যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পাচ্ছেন মেসি
- আপডেট সময় : ১২:৪৩:০০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২৫
- / ৩৪২ বার পড়া হয়েছে
বিশ্ব ফুটবল মতান্তরে তিনিই সর্বকালের সেরা। বিশ্বকাপ, কোপা আমেরিকা, ক্লাবের গুচ্ছ ট্রফি, সবই জিতেছেন লিওনেল মেসি (Lionel Messi)। এবার তাঁর পালকে যুক্ত হচ্ছে নতুন সম্মান। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেনসিয়াল মেডেল অফ অনার পাচ্ছেন ‘এলএম১০’।
শনিবারই যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন (Joe Biden) মেসির হাতে এই সম্মান তুলে দেবেন বলে হোয়াইট হাউসের তরফে জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টার মায়ামির হয়ে বর্তমানে ক্লাব ফুটবল খেলেন মেসি। তাঁর হাতে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান উঠতে চলেছে। অবশ্য শুধু মেসি নন, এনবিএ কিংবদন্তি ম্যাজিক জনসনসহ আরও ১৭ জনকে এই সম্মান জানানো হবে।
এই সম্মাননা দেয়া হয় যুক্তরাষ্ট্র কিংবা বিশ্বব্যাপী শান্তি, সংস্কৃতি, উন্নয়ন ও নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা ব্যক্তিদের। ক্রীড়াঙ্গনের তারকাদের মধ্যে গত বছর এই পুরস্কার পেয়েছিলেন সাঁতারু কেটি লিডেকি। অলিম্পিকে ৯টি স্বর্ণপদক জিতেছেন এই অ্যাথলেট।
মেসি প্রেসিডেনশিয়াল মেডাল অব ফ্রিডম সম্মাননা পাচ্ছেন বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাতে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তিনি ইউনিসেফের গুডউইল অ্যাম্বাসেডর। লিও ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে এই তারকা বিশ্বব্যাপী শিশুদের মধ্যে স্বাস্থ্য ও শিক্ষাখাত নিয়ে কাজ করছেন।
২০২৩ সালে পিএসজি ছেড়ে ইন্টার মায়ামিতে পাড়ি জমান মেসি। দলের হয়ে তিনি জিতেছেন প্রথম বার আয়োজিত হওয়া লিগস কাপ শিরোপা। দ্বিতীয় মৌসুমে ইন্টার মায়ামি শোকেসে তুলেছে সাপোর্টার্স শিল্ড। মেসি হয়েছেন দলের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়।
পুরস্কারের জন্য মনোনীত ১৯ জন হলেন-
বিখ্যাত স্প্যানিশ-আমেরিকান রন্ধনশিল্পী হোসে আন্দ্রেস।
ইউটু ব্যান্ডের প্রধান গায়ক এবং এইডস ও দারিদ্র্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পথপ্রদর্শক বোনো।
যুক্তরাষ্ট্রের ২৫তম প্রতিরক্ষা সচিব অ্যাশটন বাল্ডউইন কার্টার (মরণোত্তর)।
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি রডহ্যাম ক্লিনটন
অভিনেতা মাইকেল জে. ফক্স।
বিবাহ সমতা ও বৈষম্য বিরোধী সুরক্ষা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় টিম গিল
বিখ্যাত প্রাণিবিদ এবং সংরক্ষণবাদী জেন গুডঅল।
নাগরিক অধিকারকর্মী ফ্যানি লু হ্যামার (মরণোত্তর)।
কিংবদন্তি বাস্কেটবল খেলোয়াড় ম্যাজিক জনসন।
সাবেক আইনজীবী এবং মার্কিন সিনেটর রবার্ট এফ. কেনেডি (মরণোত্তর)।
ফ্যাশন ডিজাইনার রালফ লরেন।
৮ বারের ব্যালন ডি’অর ও ফুটবল বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি।
অসংখ্য ছাত্র-ছাত্রীর জন্য অনুপ্রেরণা ও প্রভাবের উৎস উইলিয়াম স্যানফোর্ড।
ব্যবসায়ী ও সাবেক মার্কিণ প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ. রমনি (মরণোত্তর)।
দ্য কার্লাইল গ্রুপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সহ-চেয়ারম্যান ডেভিড এম. রুবেনস্টেইন।
দাতব্য ব্যক্তিত্ব এবং ওপেন সোসাইটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জর্জ সোরোস।
পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক, পরিচালক, লেখক এবং নাট্যকার জর্জ স্টিভেনস, জুনিয়র।
অভিনেতা, পরিচালক এবং প্রযোজক ডেনজেল ওয়াশিংটন।
খ্যাতিমান ফ্যাশন আইকন আনা উইন্টুর।