপডেট সময় : ১২:২৯:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪৪ বার পড়া হয়েছে
বলিউডে তখন স্ট্রাগল করছেন গোবিন্দা (Govinda), সেই সময়েই বিয়ে করেন সুনীতাকে (Sunita Ahuja)। সেই সময় সুনীতার বয়স ছিল মাত্র ১৮ বছর। জামাইয়ের ভালো রোজগার নেই, বিয়েতে রাজি ছিলেন না সুনীতার বাবা। এমনকী মেয়ে জামাইকে আশীর্বাদ করতেও আসেননি তিনি। বিয়ের কথা অনেকদিন গোপন করেছিলেন গোবিন্দাও। পাছে বিবাহিত অভিনেতার ফ্যান ফলোয়িং কমে না যায়। বেশ কয়েকবছর পর জানা যায় গোবিন্দার স্ত্রীর কথা। সম্প্রতি হিন্দি রাশের সঙ্গে তাঁর একটি সাক্ষাত্কার ঘিরে তৈরি হয়েছে জল্পনা।
১৯৮৭ সালে সুনিতা আহুজাকে বিয়ে করেছিলেন গোবিন্দা। দুই ছেলে মেয়েকে নিয়ে সুখের সংসার তাঁদের। তবে বিবাহিত হলেও গোবিন্দার প্রতি আকর্ষিত হতেন মহিলা সহকর্মীরা। একবার গোবিন্দাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে ফেলেছিলেন রাবিনা ট্যান্ডন, উত্তরে রাবিনাকে কী বলেছিলেন সুনিতা?
সুনিতা বলেন, একবার রাবিনা আমাকে বলেছিলেন, যদি গোবিন্দার সঙ্গে প্রথমে দেখা হত তাহলে আমি বিয়ে করে ফেলতাম গোবিন্দাকে। রাবিনার এই কথার উত্তরে আমি বলেছিলাম, তুমি এখনও নিয়ে যেতে পারো। একবার নিয়ে যাও তাহলেই বুঝবে কি জ্বালা। (হাসতে হাসতে বলেন সুনিতা)
সোজাসাপটা কথাবার্তা এবং হাসিখুশি মনোভাবের জন্য ভীষণ পরিচিত সুনিতা। মায়ের আদেশ মেনে সুনিতাকে বিয়ে করেছিলেন গোবিন্দা। তবে মায়ের আদেশে বিয়ে করলেও সুনিতা এবং গোবিন্দার মধ্যে ভালোবাসার কিন্তু বিন্দুমাত্র কমতি নেই। তবে গোবিন্দা বিবাহিত হলেও তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতে মহিলা সহকর্মীরা, যাদের মধ্যে একজন হলেন রাবিনা ট্যান্ডন।
রোমান্স থেকে কমেডি থেকে ডান্সিং স্টার হতে বেশি সময় লাগেনি গোবিন্দার। ১৯৯০-এর দশক থেকে আজ পর্যন্ত তিনি একইরকম জনপ্রিয়। তাঁর কমেডি, রোমান্স এবং নাচের অসাধারণ দক্ষতায় বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেতা হিসেবে পরিচিত গোবিন্দা। সম্প্রতি চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে গোবিন্দার ব্যক্তিগত জীবন। অভিনেতার স্ত্রী সুনীতা আহুজা সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে বলেন, “আমাদের দুটি বাড়ি আছে, আমাদের অ্যাপার্টমেন্টের সামনে একটি বাংলো রয়েছে। আমি এবং আমার সন্তানরা অ্যাপার্টমেন্টে থাকি, গোবিন্দা বাংলোয় থাকেন। সে যখন তার কাজের জন্য দেরি করে, তখন আমাদের দুজনের মধ্যে যোগাযোগ একটু কম হয়।”
সুনিতার কথায়, “আমি সবসময় হাফপ্যান্ট পরতাম এবং তার সাথে দেখা হওয়ার সময় আমার চুলও ছোট ছিল। ও বলত, আমি ছেলে। তিনি চাইতেন আমি যেন সব সময় শাড়ি পরি, আমি কখনই তাকে পছন্দ করতাম না কারণ সে খুব পিছিয়ে ছিল।”
সুনীতা আরও প্রকাশ করেছিলেন যে তিনিই তাদের সম্পর্কের সূচনা করেছিলেন, কারণ গোবিন্দা এমনকি মহিলাদের স্পর্শ করতেও ভয় পেতেন। তবে গোবিন্দা যে রোমান্টিক টাইপের নন, তা অন্তত বাস্তব জীবনে নয়। “এখন আমি জানি না সে এমন হয়ে গেছে কিনা। আপনি কখনই জানেন না যে লোকেরা আপনার পিছনে কী করে। কখনো কোনো পুরুষকে বিশ্বাস করবেন না। মানুষ গিরগিটির মতো রং বদলায়। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৩৭ বছর হয়ে গেছে। কোথায় যাবেন তিনি? আগে উনি কোথাও যেতেন না, এখন জানি না…” একটু ব্যঙ্গের সুরে কথাগুলো বলেন সুনিতা।
সুনীতা আরও বলেন, “গোবিন্দা সব সময় কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকে এবং তার রোম্যান্সের জন্য কোন সময় নেই। আমি তাকে বলেছি, ‘আগামী জীবনে যেন আমার স্বামী না হয়।’ সে কখনো ছুটিতে যায় না, আমি এমন একজন যে আমার স্বামীর সাথে রাস্তায় পানি-পুরি খেতে চাই, কিন্তু সে কখনোই তা করতে চায় না। আমরা ৩৭ বছর ধরে একসঙ্গে আছি, তবে এখন জানি না সে কীভাবে বদলে গেছে। তার বয়স ৬০ বছর পেরিয়ে গেছে, আর এখন সে বেশি কিছু করে না। আমি কিছুটা ভয় পেতে শুরু করেছি, কারণ তার বয়স বেড়ে গেছে এবং সে আগের মত কাজের মধ্যে ডুবে থাকে না। আগে মনে হতো, আমি নিরাপদ, কিন্তু এখন আমি জানি না। হয়তো তার বয়সের কারণে সে কিছু ভুল পথে চলে যাচ্ছে, কিন্তু আমি জানি না।” তবে বিচ্ছেদের কথা সরাসরি কিছু বলেননি সুনীতা।
সুনীতা আরও জানান যে তিনি তার বিবাহিত জীবনে সুরক্ষিত বোধ করতেন, বিশেষত যখন গোবিন্দা রবিনা ট্যান্ডন এবং কারিশমা কাপুরের মতো অভিনেত্রীদের সাথে কাজ করতেন। তিনি হাসতে হাসতে বলেন, ‘আমাদের বিয়ের আগে আমি খুব সুরক্ষিত ছিলাম, এখন নেই। “৬০ বছর পর মানুষ জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। তিনি ৬০ পেরিয়েছেন, আপনি কখনই জানেন না যে তিনি কী করেন…” গোবিন্দার কার্যকলাপ নিয়ে তিনি এখন আরও সতর্ক বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।